ধরপাকড়ের প্রতিবাদে কাশ্মিরে সর্বাত্মক বনধ পালিত, নিষেধাজ্ঞা জারি
ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরে পুলিশি ধরপাকড়ের প্রতিবাদে আজ (রোববার) সর্বাত্মক বনধ পালিত হচ্ছে। বনধকে কেন্দ্র করে শ্রীনগরসহ বিভিন্ন এলাকায় কারফিউয়ের মতো নিষেধাজ্ঞা জারি করাসহ প্রতিবাদ-বিক্ষোভ মোকাবিলায় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
কাশ্মিরে গণহারে গ্রেফতার, তল্লাশি, সেন্সরশিপ ও ৩৫(এ) ধারায় গরমিলের চেষ্টার অভিযোগে যৌথ প্রতিরোধ নেতৃত্বের আহ্বানে আজ বনধের ডাক দেয়া হয়।
গত (শুক্রবার) মধ্যরাত থেকে শনিবার রাত পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মিরে কমপক্ষে দেড়শ’ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। মূলত, জামাত-ই-ইসলামি জম্মু-কাশ্মিরের কর্মীদের ব্যাপকভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জেকেএলএফ প্রধান ইয়াসিন মালিককেও গ্রেফতার করেছে।
সংবিধানের ৩৫(এ) ধারা অনুযায়ী জম্মু-কাশ্মিরের স্থায়ী নাগরিকদের জন্য সরকারি চাকরি, স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ, রাজ্যে বসতি স্থাপন, বৃত্তি সংক্রান্ত অধিকার এবং অন্যান্য সরকারি সহায়তার ক্ষেত্রে ‘বিশেষ অধিকার’ দেয়া হয়েছে। বিজেপি বরাবরই ৩৫(এ) ও ৩৭০ ধারা তুলে দেয়ার পক্ষে সাফাই দিয়েছে। এ নিয়ে এক মামলার জেরে আগামীকাল (সোমবার) সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। তার আগেই বিক্ষোভের আশঙ্কায় বিভিন্ন স্পর্শকাতর এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করাসহ নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
ইয়াসিন মালিক, আলী শাহ গিলানি ও মীর ওয়াইজ ওমর ফারুক
এদিকে কাশ্মিরে গণগ্রেফতারের প্রতিবাদে বিভিন্ন দল ও সংগঠনের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। হুররিয়ত কনফারেন্সের একাংশের চেয়ারম্যান মীরওয়াইজ ওমর ফারুক বলেছেন, ‘এ ধরনের অনৈতিক এবং দমনমূলক কার্যকলাপ বাস্তব পরিস্থিতিকে পরিবর্তন করতে পারবে না।’
জম্মু-কাশ্মিরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও পিডিপি প্রধান মেহবুবা মুফতি বলেছেন, ‘আইনের কোন ধারায় এই গ্রেফতারি যুক্তিসঙ্গত? এভাবে একজন মানুষকে কারাবন্দি করা যায়। কিন্তু তাঁর ভাবনাকে নয়। এ ধরনের স্বৈরতান্ত্রিক পদক্ষেপ জম্মু-কাশ্মিরের সার্বিক পরিস্থিতিকে শুধুই ত্বরান্বিত করবে, এটা বুঝতেই ওরা ব্যর্থ।’
সিপিএম নেতা মহম্মদ ইউসুফ তারিগামি বলেছেন, ‘এভাবে বৈধ ও আইনি কারণ ছাড়া গ্রেপ্তার করা অনুচিত কাজ হচ্ছে। বরং এই অংশের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা চালানো উচিত ছিল।’
‘এ ধরনের পদক্ষেপ কখনওই কোনও সমাধানে পৌঁছাতে পারেনি’ বলে মন্তব্য করেছেন পিপলস কনফারেন্সের নেতা সাজ্জাদ লোন।
বনধে জনজীবন স্থবির
অন্যদিকে, সম্প্রতি কাশ্মিরের পুলওয়ামায় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ৪৪ জন সিআরপিএফ জওয়ান নিহত হওয়ার পরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কাশ্মির উপত্যকায় অতিরিক্ত দশ হাজার আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে, শুক্রবার রাত দেড়টা পর্যন্ত যুদ্ধবিমানের শব্দে কাশ্মিরিরা কার্যত আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। কর্তৃপক্ষ অবশ্য একে 'রুটিন ঘটনা' বলে অভিহিত করেছে। যদিও ব্যাপক ধরপাকড়, অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন, যুদ্ধ বিমানের শব্দ ইত্যাদিতে অজ্ঞাত আশঙ্কায় মানুষজন আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।
সেখানকার মানুষজন পেট্রোল, ওষুধপত্র ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী মজুদ করছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে শ্রীনগর মেডিক্যাল কলেজে সব কর্মীর শীতকালীন ছুটি বাতিল করার পাশাপাশি সব জেলাকে হাসপাতালের জন্য প্রয়োজনীয় মেডিক্যাল সামগ্রী সংগ্রহ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও ন্যাশনাল কনফারেন্সের সভাপতি ডা. ফারুক আব্দুল্লাহ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে কথা বলে রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করতে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বিবৃতি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।-পার্সটুডে
কাশ্মিরে গণহারে গ্রেফতার, তল্লাশি, সেন্সরশিপ ও ৩৫(এ) ধারায় গরমিলের চেষ্টার অভিযোগে যৌথ প্রতিরোধ নেতৃত্বের আহ্বানে আজ বনধের ডাক দেয়া হয়।
গত (শুক্রবার) মধ্যরাত থেকে শনিবার রাত পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মিরে কমপক্ষে দেড়শ’ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। মূলত, জামাত-ই-ইসলামি জম্মু-কাশ্মিরের কর্মীদের ব্যাপকভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জেকেএলএফ প্রধান ইয়াসিন মালিককেও গ্রেফতার করেছে।
সংবিধানের ৩৫(এ) ধারা অনুযায়ী জম্মু-কাশ্মিরের স্থায়ী নাগরিকদের জন্য সরকারি চাকরি, স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ, রাজ্যে বসতি স্থাপন, বৃত্তি সংক্রান্ত অধিকার এবং অন্যান্য সরকারি সহায়তার ক্ষেত্রে ‘বিশেষ অধিকার’ দেয়া হয়েছে। বিজেপি বরাবরই ৩৫(এ) ও ৩৭০ ধারা তুলে দেয়ার পক্ষে সাফাই দিয়েছে। এ নিয়ে এক মামলার জেরে আগামীকাল (সোমবার) সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। তার আগেই বিক্ষোভের আশঙ্কায় বিভিন্ন স্পর্শকাতর এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করাসহ নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
ইয়াসিন মালিক, আলী শাহ গিলানি ও মীর ওয়াইজ ওমর ফারুক
এদিকে কাশ্মিরে গণগ্রেফতারের প্রতিবাদে বিভিন্ন দল ও সংগঠনের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। হুররিয়ত কনফারেন্সের একাংশের চেয়ারম্যান মীরওয়াইজ ওমর ফারুক বলেছেন, ‘এ ধরনের অনৈতিক এবং দমনমূলক কার্যকলাপ বাস্তব পরিস্থিতিকে পরিবর্তন করতে পারবে না।’
জম্মু-কাশ্মিরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও পিডিপি প্রধান মেহবুবা মুফতি বলেছেন, ‘আইনের কোন ধারায় এই গ্রেফতারি যুক্তিসঙ্গত? এভাবে একজন মানুষকে কারাবন্দি করা যায়। কিন্তু তাঁর ভাবনাকে নয়। এ ধরনের স্বৈরতান্ত্রিক পদক্ষেপ জম্মু-কাশ্মিরের সার্বিক পরিস্থিতিকে শুধুই ত্বরান্বিত করবে, এটা বুঝতেই ওরা ব্যর্থ।’
সিপিএম নেতা মহম্মদ ইউসুফ তারিগামি বলেছেন, ‘এভাবে বৈধ ও আইনি কারণ ছাড়া গ্রেপ্তার করা অনুচিত কাজ হচ্ছে। বরং এই অংশের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা চালানো উচিত ছিল।’
‘এ ধরনের পদক্ষেপ কখনওই কোনও সমাধানে পৌঁছাতে পারেনি’ বলে মন্তব্য করেছেন পিপলস কনফারেন্সের নেতা সাজ্জাদ লোন।
বনধে জনজীবন স্থবির
অন্যদিকে, সম্প্রতি কাশ্মিরের পুলওয়ামায় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ৪৪ জন সিআরপিএফ জওয়ান নিহত হওয়ার পরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কাশ্মির উপত্যকায় অতিরিক্ত দশ হাজার আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে, শুক্রবার রাত দেড়টা পর্যন্ত যুদ্ধবিমানের শব্দে কাশ্মিরিরা কার্যত আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। কর্তৃপক্ষ অবশ্য একে 'রুটিন ঘটনা' বলে অভিহিত করেছে। যদিও ব্যাপক ধরপাকড়, অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন, যুদ্ধ বিমানের শব্দ ইত্যাদিতে অজ্ঞাত আশঙ্কায় মানুষজন আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।
সেখানকার মানুষজন পেট্রোল, ওষুধপত্র ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী মজুদ করছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে শ্রীনগর মেডিক্যাল কলেজে সব কর্মীর শীতকালীন ছুটি বাতিল করার পাশাপাশি সব জেলাকে হাসপাতালের জন্য প্রয়োজনীয় মেডিক্যাল সামগ্রী সংগ্রহ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও ন্যাশনাল কনফারেন্সের সভাপতি ডা. ফারুক আব্দুল্লাহ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে কথা বলে রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করতে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বিবৃতি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।-পার্সটুডে
কোন মন্তব্য নেই