বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী বিলিয়নিয়ার
ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের রেকর্ডকে ভেঙে দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের রিয়েলিটি শো তারকা কিলি জেনার। ২১ বছর বয়সী এই তারকা এখন বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী বিলিয়নিয়ার। এমন রেকর্ডে জাকারবার্গ পৌঁছেছিলেন ২৩ বছর বয়সে ২০০৮ সালে।
তার চেয়ে দুই বছর কম বয়সেই বিশ্বের সবচেয়ে কনিষ্ঠ বিলিয়নিয়ার হয়ে গেছেন কিলি জেনার। তিনি টিভি শো ‘কিপিং আপ উইথ দ্য কারদাশিয়ানস’-এর মাধ্যমে খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে যান।
বিশ্বের ২০৫৭তম ধনী হিসেবে তাকে র্যাংকিং করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা বিষয়ক ম্যাগাজিন ফোরবিস। এতে বলা হয়েছে, কিলি জেনারের নেট অর্থের পরিমাণ ১০০ কোটি ডলার। এ বিষয়ে ফোরবিস ম্যাগাজিনকে তিনি বলেছেন, আমি এতসব চাই নি।
আমি ভবিষ্যতের দিকে তাকাই নি। তবে আমাকে যে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে সে জন্য বাস্তবেই ভালো লাগছে।
কিলি জেনার তার আইফোন ব্যবহার করে পরিচালনা করেন তার মেকআপ কোম্পানি ‘কিলি কসমেটিকস’। এ খাত থেকেই তার বেশি অর্থ এসেছে। এ খাতে তাকে সহায়তা করেছেন তার মা শ্রিউড ক্রিস (৬৩)। তিনি শতকরা ১০ ভাগ কর্তন সাপেক্ষে সন্তানদের আর্থিক কর্মকাণ্ডের দেখাশোনা করেন বা ম্যানেজ করেন। ফোরবিসের হিসেবে কিলি জেনারের কসমেটিক্স কোম্পানিতে
কিলির মালিকানা শতকরা ১০০ ভাগ। গত বছর এ কোম্পানিটি বিক্রি থেকে আয় করেছে ২৭ কোটি ৪০ লাখ পাউন্ড।
কিলি জেনার প্রথমে শুরু করেছিলেন ২২ পাউন্ড দামের ‘লিপ কিটস’ দিয়ে। এর মধ্যে ছিল ম্যাচিং লিপস্টিক ও লিপ লাইনার। এক মিনিটের কম সময়ের মধ্যেই তার স্টক শেষ হয়ে গিয়েছিল। আর ওই সময় তার ওয়েবসাইট ক্র্যাশ করেছিল। তার কসমেটিক্স পণ্যের বিক্রি হয়েছে মূলত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার যে অ্যাকাউন্ট সরাসরি তার মাধ্যমে। ইন্সটাগ্রামে তার অনুসারীর সংখ্যা ১২ কোটি ৮০ লাখ। এর চার ভাগের মধ্যে তিন ভাগেরই বয়স ১৮ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে।
মাত্র ১০ বছর বয়সে রিয়েলিটি টিভিতে অভিষেক হওয়া এই তারকার রয়েছে স্ন্যাপচাটে ও টুইটারেও অ্যাকাউন্ট। টুইটারে তার অনুসারীর সংখ্যা ২ কোটি ৬৭ লাখ। এ জন্য তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে একটি বিস্ময়কর প্লাটফরম হিসেবে আখ্যায়িত করেন। বলেন, এর মাধ্যমে আমি খুব সহজেই ভক্ত ও ক্রেতাদের কাছে পৌঁছাতে পারি।
কিলি জেনার তার ব্যবসা শুরু করেন ২০১৫ সালে। সঙ্গে নেন ৭ জন ফুলটাইম এবং ৫ জন পার্টটাইম কর্মী।
কোন মন্তব্য নেই