সকল শিক্ষার্থীকে ইন্টারনেট ব্যবহারে সুযোগ দিতে হবে
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি জ্ঞানের উৎস হচ্ছে ইন্টারনেট। তাই সকল শিক্ষার্থীকে ইন্টারনেট ব্যবহারে সুযোগ দিতে হবে। কারণ জ্ঞানের উৎসে কখনো তালা মেরে রাখা যায় না। এটাকে উন্মুক্ত করে দিতে হবে। তা না হলে অন্তত এসময়ে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান সম্পূর্ণ হবে না। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর নাসিরাবাদ সরকারি বালক বিদ্যালয়ের মাঠে অনুষ্ঠিত ই-লার্নিং মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী অভিভাবকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ দেয়ার দায়িত্ব আপনাদের। তাদের নিরাপদে রাখার দায়িত্ব আমাদের। মন্ত্রী বলেন, গেলো দুই সপ্তাহে ইন্টারনেট থেকে ২০ হাজার খারাপ সাইট সরানো হয়েছে। এমন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে- আগামী ৬ মাসের মধ্যে ছেলে-মেয়েরা ইচ্ছে করলেও আর নিষিদ্ধ সাইটে ঢুকতে পারবে না।
তিনি বলেন, আমিও প্রধানমন্ত্রীর মত স্বপ্ন দেখি। প্রতিটি শিক্ষার্থীর হাতে বইয়ের সাথে থাকবে ল্যাপটপ। দেশের ৪ কোটি শিক্ষার্থী ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে পুরো বিশ্বের কাছ থেকে শিক্ষা নেবে। একটা সময় আসবে যখন শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার জন্য খাতা কলমের দরকার হবে না। পরীক্ষার জন্য পরীক্ষার্থীকে আর হলে যেতে হবে না। এখন ডিজিটালাইজেশনের যুগে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে হলে পাঠ্যবইয়ের বাইরে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, দেশের ৭১০টা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আধুনিক কম্পিউটার ল্যাব তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। পাঁচ হাজার ল্যাব তৈরির কাজ চলছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে আরো ২৫ হাজার ল্যাব স্থাপন করা হবে। দেশে এমন কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকবে না, যেখানে কম্পিউটার ল্যাব হবে না। এমন কোনো ক্লাসরুম থাকবে না, যেখানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম হবে না। এমন কোনো শিক্ষার্থী থাকবে না, যে ল্যাবে পড়াশোনা করবে না। বর্তমানে দেশের ৬৪০টি স্কুলে ই-লার্নিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তিগত জ্ঞান পাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টারনেটের পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে, যাতে পড়াশুনা শেষ করে বেকার থাকতে না হয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক অধ্যাপক প্রদীপ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্ম প্রোগ্রাম পরিচালক সেসিপ মো. আবু ছাইদ শেখ, ইথিঙ অ্যাডভান্সড টেকনোলজি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. এ মুবিন খান, সেসিপ এর পরামর্শক একেএম শামসুল হক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. আজিজ উদ্দিন এবং নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদুল আলম হোসাইনী প্রমুখ।

কোন মন্তব্য নেই