‘করোনা এই দশকে সবচেয়ে বড় সংকটের সৃষ্টি করেছে’ - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

‘করোনা এই দশকে সবচেয়ে বড় সংকটের সৃষ্টি করেছে’












করোনাভাইরাস সারাবিশ্বে ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এবং মানবজাতির জন্য এই দশকে সবচেয়ে বড় সংকটের সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপর্সনের কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সারাবিশ্বে প্রায় ২ লক্ষাধিক মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত মারাগেছে ৮৭৯১ জন। চীন, ইটালি, ফ্রান্স, স্পেন, আমেরিকাসহ, বিশ্বের ১৭৩টি দেশে এই ভাইরাসের সংক্রমন হয়েছে।

ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে ১৭ জন আক্রান্ত এবং গতকাল একজনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে আইইডিসিআর। যদিও মানুষ এই তথ্যের প্রতি আস্থা রাখতে পারছে না। কারণ ইতোমধ্যে যারা প্রবাসী রয়েছেন তারা অনেকে দেশে এসেছেন যাদের সংখ্যা আমাদের জানা নেই। তবে আমরা খবর পাচ্ছি যেসব এলাকায় প্রবাসীরা এসেছেন তারা যত্রতত্র ঘুরে বেড়াচ্ছেন, দাওয়াত খাচ্ছেন, পিকনিকে যাচ্ছেন, দেখা সাক্ষাত করছেন। ইতোমধ্যে সরকারিভাবে যে ১৭জন আক্রান্তের কথা বলা হয়েছে তাদের বেশিরভাগই বিদেশ থেকে আসা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ইতোমধ্যে নির্বাচনের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। এর মধ্যে যে সারাদেশে ভীতির সৃষ্টি হয়েছে এই ভীতির কারণে আগামী উপ-নির্বাচন ও চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে কি ধরণের ভোটার সমাগম হবে সেটা আপনারা সহজেই অনুমান করতে পারেন। কিছুক্ষণ আগে নির্বাচন কমিশন বলেছে ২১ তারিখের নির্বাচনগুলো হবেই। আর ২৯ তারিখের নির্বাচনের ব্যাপারে ২১ তারিখে সিদ্ধান্ত দেবেন। আমরা এটাকে একেবারে একপেশে সিদ্ধান্ত মনে করি। জনগণের যে প্রত্যাশা এই দুর্যোগের মধ্যে নির্বাচন কমিশন মানবিক আচরণ করবেন। তারা সেটা করছেন না বরং তারা অমানবিক আচরণ করছেন বলে আমরা মনে করি।

মির্জা ফখরুল বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা প্রথম থেকেই দেখে আসছি সরকার এই করোনা ভাইরাসের আক্রমনকে গুরুত্ব দেয়নি। আমরা প্রথম দিকে যে সংবাদ সম্মেলন করেছিলাম তখন বলেছিলাম সরকার দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে। আমরা তখন স্কুল কলেজ বন্ধ করতে বলেছিলাম। কিন্তু তারা করেনি। ১৬ মার্চ স্কুল কলেজ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। আজকে সেতু মন্ত্রী বলেছেন, প্রয়োজন হলে সব শাটডাউন করা হবে। যা যা দরকার করা হবে। এখনতো শাটডাউন করার পরিস্থিতি এসে গেছে। শাটডাউন না করলে ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। এসব কারণে আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে আহবান জানাচ্ছি যে তারা তাদের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে মানুষের বেঁচে থাকার স্বার্থে এ নির্বাচনগুলোকে আপাতত স্থগিত রাখবেন।






তিনি আরো বলেন, আদালতগুলোতে প্রতিদিনই অসংখ্যা মানুষের সমাগম হয়। ঢাকাসহ সব আদালতেই এটা হয়। ইতোমধ্যে রিপোর্ট পেয়েছি ৩০জন বিচারক কোয়ারেন্টাইনে চলে গেছেন। ৩০ জন বিচারক যদি কোয়ারেন্টাইনে যান সেক্ষেত্রে প্রমাণিত হয়েছে যে আদালতগুলোতে সক্রমন বেশি হচ্ছে। সে কারণে আমরা মনে করি জনগণের কথা বিচার করে আদালতগুলো কিছুদিন বন্ধ রাখা প্রয়োজন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। যখন এটা চীনে প্রথম দেখা দেয় তখন সবাই আশঙ্কা করেছে যে এটা ছড়িয়ে পড়তে পারে। আমাদের বেশিরভাগ মানুষের বিদেশের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। অনেক প্রবাসী রয়েছে তারা দেশে ফিরে আসলে কি সমস্যা হতে পারে সেটা আমরা ইতোমধ্যে বুঝতে পারছি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সরকার অন্য বিষয়গুলোতে এত বেশি ব্যস্ত ছিল, যে তারা এই জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

কোন মন্তব্য নেই