ভালোলাগা প্রথম দেখায়, ২০ দিন পর বিয়ে
আইন বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করে হাইকোর্টে এক সিনিয়রের সঙ্গে প্র্যাকটিস করছেন শাম্মী আকতার মনি। পাশাপাশি অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার হিসেবে চাকরি করছেন ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজে। আইনি পরমার্শ নিতে ২০ দিন আগে রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজনের সঙ্গে দেখা করেন। সেই দেখাতেই ৪২ বছর বয়সী এই নারীর জীবনের মোড় ঘুরে যায়।
শাম্মী আকতার মনির এর আগে বিয়ে হয়েছিল কুষ্টিয়ায়। অনাকাঙ্খিত কারণে বনিবনা না হওয়ায় ২০১১ সালে তার ডিভোর্স হয়ে যায়। ওই সংসারে তার একটি মেয়ে রয়েছে। এরপর মেয়েকে নিয়ে তিনি ঢাকায় চলে আসেন।
রেলমন্ত্রী তার ঘণিষ্ঠজনদের মাধ্যমে বিয়ের প্রস্তাব পাঠান শাম্মী আকতার মনির বড় ভাই মিলন হোসেনের কাছে। পরিচয়ের ঠিক ২০ দিন পর বেজে ওঠে রেলমন্ত্রীর বিয়ের সানাই। পারিবারিকভাবে গত ৫ জুন উত্তরায় শাম্মী আকতার মনির বাসাতেই তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়েতে বরপক্ষের হয়ে উপস্থিত ছিলেন বিরামপুরের বাসিন্দা বিচারপতি ইজারুল হক ও তার স্ত্রী। কনে পক্ষের ছিলেন শাম্মী আকতার মনির বড় দুই ভাই।
বিয়ের ৫ দিন পর গণমাধ্যমকে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন নিজেই জানান এ খবর।
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার নতুন বাজার এলাকার মৃত আব্দুর রহিমের মেয়ে শাম্মী আকতার মনি। তারা দুই ভাই এক বোন। দুই ভাই বিরামপুরে থাকেন। দুজনই ব্যবসায়ী।
বিয়ের বিষয়ে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের আকদ হয়েছে। সেখানে দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। কনেকে এখনও উঠিয়ে আনা হয়নি।
বড় কোনো আয়োজনের মাধ্যমে কনেকে নিজ বাড়িতে ওঠানোর পরিকল্পনা আপাতত করছেন না জানিয়ে সুজন বলেন, দেশের পরিস্থিতি তো এখন সেরকম নাই। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরে হয়তো চিন্তা করতে পারি।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জিতে প্রথমবার সাংসদ হন পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের নেতা নুরুল ইসলাম সুজন। পরে দশম এবং একাদশ সংসদ নির্বাচনেও তিনি বিজয়ী হন। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করলে নুরুল ইসলাম সুজনকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কোন মন্তব্য নেই