ওয়ালটন, বার্জার ও আইসিবি মাসে কি পরিমাণ শেয়ার ছাড়বে
শেয়ারপ্রতি দরে ধাক্কা খেল বৃহৎ তিনটি কোম্পানি। শেয়ার দরে ‘পুরো মার্কেটে কারেকশন’ চলছে বলে জানিয়েছেন অনেক বিনিয়োগকারী। তবে বৃহৎ তিনটি কোম্পানির নতুন করে আরো শেয়ার যুক্ত করার নির্দেশনাকে ঘিরেই সেই পট পরিবর্তন হতে শুরু করে বলে জানান তারা।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানি বার্জার পেইন্টস, প্রকৌশল খাতের কোম্পানি ওয়ালটন হাইটেক এবং রাষ্ট্রায়াত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ-আইসিবিকে ১০ শতাংশ পূরণ করতে প্রতিমাসে আরো শেয়ার ছাড়তে হবে।
কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে থাকা এসব শেয়ার পুঁজিবাজারে ছাড়তে হবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার ঘোষণার পরে কোম্পানিগুলোর শেয়ারের সরবরাহ আরো বাড়লে দাম কমার আশঙ্কায় কম টাকাতেও শেয়ার ছেড়ে দেন অনেক শেয়ারধারী।
আইসিবিকে প্রতি মাসে ৪৫ লাখ ৭৩ হাজার ৩টি, ওয়ালটনকে ২ কোটি ৭৩ লাখ ৫৪ হাজার ৪২৯টি এবং বার্জার পেইন্টসকে ২৩ লাখ ১৮ হাজার ৮৯৪টি শেয়ার বিক্রি করতে হবে।
তিনটি কোম্পানিকেই মোট শেয়ারের ১০ শতাংশ পুঁজিবাজারে ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে।
আগামী এক বছরে এই শেয়ার বিক্রি করতে হবে। আর প্রতি মাসে মোট শেয়ারের সর্বোচ্চ এক শতাংশ বিক্রি করা যাবে।
রোববার এই আদেশ দেয়ার পর তিনটি কোম্পানির মধ্যে আইসিবি ৮.৬৬ শতাংশ, ওয়ালটন ৬.২৪ শতাংশ এবং বার্জার পেইন্টসের দর কমেছে ৬.১৩ শতাংশ।
আইসিবির মোট শেয়ার সংখ্যা ৮০ কোটি ৫৮ লাখ ১৫ হাজার ৫২৭টি। এর মধ্যে ৩.১৯ শতাংশ অর্থাৎ ২ কোটি ৫৭ লাখ ৫ হাজার ৫১৫টি শেয়ার ছাড়া হয়েছে। মোট শেয়ারের ১০ শতাংশ ছাড়তে হলে আরও ছাড়তে হবে ৫ কোটি ৪৮ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭টি শেয়ার বিক্রি করতে হবে। অর্থাৎ প্রতি মাসে বিক্রি করতে হবে ৪৫ লাখ ৭৩ হাজার ৩টি করে।
আইসিবির মুখপাত্র বিভাস সাহা বলেন, আমাদের অর্থ বছর শেষ হয়েছে জুন। ইতিমধ্যে আমাদের সব ধরনের আর্থিক বিবরণী তৈরি শেষ হয়েছে। ফলে এখনই শেয়ার বিক্রি করে সরবরাহ বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে না।
তিনি বলেন, সামনে আমাদের বার্ষিক সাধারণ সভা আছে, সেখানে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। তারপরও এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
তিনটি কোম্পানির মধ্যে ওয়ালটনকে সবচেয়ে বেশি শেয়ার ছাড়তে হবে। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের মাত্র ০.৯৭ শতাংশ শেয়ার ছাড়া হয়েছে।
১০ শতাংশ ছাড়তে হলে উদ্যোক্তা পরিচালকদের বিক্রি করতে হবে শেয়ারের ৯.০৩ শতাংশ।
কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৩০ কোটি ২৯ লাখ ২৮ হাজার ৩৪৩টি। সে হিসাবে ২ কোটি ৭৩ লাখ ৫৪ হাজার ৪২৯টি শেয়ার অর্থাৎ প্রতি মাসে বিক্রি করতে হবে ২২ লাখ ৭৯ হাজার ৫৩৫টি শেয়ার।
কোম্পানিটি গত বছরের সেপ্টেম্বরে পুঁজিবাজার থেকে ১০০ টাকা তুলেছে। বুকবিল্ডিং প্রক্রিয়ায় কোম্পানির কাট অফ প্রাইস নির্ধারিত হয় ২৮৩ টাকা।
এই হিসাবে মাত্র ২৯ লাখ ৩৮ হাজার ৪০৫টি শেয়ার ছেড়েছে কোম্পানিটি। আর শেয়ার সংখ্যা অপ্রতুল হওয়ার কারণে এর চাহিদা থাকে তুঙ্গে। এ কারণে এক বছরেরও কম সময়ে শেয়ার মূল্য ৫ গুণ হয়েছে।
বার্জার পেইন্টস ২০০৬ সালে মোট শেয়ার সংখ্যা ৪ কোটি ৬৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮৮০টি পুঁজিবাজারে ছেড়ে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৫ শতাংশ অর্থাৎ ২৩ লাখ ১৮ হাজার ৮৯৪টি বাজারে রয়েছে। কোম্পানিটিকে আরো সমপরিমাণ শেয়ার ছাড়তে হবে।
কোন মন্তব্য নেই