২০২৬ সালে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলারে নামবে - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

২০২৬ সালে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলারে নামবে

 

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

২0২৬ সালে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলারে নামবে

বিশ্বব্যাপী পণ্যের দাম ছয় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে নামার পূর্বাভাস

টাইমস এক্সপ্রেস ২৪
প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৫


বিশ্বব্যাপী পণ্যের দাম আগামী দুই বছরে আরও কমবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক
সংস্থাটির সর্বশেষ প্রতিবেদন “কমোডিটি মার্কেটস আউটলুক অক্টোবর ২০২৫” অনুযায়ী,
২০২৬ সালে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলারে নেমে আসবে, যা বর্তমানে ৬৮ ডলারে বিক্রি হচ্ছে।

বিশ্বব্যাংক মনে করছে, দুর্বল বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি, বাড়তি তেল সরবরাহ ও নীতিগত অনিশ্চয়তার কারণে ২০২৫ ও ২০২৬ উভয় বছরই পণ্যের দাম ৭% করে কমবে


তেলের দামে বড় পতন

  • অপরিশোধিত তেলের দাম ২০২৫ সালে গড়ে ৬৮ ডলার, আর ২০২৬ সালে নামবে ৬০ ডলারে — যা ৫ বছরে সর্বনিম্ন

  • চীনে তেলের ব্যবহার স্থিতিশীল থাকায় বৈশ্বিক তেলবাজারে অস্থিরতা কম থাকবে

  • তেলের দামের পতন কৃষি ও খাদ্যপণ্যের দামকেও ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে


 খাদ্য ও কৃষিপণ্য

  • খাদ্যদ্রব্যের দাম ২০২৫ সালে ৬.১% ও ২০২৬ সালে ০.৩% কমবে

  • চাল ও গমের দাম কমে উন্নয়নশীল দেশে খাদ্য আরও সাশ্রয়ী হচ্ছে।

  • সারের দাম ২০২৫ সালে ২১% বাড়বে, তবে ২০২৬ সালে তা আবার কমে আসবে।

  • রেকর্ড উৎপাদনের কারণে সয়াবিন, কফি ও কোকোর দামও ধীরে ধীরে কমার সম্ভাবনা।


মূল্যবান ধাতু

পণ্য২০২৫ সালের দাম বৃদ্ধির হার২০২৬ সালের পূর্বাভাস
সোনা+৪২%+৫%
রুপা+৩৪%+৮%

বিশ্বব্যাংক জানায়, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সময় সোনা ও রুপা নিরাপদ বিনিয়োগে পরিণত হয়েছে, ফলে এদের দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে।


 শক্তি ও ধাতু

  • বৈদ্যুতিক ও হাইব্রিড যানবাহনের ব্যবহার বাড়ায় তেলের চাহিদা ধীরে ধীরে কমছে।

  • কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) অবকাঠামোর জন্য তামা ও অ্যালুমিনিয়ামের চাহিদা বাড়বে, যা এই ধাতুর দাম বাড়াতে পারে।


বিশ্বব্যাংকের বিশ্লেষণ

বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ইন্দ্রমিত গিল বলেন —

“জ্বালানি তেলের দামের পতন বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি কমাতে সাহায্য করছে।
তবে এই স্বস্তি স্থায়ী নয়। দেশগুলোর উচিত আর্থিক খাত সুশৃঙ্খল করে ব্যবসা ও বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করা।”

অন্যদিকে, সংস্থার উপ–প্রধান অর্থনীতিবিদ আয়হান কোস বলেন —

“তেলের দাম কমলে উন্নয়নশীল অর্থনীতির জন্য প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের বড় সুযোগ তৈরি হয়।
ভর্তুকির অর্থ অবকাঠামো ও মানবসম্পদ উন্নয়নে ব্যবহার করা গেলে টেকসই প্রবৃদ্ধি সম্ভব।”


সারসংক্ষেপ

সূচক২০২৫২০২৬মন্তব্য
তেলের দাম (ব্যারেলপ্রতি)$68$60৫ বছরে সর্বনিম্ন
খাদ্যদ্রব্যের দাম-6.1%-0.3%সাশ্রয়ী মূল্য
সারের দাম+21%পতন সম্ভাবনাবাণিজ্য বিধিনিষেধে বৃদ্ধি
সোনার দাম+42%+5%নিরাপদ সম্পদে চাহিদা বেড়েছে
রুপার দাম+34%+8%রেকর্ড গড় দাম
বৈদ্যুতিক যানবাহনের চাহিদাবৃদ্ধি পাচ্ছেবৃদ্ধি অব্যাহততেলের ব্যবহার কমবে

📈 প্রভাব

বিশ্লেষকদের মতে, তেলের দামে এই পতন বাংলাদেশসহ আমদানি–নির্ভর দেশগুলোর জন্য ইতিবাচক
কৃষি, পরিবহন ও খাদ্য উৎপাদন খাতে খরচ কমে যাবে, ফলে মুদ্রাস্ফীতিও নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে।


সারসংক্ষেপ বিশ্লেষণ

 তেলের দাম কমায় বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পাচ্ছে।
খাদ্য ও কৃষিপণ্য সাশ্রয়ী হচ্ছে, যা নিম্ন আয়ের দেশগুলোর জন্য স্বস্তি।
তবে সারের দাম বৃদ্ধি কৃষিখাতে চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।
সোনা ও রুপার দাম বৃদ্ধিতে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ সম্পদের দিকে ঝুঁকছেন।

কোন মন্তব্য নেই