ভয়ার্থ পরিবেশের সৃস্টি রুয়েট ক্যাম্পাসে
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এখানে বেশকিছু হতাহত ও লুটপাটের ঘটনা ঘটলেও দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এর ফলে ক্যাম্পাসে ভয়ার্থ পরিবেশের সৃস্টি হয়েছে।রুয়েট সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, সোমবার রাতে অগ্রণী স্কুল এন্ড কলেজের সামনে রুয়েটের গাড়ী চালক আব্দুস সালামকে নৃশংষভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
এই হত্যাকান্ডের ফলে ছাত্র-ছাত্রী ছাড়াও শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। এই হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে সকল বিভাগের ছাত্র-ছাত্রী মঙ্গলবার ক্লাস বর্জন করেছে এবং ক্যাম্পাসে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এছাড়া শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও কাজে যোগ দেননি। বর্তমানে ক্যাম্পাসের প্রত্যোকের মধ্যে আতঙ্ক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
বিক্ষুদ্ধ কর্মচারীরা জানিয়েছেন, বর্তমান উপাচার্য প্রফেসর মো: রফিকুল আলম বেগের সময় বেশ কয়েকজন কর্মচারীকে ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে মারপিট করে মারাত্বকভাবে আহত করা হয়েছে। এছাড়া একাধিক কর্মচারীকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়ার পরেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি রুয়েট প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
ছাত্র-ছাত্রীরা জানায়, বর্তমান উপচার্যের সময়ে ক্যাম্পাসে বেশ কয়েক দফা সংর্ঘষ ও লুটপাটের ঘটনার কারনে রুয়েট অনির্ধারিতভাবে বেশ কিছুদিন বন্ধ ছিল। এর ফলে এখানে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি সেশনজট মারাত্বকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সাধারণ ছাত্ররা নিরাপত্তাহীনতার কারণে দলে দলে আবাসিক হল ছেড়ে ছাত্রাবাসগুলোতে ঠাঁয় নিচ্ছে।
ছাত্র-ছাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ২০১১ সালে রুয়েটের ক্যাফেটেরিয়ার সামনে পুরকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র আব্দুল আজিজকে নৃশংষভাবে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দিলেও বর্তমান উপাচার্য প্রফেসর মো: রফিকুল আলম বেগ অদৃশ্য কারণে তাদের বিরুদ্ধে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। রুয়েট ক্যাম্পাসে হতাহত ও লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়ে দোষিরা পার পেয়ে যাওয়ার কারণে তারা বেপরওয়া হয়ে উঠেছে। সূত্র- ভয়েস অব রুয়েট


কোন মন্তব্য নেই