রাজশাহী জেলা পরিষদ মিলনায়তনের আধুনিকায়নের কাজ শেষ হচ্ছে অবশেষে - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

রাজশাহী জেলা পরিষদ মিলনায়তনের আধুনিকায়নের কাজ শেষ হচ্ছে অবশেষে



প্রায় ছয় বছর আগে রাজশাহী জেলা পরিষদ মিলনায়তনের আধুনিকায়ন শুর্ব হয়েছিল। নিজেদের প্রযুক্তি ও জনবলের অভাবে জেলা পরিষদ তখন এটি আধুনিকায়নের জন্য রাজশাহী সিটি করপোরেশনকে (রাসিক) দায়িত্ব দেয়। সিটি করপোরেশন ঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে কাজ শুর্ব করে। কিন্তু শেষ সময়ে টাকার অভাবে কাজটি আটকে যায়।
এরপর দীর্ঘদিন ধরেই মিলনায়তনটি অসম্পূর্ণ অবস্থায় পড়ে ছিল। তবে সম্প্রতি এর আধুনিকায়পনের কাজ আবার শুর্ব হয়েছে। রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা প্রয়োজনীয় অর্থের ব্যবস্থা করলে নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগ দেয় রাসিক। প্রায় ১৫ দিন আগে কাজ শুর্ব হয়েছে। ঈদের পরই সব কাজ শেষে নতুন করে মিলনায়তনটির উদ্বোধন করা যাবে বলে আশা করছেন সংশিৱষ্টরা।
রাসিকের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক জানান, চার কেটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১১ সালের ৪ নভেম্বর মিলনায়তনটির আধুনিকায়নের কাজে হাত দিয়েছিল িআসন কর্পোরেশন। এর মধ্যে অবকাঠামো উন্নয়নে তিন কোটি ২৩ লাখ, আধুনিক সিট স্থাপনে ৫৩ লাখ ও আধুনিক বৈদ্যুতিক ও সাউন্ড সিস্টেমে ব্যয় হয় ৯৩ লাখ টাকা।
এছাড়া ভেতরের নতুন আসন ব্যবস্থার জন্য ঠিকাদারের নিজস্ব তহবিলের ৫৫ লাখ টাকা পরিশোধ করেছে রাসিক। ২০১২ সালের ১০ জুন কাজটি শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু টাকার অভাবে শেষভাগে এসে কাজটি থেমে যায়। সম্প্রতি কাজ শেষ করতে সংসদ সদস্য বাদশা রাসিককে এক কোটি ২০ লাখ টাকা দিয়েছেন। সংসদ সদস্যর ব্যক্তিগত উদ্যোগে তার নিজস্ব প্রকল্প হিসেবেই কাজটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।


সংশিৱষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নগরীর সিঅ্যান্ডবি মনিবাজারে অবস্থিত এ মিলনায়তনের আধুনিকায়নে বেশকিছু কাজ সম্পন্ন হয়েছিল। তবে ভেতরের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র এবং সাউন্ড সিস্টেম লাগানো হয়েছিল না। বরাদ্দের এক কোটি ২০ লাখ টাকায় সব কাজই শেষ হবে। এরপর মিলনায়তনটি ঘিরে সাংষ্কৃতিক কর্মীরা আবার তৎপর হয়ে উঠবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ৮০০ আসনের এই মিলনায়তন ভাড়া দিয়ে আয়ের পথ খুলবে জেলা পরিষদের।
মিলনায়তনটির আধুনিকায়নে এগিয়ে আসায় সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার। তিনি বলেন, মিলনায়তনটির কাজ শেষ করতে নিজস্ব প্রকল্প দিয়ে সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা এগিয়ে আসায় তার প্রতি রাজশাহীবাসী কৃতজ্ঞ। আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই। মিলনায়তনটি চালু হলে রাজশাহীর মানুষই সেবা পাবেন। সেই সঙ্গে জেলা পরিষদের আর্থিক ভিত্তিও শক্তিশালী হবে।
সদর আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নের জন্য আমি ১৬টি প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছি।

এতে খরচ হবে প্রায় সাত কোটি টাকা। এই ১৬ প্রকল্পের একটি জেলা পরিষদের মিলনায়তনের আধুনিকায়নের অবশিষ্ট অংশ শেষ করা। রাজশাহীর উন্নয়নে এভাবে তিনি কাজ করে যেতে চান।



TE/SA

কোন মন্তব্য নেই