নতুন পরাশক্তি হয়ে বিশ্বকাপে আবির্ভাব হবে বেলজিয়ামের - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

নতুন পরাশক্তি হয়ে বিশ্বকাপে আবির্ভাব হবে বেলজিয়ামের



১৯৯৮ সালে ফ্রান্স। এক যুগ পর স্পেন। এবার কি বেলজিয়ামের পালা? নতুন পরাশক্তি হয়ে বিশ্বকাপে আবির্ভাব হবে বেলজিয়ামের? শিরোপায় একটা চোখ রেখেই এসেছে তারা। ফিফা র্যাংকিংয়ে ৩ নম্বর জায়গাটা বলছে শিরোপা জিতলে দুর্ঘটনা হবে না মোটেও। কোচ রবার্তো মার্তিনেজ অবশ্য আশার ভেলায় ভেসে যাওয়ার লোক নন। ফাইনাল পর্যন্ত না ভেবে দ্বিতীয় রাউন্ডে জাপানকে নিয়েই সব মনোযোগ তাঁর, ‘খুব বেশি দিন হয়নি ব্রাগে জাপানের বিপক্ষে উত্তেজনার এক ম্যাচ খেলার। দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল ওরা। জাপানের কোচ বদল হয়েছে; কিন্তু দলটা শক্তিশালী হয়েছে আরো। নক আউটের এই ম্যাচ ছাড়া কিছুই মাথায় আনছি না এখন।’

বেলজিয়ামের কাছে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটা হেরে উৎসব করেছে ইংলিশ সমর্থকরা। কোচ গ্যারেথ সাউথগেটের কণ্ঠেও স্বস্তি ঝরেছে, কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিল আর সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স বা পর্তুগালের মতো দলের মুখোমুখি হতে না হওয়ায়। ইচ্ছা করে বাঘের ডেরায় যাওয়ার দরকারটা কী? গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে বেলজিয়াম পড়েছে সেই অর্ধে। জাপানকে হারাতে পারলে কোয়ার্টারে সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ ব্রাজিল। এ নিয়ে দুশ্চিন্তা করছেন না মার্তিনেজ, ‘সবার আগে নিজের দিকে তাকাতে হবে। জানতে হবে আপনার দল কতটা শক্তিশালী। আমরা নক আউটের কোন পথে পড়েছি, এ নিয়ে ভাবছি না। দলের সবাই মিলে কিভাবে জাপানের বিপক্ষে খেলব শুধু এটুকুই ভাবছি।’

১৯৮৬ বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলটা সেরা সাফল্য বেলজিয়ামের। ২০০৬ ও ২০১০ সালে সুযোগ না পাওয়া বেলজিয়াম ফেরে গত আসরে। পৌঁছেছিল কোয়ার্টার ফাইনালেও। জাপানকে হারালে এবারও শেষ আটে নাম লেখানোর সুযোগ। রোমেলু লুকাকু, এডেন হ্যাজার্ড, কেভিন ডি ব্রুইনের মতো তারকা থাকায় খুবই সম্ভব সেটা। রবার্তো মার্তিনেজ কিন্তু হালকাভাবে নিচ্ছেন না জাপানকে, ‘কেউ ভাবেনি জার্মানি বিদায় নেবে এবারের বিশ্বকাপের গ্রুপ থেকে। সেটাই হয়েছে। আমার মনে হয়, এ বিশ্বকাপে দলগুলোর ব্যবধান কমেছে অনেক। বড় দলগুলোর ফলের দিকে তাকালেই বুঝবেন ব্যাপারটা। জাপানের দলটাও বেশ শক্তিশালী। এই বিশ্বকাপে ওরা দেখিয়েছে নিজেদের সামর্থ্য। আর সবারই জানা, বিশ্বকাপে সহজ কোনো প্রতিপক্ষ নেই।’



রোমেলু লুকাকু, এডেন হ্যাজার্ডরা দুর্দান্ত খেলেছেন এবার। চার গোল করে লুকাকু তো গোল্ডেন বুটের অন্যতম দাবিদার। তবে এই তারকাদের ভিড়ে কেভিন ডি ব্রুইনকে ভুলছেন না কোচ মার্তিনেজ। দুটি অ্যাসিস্ট আছে ম্যানচেস্টার সিটির এই মিডফিল্ডারের। এর পরও তাঁর প্রচারের আলোয় না থাকার কারণ জানেন না মার্তিনেজ, ‘কেভিনকে নিয়ে মাতামাতি না হওয়ার কারণ নেই। বিশ্বকাপে প্রচার না পাওয়া খেলোয়াড়দের অন্যতম ও। আমাদের দলে ওর অবদান অসাধারণ। মাঝমাঠে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে খেলে। ফরোয়ার্ডদের বলের জোগান দিয়ে সচল রাখে আক্রমণ। পাশাপাশি আক্রমণ আর রক্ষণের ভারসাম্য রাখে। কেভিনের বয়স ২৭ বছর। আর দুই বছর পর অসাধারণ মানে পৌঁছাবে ও। আমার কাছে এখনই কেভিন সেরাদের অন্যতম।’

পানামার পর তিউনিসিয়ার বিপক্ষে জোড়া গোল রোমেলু লুকাকুর। ইংল্যান্ডের সঙ্গে খেললে সোনার বলের লড়াইয়ে এগিয়ে যেতে পারতেন আরো। কিন্তু ঝুঁকি নেননি মার্তিনেজ। শুধু লুকাকুই নন, খেলাননি সেরা একাদশের ৯ জনকে। তা ছাড়া কিছুটা চোটও ছিল লুকাকুর। এ নিয়ে উদ্বেগের কিছু দেখছেন না তিনি, ‘সামান্য ব্যথা ছিল লুকাকুর। সেরে গেছে সেটা, পুরো ফিট হয়ে নক আউটে খেলবে ও। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অন্যদের সুযোগ দিয়ে দলে একটা প্রতিযোগিতা তৈরি করা হয়েছে। সবাই জানে যেকোনো সময় অবদান রাখতে মাঠে নামতে হতে পারে।’



টানা দুইবারের কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন চিলি বিশ্বকাপে নেই এবার। লাতিন অঞ্চলের কঠিন বাছাই পর্ব পেরিয়ে আসতে পারেনি অ্যালেক্সিস সানচেসের দল। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে সানচেস জুটি বেঁধে খেলেন লুকাকুর সঙ্গে। চিলির এই তারকার চাওয়া গোল্ডেন বুট জিতুক তাঁর সতীর্থটিই, ‘লুকাকু আগুনে ফর্মে। চার গোল করে ফেলেছে। আমি আশা করছি সর্বোচ্চ গোলদাতা লুকাকুই হবে।’ এএফপি


সূত্র
 

কোন মন্তব্য নেই