যেকোনো ফলাফল মেনে নেয়ার মানসিকতা আছে : লিটন
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, আমরা জয়ের ব্যাপারে শতভাগের কাছাকাছি আশাবাদী। যেকোনো ফলাফল মেনে নেয়ার মানসিকতা আছে। আশা করছি ৭০ থেকে ৭৫ হাজার ভোট বেশি পেয়ে আমরা বিজয়ী হব।
সোমবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে নগরীর স্যাটেলাইট টাউন হাইস্কুল কেন্দ্রে ভোটদান শেষে বেরিয়ে সংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, আমরা নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ড, মহল্লা ও বাড়িতে গিয়েছি। আমরা দেখেছি নৌকা প্রতীকের প্রতি সব শ্রেণি-পেশার মানুষের উচ্ছ্বাস। ইনশাআল্লাহ জয় আমাদের সুনিশ্চিত।
এদিকে বিএনপি প্রার্থীর ভোট বয়কটের হুমকি, নানান অভিযোগ এবং হুমকি প্রসঙ্গে লিটন বলেন, ওসব বিএনপির রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। কেউ যাতে অতিউৎসাহী হয়ে এমন কিছু না করেন যেটার কারণে ভোটের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট হয়। তিনি নগরবাসীকে নিজ নিজ কেন্দ্রে গিয়ে নিজেদের রায় প্রদানের আহ্বান জানান।
রাজশাহী স্যাটেলাইট হাইস্কুল কেন্দ্রের মোট ভোটার ৭৭২ জন। এই কেন্দ্রে প্রথম ভোট প্রদান করেন ৭২ বছরের নারী আনোয়ারা সাত্তার। এ ছাড়া মেয়রপ্রার্থী লিটনের স্ত্রী শাহিন আকতার রেনি ও মেয়ে ডা. অর্ণা জামানও একই সঙ্গে ভোট প্রদান করেন।
একই কেন্দ্রের ভোটার বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। সকাল পৌনে ৯টার দিকে তার ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বেলা সাড়ে ১০টা পর্যন্ত তিনি ভোটকেন্দ্রে এসে পৌঁছাননি।
নির্বাচনে মেয়র পদে রয়েছেন ৫ প্রার্থী। তবে মূল লড়াই হবে সাবেক দুই মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন এবং মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের মধ্যে। ২০০৮ সালে বুলবুলকে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন লিটন। তবে ২০১৩ সালে সেই বুলবুলের কাছেই হেরে যান লিটন।
এদিকে কাঁঠাল প্রতীকের মেয়র প্রার্থী হাবিবুর রহমান সকাল ৯টায় ভোট দেন নগরীর কাদিরগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে। হাতি প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মুরাদ মোর্শেদ তেরখাদিয়া শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান বিভাগীয় স্টেডিয়াম কেন্দ্রে সকাল ৮টায় ভোট দেন। সকাল সোয়া ৮টায় নগরীর ছোটবনগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন হাত পাখা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী শফিকুর ইসলাম।
ভোটের মাঠে রয়েছেন সাধারণ ৩০ ওয়ার্ডে ১৬০ সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী। আর ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন ৫২ জন।
TE
কোন মন্তব্য নেই