রানার অটোমোবাইলস লি. ও পাঠাওয়ের মধ্যে চুক্তি
দেশের মোটরসাইকেল শিল্পের অগ্রদূত রানার অটোমোবাইলস লি: এবং শীর্ষ রাইড শেয়ারিং কোম্পানি পাঠাও যৌথভাবে মানুষকে সাশ্রয়ী যানবাহন সেবা দেবে। এ লক্ষ্যে উভয় প্রতিষ্ঠান একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। চুক্তির আওতায় খুব কম ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ইএমআই (১২/১৮ মাসের কিস্তি) সুবিধায় রানার মোটরসাইকেল কেনা যাবে।
রাজধানীর তেজগাঁওতে রানার গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে গত বৃহস্পতিবার রানার এ সংক্রান্ত এক চুক্তিতে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান, ভাইস চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন, পরিচালক আমিদ সাকিফ খান, রানার অটোমোবাইলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুকেশ শর্মা, হেড অফ করপোরেট সেলস আশিক আহমেদ এবং পাঠাওয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হুসেইন এম ইলিয়াস এবং হডে অফ র্কপোরটে অ্যাফর্য়োস রুজান সারওয়ারসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।
পাঠাও বাংলাদেশের সবচেয়ে দ্রুত গতিতে বেড়ে চলা প্রযুক্তি-ভিত্তিক র্স্টাট আপ। দেশের কাঠামোগত বিভিন্ন সমস্যার মোকাবেলায় তারা গড়ে তুলছে বাস্তবমুখী ও বাস্তবায়নযোগ্য সমাধান। সর্ববৃহৎ ই-কমার্স ডেলিভারি কোম্পানি এবং অন্যতম জনপ্রিয় রাইড -শেয়ারিং পরিবহন সেবা প্রদানকারি প্রতিষ্ঠান হিসাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার পর তারা এখন চালু করেছে খাবার ডেলিভারি সেবা, আর এই সকল সেবা এখন পাওয়া যাচ্ছে একই প্লাটফর্মে। হাজার হাজার মোটরবাইক, গাড়ি ও বাইসাইকেল এর প্রগতিশীল সমন্বয়ে এবং বিশ^মানের প্রযুক্তির সাহায্যে তাদের সমাধানগুলো বাংলাদেশকে নিয়ে যাচ্ছে আগামীর পথে।
২০০০ সালে মোটরসাইকেল আমদানি করে বাজারজাত শুরু করে রানার। ২০০৭ সালে ময়মনসিংহের ভালুকায় রানার বাংলাদেশে প্রথম মোটরসাইকেলের কম্পোনেন্টস্ তৈরীর মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে মোটরসাইকেল উৎপাদন শুরু করে-যা বুয়েট এবং বিআরটিএ অনুমোদন দেয়। পরবর্তীতে ২০১১ সালে রানার পানচিং, ওয়েল্ডিং, পেইন্টিং, এসেম্বলিং, টেষ্টিং ইত্যাদি মেশিনারীজ স্থাপনের মাধ্যমে মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী হিসাবে সরকারী অনুমোদন লাভ করে। পূর্ণাঙ্গ মোটরসাইকেল কারখানা হিসেবে ২০১২ সালে পুরোদমে উৎপাদন শুরু করে। হিমালয়ের দেশ নেপালের বাজারে সাফল্যের পর এবার ভুটানেও মোটরসাইকেল রপ্তানি করতে যাচ্ছে রানার অটোমোবাইলস লিমিটেড।

কোন মন্তব্য নেই