ইমরুলের তৃতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি
নিউজিল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডের পর জিম্বাবুয়ে। ২০১০ ও ২০১৬ সালের পর রোববার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে ক্রিকেটে তৃতীয় সেঞ্চুরির দেখা পেলেন ইমরুল কায়েস। ত্রিপিয়ান্দোর করা বলটিকে ঠেলে দিয়ে সিঙ্গেল নেয়ার মধ্য দিয়ে ১১৮ বলে শতরান পূর্ণ করেন কায়েস।সদ্যই ছেলের বাবা হয়েছেন কায়েস। প্রথম সন্তানের কল্যাণেই হয়ত এদিনের সেঞ্চুরিটি অন্যভাবে উদযাপন করলেন তিনি। সন্তাকে কোলে নিয়ে দোল খাওয়ানোর মতো করেই সেঞ্চুরি পর ব্যাট হাতে নিয়ে অন্যরকম উদযাপন করেন কায়েস।
সর্বশেষ দুই বছরে দুটি সেঞ্চুরির দেখা পেলেন ইমরুল কায়েস। আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটে কায়েসের এটা তৃতীয় সেঞ্চুরি।তবে ওয়ানডে এবং টেস্ট ফরম্যাট হিসেব করলে সবশেষ চার বছরে চারটি সেঞ্চুরি করেছেন কায়েস। ২০১৪ নভেম্বরে চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে করেছেন ১৩০ রান। তার ঠিক পরের বছর ২০১৫ সালের এপ্রিলে পাকিস্তানের বিপক্ষে সাদাপোশাকে খুলনায় খেলেছেন ক্যারিয়ার সেরা ১৫০ রানের ইনিংস।
সবশেষ ৬টি ওয়ানডে ম্যাচের মধ্যে একটি সেঞ্চুরি এবং দুটি ফিফটি আছে তার।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের ৭৪তম ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন এ ওপেনার।ওয়ানডে ক্রিকেটে নিউজিল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। সবশেষ সেঞ্চুরি পেয়েছেন ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে ইংলিশদের বিপক্ষে ঢাকায়। দুই বছর পর মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে পেলেন আরও একটি সেঞ্চুরি।
শুধু সেঞ্চুরি করাই নয়, এদিন ইমরুল নিজেকেও ছাড়িয়ে গেলন। ওয়ানডেতে আগে তার সেরা ইনিংস ছিল ১১২। যেটা তিনি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন। তবে এদিন খেলেছেন ১৪০ বলে ১৬ চার ও ৬ ছক্কায় ১৪৪ রানের দৃষ্টি নন্দন এক ইনিংস।
রোববার মিরপুর শেরেবাংলায় খেলতে নামার আগে ৭৩টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ২ হাজার ৮১ রান করেছেন কায়েস।তবে টেস্ট ক্রিকেটে ৩৪ ম্যাচে ৩টি সেঞ্চুরি এবং ৪টি ফিটির সাহায্যে ১ হাজার ৬৭৯ রান করেছেন কায়েস।
টেস্ট এবং ওয়ানডে মিলে ইমরুলের এটি ষষ্ঠ সেঞ্চুরি।মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৭ রানে দুই উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে যায় বাংলাদেশ। এরপর ৬৬ রানের মাথায় দলের সেরা ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমের উইকেট হারিয়ে আরও বিপদে পড়ে যায় স্বাগতিকরা।
তবে ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে ব্যতিক্রম ছিলেন ইমরুল। ওপেনিংয়ে ব্যাটিংয়ে নামা কায়েস শুরু থেকেই বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে খেলেন। সিকান্দার রাজার করা বলটিকে লং অফে ঠেলে দিয়ে সিঙ্গেল রান নিয়ে দলীয় ৮৫ রানের মাথায় ৬৪ বলে পঞ্চাশ পূর্ণ করেন তিনি। ফিফটির ইনিংস সাজাতে চারটি বাউন্ডারি হাঁকান এ ওপেনার।
এরপর সেঞ্চুরির জন্য একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকাতে থাকেন কায়েস। দলীয় ১৯৭ রানের মাথায় শতরানে পৌঁছে যান কায়েস। সেঞ্চুরির পর বল আর মাটিতে পড়তে দেননি কায়েস। ত্রিপিয়ান্দো, চাতারা এবং জার্ভিসদের একের পর এক বাউন্ডারি ছাড়া করেন কায়েস। তার লড়াই ইনিংসে ভর করে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৭১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে বাংলাদেশ।

কোন মন্তব্য নেই