বিশ্বের শীর্ষ চিন্তাবিদের তালিকায় শেখ হাসিনা
ফরেন পলিসির ওই তালিকার ‘প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা’ বিভাগে উঠে এসেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম
টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর হিসেবে শপথ নিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এবার তার নাম উঠে এসেছে বিশ্বের শীর্ষ চিন্তাবিদদের তালিকায়। এটি তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সাময়িকী ‘দ্য ফরেন পলিসি’।
গত ১০ বছরে বিশ্বের সামগ্রিক পরিস্থিতির বিবেচনায় ১০টি বিভাগে ১০ জন করে সেরা ব্যক্তিত্বকে নিয়ে তৈরি করা হয়েছে ১০০ জনের ওই তালিকাটি।
মিয়ানমারে গণহত্যা ও নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের বসবাসের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ফরেন পলিসির ওই তালিকার ‘প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা’ বিভাগে উঠে এসেছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর নাম। সেখানে তার অবস্থান নবম।
দ্য ফরেন পলিসির করা ‘প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা’ বিভাগে সবার ওপরে আছেন দুই দশক ধরে ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার কাশেম সুলেয়মানি।
এরপরে আছেন জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওরসুলা ফন ডার লেয়ান, মেক্সিকোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওলগা সানজেন করডেরো, ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবিই আহমেদ, স্পেসএক্স-এর প্রেসিডেন্ট গুয়েনে শটওয়েল, প্যালানটিয়ারের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অ্যালেক্স কার্প, বেলিংক্যাট-এর প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক ইলিয়ট হিগিংস, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সহযোগী ভ্লাদিস্লাভ সুরকভ, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্র ও মৎস্যবিষয়ক মন্ত্রী সুশি পদজিয়াৎসু।
দ্য ফরেন পলিসির ওয়েবসাইটে শেখ হাসিনা সম্পর্কে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ সামাল দিয়েছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনী দেশটির রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন ও গণহত্যা চালায়। আতঙ্কিত ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আসে। তাদের আশ্রয় দিয়ে বিশ্ব নেতৃত্বের দৃষ্টি কেড়েছেন তিনি। এখন তিনি রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে কাজ করছেন। নিরাপত্তার কারণে জাতিসংঘ ও মানবাধিকার পক্ষগুলো রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিরোধিতা করছে। তা সত্ত্বেও শেখ হাসিনার সরকার লাখো রোহিঙ্গাকে দেশে ফেরার পথ তৈরি করতে কাজ করে যাচ্ছে।
এর আগে, ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি সাময়িকী ফোর্বসের করা বিশ্বের ক্ষমতাধর ১০০ নারীর তালিকায় ৩০তম অবস্থানে ছিলেন শেখ হাসিনা। এছাড়া, ২০১৪ সালে এশিয়ার প্রভাবশালী শীর্ষ ১০০ ব্যক্তির তালিকায় ২২তম অবস্থানে ছিলেন বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী।

কোন মন্তব্য নেই