শ্রমিকদের অভিযোগ শোনার জন্য চালু হচ্ছে 'হেল্পলাইন' - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

শ্রমিকদের অভিযোগ শোনার জন্য চালু হচ্ছে 'হেল্পলাইন'



শ্রমিকদের অভিযোগ শুনতে নতুন আঙ্গিকে আজ চালু হচ্ছে ৫ ডিজিটের হেল্পলাইন। দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে ভুক্তভোগী শ্রমিকরা বিনা খরচে হেল্পলাইনে তাদের সমস্যা বা অভিযোগ জানাতে পারবেন। ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে এই হেল্পলাইন। প্রাপ্ত অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে শ্রমঘন ২৯ টি জেলায় কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে অভিযোগকারীদের চাকরি থাকার নিশ্চয়তা না থাকলে এই হেল্পলাইনের সুফল মিলবে না বলে মনে করেন শ্রমিক নেতারা।
বেতন ও মাতৃত্বকালীন ছুটি না দেয়া, চাকরীচ্যুত এমন নানা অভিযোগের সমাধান না পেয়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা অনেক সময় রাজপথে নামেন। যা কখনো রূপ নেয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মতো সহিংসতায়। এই সঙ্কট নিরসনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এই ডিজিটাল হেল্পলাইন। যা কাজ করবে ২৪ ঘণ্টা।

যে কোন খাতের শ্রমিকরাই বিনা খরচে ১৬৩৫৭ নম্বরে ফোন করে জানাতে পারবেন তাদের কর্মস্থলের সমস্যার কথা। প্রাপ্ত অভিযোগ হেল্প লাইনের কর্মীরা জানিয়ে দেবেন সংশ্লিষ্ট জেলার মনিটরিং কমিটিকে।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক বলেন, হেল্পের লাইনের রিসিভার রিসিভ করবেন। এরপর যে ২৯ কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। সেই সংশ্লিষ্ট এলাকার টিম প্রধানকে জানাবে, ওনি নিজে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবেন। অথবা ওই এলাকার পরিদর্শককে বিষয়টি জানাবেন।

এক সপ্তাহ আগে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হওয়া হেল্পলাইনে ইতিমধ্যে আসছে কিছু অভিযোগ, যার অধিকাংশই পোশাক শিল্পের। হেল্পলাইন পরিচালনাকারীরা জানান, কল কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট জেলার পরিদর্শক বা কমিটির প্রধান দু পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে অভিযোগ নিষ্পত্তি করবেন।


টেলি কনসাল্টের সিইও এজাজ বলেন, 'অভিযোগটা গ্রহণ করার পর আমরা কল-কারখানার পরিদর্শন অধিদপ্তরে অভিযোগটা পাঠিয়ে দিবো। এবং তাদের পরিদর্শকরা এটাকে ফলোআপ করবেন। এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে।'

নতুন হেল্পলাইনকে স্বাগত জানিয়েছেন পোশাক শিল্প মালিকরা। এর আগে ২০১৫ সালে চালু করা পুরনো হেল্পলাইনে খুব একটা সাড়া মেলেনি। শ্রমিক নেতারা বলছেন, এই হেল্পলাইন কার্যকর করতে হলে অভিযোগকারী শ্রমিকদের যেন চাকরি না যায় সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, 'প্রতিটা কলকারখানায় অভিযোগ রয়েছে। তারপরও এই হটলাইনটাকে আমরা মনে করি খুবই ভাল উদ্যোগ। যেহেতু অভিযোগ বক্সে অনেকে অভিযোগ করতে চান না।'

গার্মেন্টস শ্রমিক নেতা রনি বলেন, 'এটা যদি শ্রমিক সুবিধার্থে হয়, তাহলে মালিকদের সহযোগিতা করতে হবে। পাশাপাশি কোন শ্রমিকদের চাকরি না যায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।'

পুরনো হেল্পলাইনের নম্বর ছিল ১১ ডিজিটের। চার বছরে হেল্পলাইনে অভিযোগ করেছেন মাত্র ২ হাজার ৯০৮ জন শ্রমিক। এর মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ২ হাজার ৮১০টির।

কোন মন্তব্য নেই