লিফটের ভেতরে শ্বাসরুদ্ধকর দেড় ঘণ্টা
সাতসকালে বন্ধুর বাসায় গিয়েই বিপদে পড়েন মো. নাসির উলস্নাহ (১৮)। ছয়তলায় ওঠার সময় ভবনের লিফটের ভেতরে আটকা পড়েন তিনি। নাসিরকে লিফটের ভেতর থেকে বের করতে নিজেরা মিলে ঘণ্টাখানেক চেষ্টা চালান। শেষে নাসির নিজেই লিফটের ভেতর থেকে '৯৯৯' নম্বরে কল করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে তাকে উদ্ধার করেন। প্রায় দেড় ঘণ্টার শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা থেকে মুক্তি পান নাসির।
রোববার সকালে রাজধানীর উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরে এই ঘটনা ঘটে। নাসির উলস্নাহ মমতাজ উদ্দিন কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। একটি কাজে সকালে বন্ধুর বাসায় গিয়েছিলেন তিনি।
ভবনটির বাসিন্দা ও ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের সাত নম্বর সড়কে অবস্থিত বন্ধুর বাড়িতে যান নাসির। ভবনের ছয়তলায় তার বন্ধু থাকেন। নাসির লিফটে উঠলে সেটি দোতলায় এসে শব্দ করে থেমে যায়। লিফটের আলোও নিভে যায়। তিনি ভেতরে আটকা পড়েন।
পরে ভবন ও আশপাশের লোকজন নাসিরকে লিফট থেকে বের করতে অনেক চেষ্টা চালান। কিন্তু তারা ব্যর্থ হন।
একপর্যায়ে নাসির নিজেই লিফটের ভেতর থেকে '৯৯৯' নম্বরে কল করে বিপদের কথা জানান। মিনিট দশেকের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে হাজির হন। পরবর্তী ১০ মিনিটের মধ্যে তারা লিফটের দরজা খুলতে সক্ষম হন। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা থেকে মুক্তি পান নাসির।
নাসির বলেন, 'জোরে শব্দ করে লিফটটা বন্ধ যাওয়ার পর আমি অনেক ভয় পেয়ে যাই। কী করব বুঝতে পারছিলাম না। কত তলায় আটকে ছিলাম, তাও বলতে পারি না। লিফটের জরুরি বাটনটাও খুঁজে পাইনি। তবে কিছুক্ষণ পর লোকজনের আওয়াজ শুনতে পাই। সবাই অনেক চেষ্টা করছিল। কিন্তু লিফটের দরজাটা খোলা যাচ্ছিল না। পরে আমি আমার মোবাইল দিয়ে ৯৯৯ নম্বরে কল করি। আমাকে ফায়ার সার্ভিসের অফিসে ধরিয়ে দেয়। ফায়ার সার্ভিস খুব দ্রম্নতই চলে এসে আমাকে উদ্ধার করে।'
উত্তরা ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, 'লিফটের যান্ত্রিক ত্রম্নটির কারণে ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে। আটকে পড়া ব্যক্তি আমাদের জানান, তার নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে। আমরা দ্রম্নত তাকে উদ্ধার করি।'
সফিকুল ইসলাম বলেন, আসলে নিয়মিত লিফট রক্ষণাবেক্ষণ না করা হলে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। তাই সব সময় বিষয়টিতে নজর দেয়া উচিত।
কোন মন্তব্য নেই