ফেসবুকের ১৪ তম জন্মদিন আজ!
বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক এর ১৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ফেসবুকের বর্তমান প্রধান নির্বাহি ও সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের হাত ধরে এর যাত্রা শুরু হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির ডরমিটরে ‘দ্য ফেসবুক’ নামে সাইটটির জন্ম হয়। এর সহপ্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ তার রুমমেট ও বন্ধু এদুয়ার্দো স্যাভেরিন, অ্যান্ড্রিউ ম্যাককালাম, ডাসটিন মস্কভিৎজ এবং ক্রিস হিউজের এর সহায়তায় ইন্টারনেটভিত্তিক আন্তঃযোগাযোগ সাইট ‘দ্যা ফেস বুক’ তৈরি করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমিটরির এই যোগাযোগ মাধ্যমটি খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে দ্রুত ছড়িয়ে বিশ্বে শীর্ষস্থানীয় টেক প্রতিষ্ঠান অ্যাপল-গুগলের কাতারে চলে আসে।
১৪ বছর পূর্ণ করা ফেসবুকের বর্তমান ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১২০ কোটি। যা বৃহত্তর একটি দেশের মোট জনসংখ্যার চাইতেও বেশি! প্রতি মিনিটে একসাথে দুই হাজার মানুষ ফেসবুকে লগইন করে থাকে।
সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, সারা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার সাত ভাগের এক ভাগ প্রতি মাসে অন্তত একবার হলেও ফেসবুক ব্যবহার করে।
বিপুলসংখ্যক ব্যবহারকারীর ফেসবুকের দেয়ালে সর্বশেষ হালনাগাদ, ছবিসহ কন্টেন্ট রয়েছে এক ট্রিলিয়নেরও বেশি। আর এসব কন্টেন্টকে ফেসবুকের গ্রাফ সার্চের মাধ্যমে সাজানোর চেষ্টাও করা হচ্ছে।
ফেসবুকের প্রথম মুখ হচ্ছেন বিখ্যাত অভিনেতা আল পাচিনো। ফেসবুক যখন প্রথম চালু হয় তখন এর বাইনারী কোডের পেছনে আবছাভাবে একটি মুখ দেখা যেত। সে মুখখানা আল পাচিনোরই।
১১ বছর শেষে বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির বাজারমূল্য ৮৪ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি! ২০০৪ সালে ফেসবুকে প্রথম অর্থ লগ্নি করে পে-প্যাল নামক ওয়েবসাইট। এর সিইও ছিলেন পিটার থিয়েল। আর প্রথম অর্থলগ্নি করা হয় ৫০,০০০ ডলার।
ফেসবুকের জন্য ডোমেইন কিনতে প্রথম খরচ করা হয়েছিল ২ লক্ষ মার্কিন ডলার। জাকারবার্গের পক্ষ হতে ন্যাপস্টার নামক পডকাস্টার সাইটের কো-ফাউন্ডার শন পার্কার www.facebook.com ডোমেইনটি ক্রয় করেন।
ফেসবুকের অন্যতম প্রধান প্রকৌশলী অ্যান্ড্রিউ বসওয়ার্থ বলেন যে, প্রথমে ফেসবুকের যে লাইক বাটনটি রয়েছে, এটিকে অ্যাওসাম(awesome) বাটন হিসেবে চালু করার কথা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তা লাইক বাটন হিসেবেই সবার কাছে বেশী জনপ্রিয়তা লাভ করে।
ফেসবুক সমগ্র বিশ্বের ব্যবহারকারীদের প্রায় ৩০০ পেটাবাইট তথ্য ধারণ করে আছে।আর এক পেটাবাইট হচ্ছে এক মিলিয়ন গিগাবাইটের সমান।
সমগ্র বিশ্বের মোবাইল ফোন ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুলোর প্রায় ৪৬ শতাংশ ব্যবসা বৃদ্ধি ও প্রচারে সরাসরি সাহায্য করে ফেসবুক। ফেসবুকের কল্যাণে বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট ও স্মার্টফোন বিক্রি বেড়েছে প্রায় ৬৫ শতাংশ।

কোন মন্তব্য নেই