সাজেকে বন্ধ হলো ১৬টি রিসোর্ট, আশঙ্কা পুরোপুরি বন্ধের - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

সাজেকে বন্ধ হলো ১৬টি রিসোর্ট, আশঙ্কা পুরোপুরি বন্ধের





সাজেকে চাঁদা না পেয়ে কটেজ-রিসোর্টে পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। তাই একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে পর্যটন এলাকাটির রিসোর্ট ও কটেজগুলো।

জানা যায়, গত ১৭ জানুয়ারি থেকে পাঁচ মার্চ পর্যন্ত ১৬টি রিসোর্ট, কটেজ, রেস্টুরেন্টের পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১২টি বাঙালি ও চারটি উপজাতি মালিকানাধীন।

ইতোমধ্যে পানি সরবরাহ করা রিসোর্টগুলো হল- মনটানা রিসোর্ট অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট, রয়েল সাজেক, মেঘালয় রিসোর্ট, হিমালয় রিসোর্ট, গরবা রিসোর্ট, মেঘ কাব্য রিসোর্ট, সাজেক মেঘ বিলাস, আল মদিনা রেস্টুরেন্ট, বিসমিল্লাহ রেস্টুরেন্ট, মহসিন রেস্টুরেন্ট, মেঘ মাচাং রিসোর্ট, মৈত্রী রিসোর্ট, ড্রিম সাজেক রিসোর্ট, দার্জিলিং রিসোর্ট ও এভারেস্ট রিসোর্ট। 

জানা যায়, আরো কয়েকটি রিসোর্ট বন্ধের পথে। আর এভাবে চলতে থাকলে পুরোপুরিই বন্ধ হয়ে যেতে পারে সাজেক। 



সাজেক রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ণ ত্রিপুরা বলেন, জেএসএস সাজেকের এরিয়া কমান্ডার প্রমিজ চাকমা ওরফে প্রমেস চাকমার নির্দেশে রিসোর্টগুলোতে পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। রিসোর্ট মালিকরা সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর ভয়ে প্রশাসনের সহায়তা নিতে পারছেন না।

সুপর্ণ ত্রিপুরা বলেন, চাঁদা দাবির আড়ালে মূলত সাজেক থেকে বাঙালি ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করার পাঁয়তারা চলছে। বাঙালি রিসোর্ট ও হোটেল মালিকরা ভয়ে প্রশাসনের কাছে মুখ খুলতে পারছেন না। আমরা সব রিসোর্ট মালিক বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেব।

বাঘাইছড়ি উপজেলা জেএসএস’র সাধারণ সম্পাদক বড় ঋষি চাকমা বলেন, সংগঠন থেকে এমন কিছু করা হয়নি। আমি এ বিষয়ে খবর নিয়ে দেখব।



রাঙামাটি জেলায় অবস্থিত সাজেক ভ্যালি দেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন। সাজেকের উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা, দক্ষিণে রাঙামাটির লংগদু, পূর্বে ভারতের মিজোরাম ও পশ্চিমে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা। এর সৌন্দর্য অবলোকন করার জন্য, দিন দিন পর্যটকদের ভীড় বাড়ছিল। কিন্তু এরমধ্যেই দেখা দিলো এই নতুন সঙ্কট। 

কোন মন্তব্য নেই