ভরাট বন্ধে পুকুরপাড়ে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
পুকুর ভরাট বন্ধ করার জন্য মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। গতকাল বিকেল চারটায় নগরীর ৮ নম্বর ওয়ার্ডে সরকারি নিউ ডিগ্রি কলেজের পশ্চিম পার্শ্বের পুকুরের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধন থেকে জানানো হয়, পুকুরটি দীর্ঘ দিনের পুরাতন। স্থানীয়রা প্রতিদিনের নিত্য কাজে ব্যবহার করে আসছে। কিন্তু হঠাৎ করে কিছু ভূমিদস্যু ও প্রভাবশালী এবং পুকুরের মালিকসহ পুকুরটি রাতারাতি মাটি ফেলে ভরাট করছে। কিন্তু রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন থেকে পুকুর ভরাটে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সিটি কর্পরেশনের ব্যক্তিমালিকানাধীন ২২ টি পুকুর ও ছোট দিঘি অধিগ্রহণ করে সংরক্ষণের মেগা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। পুকুরটি যেন কোনো মতেই ভরাট না হয়।
মানববন্ধনে স্থানীয়রা আরো জানান, ‘পুকুরের বর্তমান বয়স প্রায় ৪০০ বছর। এটি এই এলাকার একটি ঐতিহ্য। আশেপাশের সকলের পানির প্রয়োজনে ব্যবহৃত পুকুরটি মাটি, বালি, ময়লা ফেলার কারণে এখন প্রায় মৃত। তাই সংরক্ষণ করে অতীতের মত পুকুরের সৌন্দর্য ফিরিয়ে এনে পুকুরটি রক্ষা করবে রাজশাহী সিটি কর্পরেশন।
গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১০ বিঘা পুকুরের চারপাশে মাটি দিয়ে ভরাটের চেষ্টা চলছে। পুকুরের একপাশে এক বিঘা জায়গায় মাটি ফেলে টিনের কয়েকটি ঘর তৈরি করা হয়েছে। চলছে ভবন তৈরির কাজ। আরেক পাশে পরিত্যক্ত ইট বালুর সুড়কি ফেলে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে মাটি ও বালি দিয়ে ভরাট চলছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২০০ জনের মালিকানাধীন পুকুরটির মূল মালিকানায় রয়েছেন আতাউর হাজী, বাক্কার হাজী, জামিল।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন রাজপাড়া কৃষকলীগের সদস্য নাসরিন জামান, যুব মহিলা লীগের সদস্য রাবেয়া বেগম, স্থানীয় ব্যবসায়ী হালিম হোসেন, মমিনুল ইসলাম, কলেজ শিক্ষর্থী কামরুন্নাহার, বর্ণা রাণীসহ স্থানীয় শতাধিক ব্যক্তি।
রাসিকের সচিব রেজাউল করিম জানান,‘নগরীতে পুকুর ভরাট যেন না হয় সে বিষয়ে কড়া নজরদারি আছে। এই বিষয়ে পুকুর মালিককে ভরাট না করার জন্য বারণ করে চিঠি পাঠানো হয়েছিলো। কিন্তু এর পরেও তারা পুকুরটি ভরাট করলে কঠোর পদক্ষেপ নিবে প্রশাসন।
কোন মন্তব্য নেই