আইইবি’র চারদিনব্যাপী ৫৯তম কনভেনশন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

আইইবি’র চারদিনব্যাপী ৫৯তম কনভেনশন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী


ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন-বাংলাদেশের (আইইবি) চারদিনব্যাপী ৫৯তম কনভেনশন শুরু হচ্ছে আগামীকাল ২ মার্চ। বিকাল ৪টায় কনভেনশনের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর ৪ মার্চ সোমবার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

শুক্রবার (১ মার্চ) রাজধানীর আইইবি’র কাউন্সিল হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান আইইবি’র সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী খন্দকার মনজুর মোর্শেদ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে খন্দকার মনজুর মোর্শেদ বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আনন্দঘন পরিবেশে ৪ দিনব্যাপী কনভেনশন আয়োজন করা হয়েছে। আগামীকাল ০২ মার্চ শনিবার বিকাল ৪ টায় ৫৯তম কনভেনশন শুভ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছাড়াও ৪ দিনব্যাপী কনভেনশনের অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে, সমাপনী অনুষ্ঠান, জাতীয় সেমিনার উদ্বোধনী ও সমাপনী পর্ব, ফিয়েস্কা সেমিনার, শহীদ প্রকৌশলী পরিবারের সংবর্ধনা, বিদেশী অতিথিদের সংবর্ধনা এবং বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনা, যা এবারের কনভেনশনকে বিপুল আনন্দমুখর ও উৎসবময় করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর হতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুযোগ্য, বলিষ্ঠ ও দৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে যাত্রা করছে। বিশেষ করে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষমাত্রা (এমডিজি) অর্জনে বিশ^কে অবাক করে দিয়েছে। শিক্ষার হার বৃদ্ধি, দারিদ্র হ্রাস, আয়ুস্কাল বৃদ্ধি, শিশু মৃত্যুহার হ্রাস, মাতৃমৃত্যু হ্রাস, জীবনমান উন্নীত হওয়াসহ বিভিন্ন সূচকে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। টানা বেশ কয়েক বছর বিশ্ব মন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশের বর্তমান প্রবৃদ্ধির হার প্রায় ৭.৮৬%। যা খুব শীঘ্রই ৮% হবে। বৈদেশিক মুদ্রায় রিজার্ভ ৩৪.২৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, মাথাপিছু আয় ১৭৫১ ডলার। অর্থনীতিতে ৭৪টি উদীয়মান দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অবস্থান ৩৪তম, যা পাকিস্তান, ভারত শ্রীলঙ্কার চেয়েও বেশি। ক্ষুধা ও দারিদ্র্য বিমোচনে অভাবনীয় অগ্রগতি হয়েছে। নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নতি হয়েছে।

হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুঁড়ি বলে ছিলো শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ মধ্যে আয়ের দেশ হিসেব মাথা উচু করে দাড়িয়েছে উল্লেখ করে বলেন,এসব উন্নয়নে প্রধান কারিগর হচ্ছে প্রকৌশলীরা। প্রকৌশলীরা নিরলসভাবে এ সকল সেক্টরে কাজ করে যাচ্ছে। এ সকল বিষয় বিবেচনা করেই এবারের কনভেনশনের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে ‘‘ঊহমরহববৎরহম ঊীপবষষবহপব : ঊধৎঃয ঞড় ঝঢ়ধপব’’। ইতোমধ্যে ভারী ভৌত অবকাঠামো নির্মাণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। হাতির ঝিল, উড়াল সেতু ও পদ্মা সেতু তার উদহারণ। পদ্মা সেতু নিজস্ব উদ্যোগে অর্থায়ন ও বাস্তবায়নে আপনার অনড় ও দৃঢ়চেতা সিদ্ধান্ত প্রকৌশলীদের সাহস জুগিয়েছে ও আস্থাশীল করেছে। মেট্রোরেল, এলিভেটর এক্সপ্রেসের কাজ চলছে, রুপপুরে পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ কাজ চলছে, চট্টগ্রামে কর্ণফুলি ট্যানেলের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। উন্নয়নে আইইবি’র প্রকৌশলী ভূমিকা ছিলো এবং থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, আইইবি’র সভাপতি ও আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মোঃ আবদুস সবুর, আইইবি’র ভাইস-প্রেসিডেন্ট মোঃ নুরুজ্জামান, প্রকৌশলী মোঃ মনজুরুল হক মঞ্জু, প্রকৌশলী এম এন সিদ্দিক, প্রকৌশলী মোল্লা মোহাম্মদ আবুল হোসেন, সম্মানী সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম, প্রকৌশলী কাজী খায়রুল বাশার, প্রকৌশলী আবুল কালাম হাজারী, প্রকৌশলী মামুনুর রশিদ এবং আইইবি’র ঢাকা সেন্টারের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী ওয়ালিউল্লাহ সিকদার প্রমুখ।


কোন মন্তব্য নেই