বারবার দুর্ঘটনার পরও বিমানবহরে ড্যাশ-৮
কানাডার বোমবারডিয়ার কোম্পানির তৈরি ড্যাশ-৮ মডেলের উড়োজাহাজের ভাগ্য এ দেশে খুব একটা ভালো নয়। বিশ্বব্যাপী ছোট এয়ারক্রাফট হিসেবে ড্যাশ-৮- এর খ্যাতি থাকলেও বাংলাদেশে প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে এই মডেলের উড়োজাহাজ। সেটি জাতীয় পতাকাবাহী বাংলাদেশ বিমানই হোক বা বেসরকারি অন্য কোনো বিমান সংস্থারই হোক না কেন। কখনো আকাশপথে এর চাকা খুলে যায়, কখনো যান্ত্রিক ত্রম্নটি দেখা যায়, আবার বিধ্বস্ত হওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে।
গত বছরের ১২ মার্চ নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলার যে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়, সেটি ছিল এই ড্যাশ-৮ মডেলের। ওই দুর্ঘটনায় ৭১ জন আরোহীর মধ্যে ৫১ জন নিহত হন, যার মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি ছিলেন। সবশেষ বুধবার মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ বিমানের ওই মডেলের একটি বিমান ছিটকে পড়ে রানওয়েতে। প্রাণে বেঁচে যান বিমানের ৩৩ জন আরোহী। তবে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৪ জন।
২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর ড্যাশ-৮ মডেলের উড়োজাহাজ নিয়ে বাংলাদেশ বিমানের ৫ ক্রুসহ ৭১ জন আরোহীর একটি ফ্লাইট অলৌকিকভাবে বেঁচে গিয়েছিল। ওইদিন সকাল সাড়ে নয়টায় সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয় বিমানের ফ্লাইটটি। উড্ডয়নের পর ছয় হাজার ফুট ওপরে উঠলে ড্যাশের একটি চাকা খুলে যায়। পরে চাকা খোলা অবস্থায় বিমানটি ঢাকার দিকে রওনা হয়। পাইলট মোহাম্মদ আতিকুর রহমান ও ফার্স্ট অফিসার সারফারাজ ইয়ামিনের দক্ষতায় সে যাত্রায় প্রাণে বেঁচে যান যাত্রীরা।
এরপর পাইলট আতিকুর রহমান বলেন, বিমানটির ডান দিকের একটি চাকা খুলে গিয়েছিল। তারা জরুরি অবতরণ করেন। এ বছরের ৩১ মার্চ ড্যাশ-৮-এর একটি বিমান সিলেট থেকে ঢাকায় রওনা দেয়। কিছুক্ষণ পরই চাকায় ত্রম্নটি টের পান পাইলট। বিকাল চারটার দিকে শাহজালাল বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করেন তিনি।
এতগুলো দুর্ঘটনা তারপরও বাংলাদেশ বিমানে যোগ হতে যাচ্ছে নতুন ড্যাশ-৮ মডেলের আরও তিনটি উড়োজাহাজ।
বাংলাদেশ বিমানের বহরে এখন ৩টি ড্যাশ-৮ মডেলের বিমান রয়েছে। বোমবারডিয়ার ড্যাশ-৮ হলো দুটি টার্বোপ্রপ ইঞ্জিনবিশিষ্ট মাঝারি পালস্নার বিমান। ১৯৮৪ সালে ডি হ্যাভিল্যান্ড কানাডা সর্বপ্রথম বিমানটি তৈরি করলেও বর্তমানে বোমবারডিয়ার অ্যারোস্পেস এর উৎপাদন করে চলেছে। এ পর্যন্ত ১ হাজার ২০০টির মতো ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ নির্মাণ করা হয়েছে। মিসরের স্মার্ট এয়ার থেকে 'ড্রাই লিজ' পদ্ধতিতে ৭৪ আসনের টার্বো-প্রপেলার উড়োজাহাজ দুটি ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে বিমানবহরে আসে। আগামী পাঁচ বছরের জন্য চুক্তি করা হয়। ২০১৫ সালের আগে বাংলাদেশ বিমানের অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচল বন্ধ আছে। এই বিমান দুটি আনার পরই অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়। পরে গত বছর বিমানবহরে যুক্ত হয় আরও একটি ড্যাশ-৮।
প্রায়ই যান্ত্রিক ত্রম্নটির কারণে এগুলো বিকল হওয়ার ঘটনা ঘটে। ফ্লাইট শিডিউল এলোমেলো হয়ে যায়। দুই বছর আগে রোজার ঈদের সময় বাংলাদেশ বিমানের একটি ড্যাশ-৮ বিকল হয়ে যায়। সে সময় অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রী পরিবহনের সমস্যা দেখা যায়। ফ্লাইট শিডিউল এলোমেলো হয়ে যায়। অভ্যন্তরীণ রুটে বেশ কয়েকটি ফ্লাইটের শিডিউল পরিবর্তন করা হয়। তবে এই ড্যাশ মডেলের উড়োজাহাজ দিয়ে অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইট পরিচালনা করা হয় দেশের অভ্যন্তরে সব বিমানবন্দরে। এ ছাড়া ভারতের কলকাতা, নেপাল, মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন এই তিনটি রুটেও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে ড্যাশ-৮ মডেলের বিমান ব্যবহার করা হয়।
বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাংলাদেশ বিমানের বহরে যে কয়টি ড্যাশ-৮ আছে, এগুলোয় উঠতে তারা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। এগুলোর শীততাপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা ঠিকমতো কাজ করে না। অবতরণের সময় বেশ ঝাঁকুনি হয়, বাম্পিংও হয়। তাদের ধারণা, এগুলো পুরনো মডেলের উড়োজাহাজ। এগুলো লিজে আনা হয়েছে। এগুলোর মান খুব একটা ভালো না। সেবা নিয়ে যাত্রীরাও অসন্তোষ প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে বিমানবহরে বোয়িং ৭৩৭ মডেলের চারটি উড়োজাহাজের দুটি লিজে আনা হয়। এই দুটোর মানও খুব খারাপ। এগুলোরও শীততাপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা কাজ করে না। অনেক সময় এসি বেশি ঠান্ডা হয়, অনেক সময় গরম বাতাস দেয়। এরপরও বিমান নতুন তিনটি ড্যাশ-৮ কিনছে। এগুলো একেবারে কিনেই আনা হচ্ছে।
গত বছরের জুলাই মাসে কানাডার সরকারের প্রতিষ্ঠান বোমবারডিয়ার ইনকরপোরেশনের সঙ্গে তিনটি ড্যাশ-৮ ক্রয়ে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি হয়। এগুলো খুব শিগগির বিমানবহরে যুক্ত হবে।
পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ বিমানের অবসরপ্রাপ্ত বৈমানিক মোহাম্মদ নাসিমুল হক বলেন, 'ড্যাশ-৮- এর বেশ কুখ্যাতি আছে বিশ্বব্যাপী। কিন্তু আমাদের দেশে দুর্ঘটনা ঘটার কারণ হলো তিনটি। এক. আমাদের কপাল খারাপ। দুই. এই বিমানগুলো যারা পরিচালনা করেন, তাদের প্রফেশনালিজম, ট্রেনিং দেওয়ার যে ব্যবস্থা তা আমাদের হয় না। তিন. আমাদের রক্ষণাবেক্ষণের ঘাটতি। এসব কারণেই ড্যাশ- ৮ দুর্ঘটনায় পড়ে।'
গত বছরের ১২ মার্চ নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলার যে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়, সেটি ছিল এই ড্যাশ-৮ মডেলের। ওই দুর্ঘটনায় ৭১ জন আরোহীর মধ্যে ৫১ জন নিহত হন, যার মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি ছিলেন। সবশেষ বুধবার মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ বিমানের ওই মডেলের একটি বিমান ছিটকে পড়ে রানওয়েতে। প্রাণে বেঁচে যান বিমানের ৩৩ জন আরোহী। তবে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৪ জন।
২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর ড্যাশ-৮ মডেলের উড়োজাহাজ নিয়ে বাংলাদেশ বিমানের ৫ ক্রুসহ ৭১ জন আরোহীর একটি ফ্লাইট অলৌকিকভাবে বেঁচে গিয়েছিল। ওইদিন সকাল সাড়ে নয়টায় সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয় বিমানের ফ্লাইটটি। উড্ডয়নের পর ছয় হাজার ফুট ওপরে উঠলে ড্যাশের একটি চাকা খুলে যায়। পরে চাকা খোলা অবস্থায় বিমানটি ঢাকার দিকে রওনা হয়। পাইলট মোহাম্মদ আতিকুর রহমান ও ফার্স্ট অফিসার সারফারাজ ইয়ামিনের দক্ষতায় সে যাত্রায় প্রাণে বেঁচে যান যাত্রীরা।
এরপর পাইলট আতিকুর রহমান বলেন, বিমানটির ডান দিকের একটি চাকা খুলে গিয়েছিল। তারা জরুরি অবতরণ করেন। এ বছরের ৩১ মার্চ ড্যাশ-৮-এর একটি বিমান সিলেট থেকে ঢাকায় রওনা দেয়। কিছুক্ষণ পরই চাকায় ত্রম্নটি টের পান পাইলট। বিকাল চারটার দিকে শাহজালাল বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করেন তিনি।
এতগুলো দুর্ঘটনা তারপরও বাংলাদেশ বিমানে যোগ হতে যাচ্ছে নতুন ড্যাশ-৮ মডেলের আরও তিনটি উড়োজাহাজ।
বাংলাদেশ বিমানের বহরে এখন ৩টি ড্যাশ-৮ মডেলের বিমান রয়েছে। বোমবারডিয়ার ড্যাশ-৮ হলো দুটি টার্বোপ্রপ ইঞ্জিনবিশিষ্ট মাঝারি পালস্নার বিমান। ১৯৮৪ সালে ডি হ্যাভিল্যান্ড কানাডা সর্বপ্রথম বিমানটি তৈরি করলেও বর্তমানে বোমবারডিয়ার অ্যারোস্পেস এর উৎপাদন করে চলেছে। এ পর্যন্ত ১ হাজার ২০০টির মতো ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ নির্মাণ করা হয়েছে। মিসরের স্মার্ট এয়ার থেকে 'ড্রাই লিজ' পদ্ধতিতে ৭৪ আসনের টার্বো-প্রপেলার উড়োজাহাজ দুটি ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে বিমানবহরে আসে। আগামী পাঁচ বছরের জন্য চুক্তি করা হয়। ২০১৫ সালের আগে বাংলাদেশ বিমানের অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচল বন্ধ আছে। এই বিমান দুটি আনার পরই অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়। পরে গত বছর বিমানবহরে যুক্ত হয় আরও একটি ড্যাশ-৮।
প্রায়ই যান্ত্রিক ত্রম্নটির কারণে এগুলো বিকল হওয়ার ঘটনা ঘটে। ফ্লাইট শিডিউল এলোমেলো হয়ে যায়। দুই বছর আগে রোজার ঈদের সময় বাংলাদেশ বিমানের একটি ড্যাশ-৮ বিকল হয়ে যায়। সে সময় অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রী পরিবহনের সমস্যা দেখা যায়। ফ্লাইট শিডিউল এলোমেলো হয়ে যায়। অভ্যন্তরীণ রুটে বেশ কয়েকটি ফ্লাইটের শিডিউল পরিবর্তন করা হয়। তবে এই ড্যাশ মডেলের উড়োজাহাজ দিয়ে অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইট পরিচালনা করা হয় দেশের অভ্যন্তরে সব বিমানবন্দরে। এ ছাড়া ভারতের কলকাতা, নেপাল, মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন এই তিনটি রুটেও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে ড্যাশ-৮ মডেলের বিমান ব্যবহার করা হয়।
বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাংলাদেশ বিমানের বহরে যে কয়টি ড্যাশ-৮ আছে, এগুলোয় উঠতে তারা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। এগুলোর শীততাপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা ঠিকমতো কাজ করে না। অবতরণের সময় বেশ ঝাঁকুনি হয়, বাম্পিংও হয়। তাদের ধারণা, এগুলো পুরনো মডেলের উড়োজাহাজ। এগুলো লিজে আনা হয়েছে। এগুলোর মান খুব একটা ভালো না। সেবা নিয়ে যাত্রীরাও অসন্তোষ প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে বিমানবহরে বোয়িং ৭৩৭ মডেলের চারটি উড়োজাহাজের দুটি লিজে আনা হয়। এই দুটোর মানও খুব খারাপ। এগুলোরও শীততাপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা কাজ করে না। অনেক সময় এসি বেশি ঠান্ডা হয়, অনেক সময় গরম বাতাস দেয়। এরপরও বিমান নতুন তিনটি ড্যাশ-৮ কিনছে। এগুলো একেবারে কিনেই আনা হচ্ছে।
গত বছরের জুলাই মাসে কানাডার সরকারের প্রতিষ্ঠান বোমবারডিয়ার ইনকরপোরেশনের সঙ্গে তিনটি ড্যাশ-৮ ক্রয়ে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি হয়। এগুলো খুব শিগগির বিমানবহরে যুক্ত হবে।
পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ বিমানের অবসরপ্রাপ্ত বৈমানিক মোহাম্মদ নাসিমুল হক বলেন, 'ড্যাশ-৮- এর বেশ কুখ্যাতি আছে বিশ্বব্যাপী। কিন্তু আমাদের দেশে দুর্ঘটনা ঘটার কারণ হলো তিনটি। এক. আমাদের কপাল খারাপ। দুই. এই বিমানগুলো যারা পরিচালনা করেন, তাদের প্রফেশনালিজম, ট্রেনিং দেওয়ার যে ব্যবস্থা তা আমাদের হয় না। তিন. আমাদের রক্ষণাবেক্ষণের ঘাটতি। এসব কারণেই ড্যাশ- ৮ দুর্ঘটনায় পড়ে।'
তদন্তে ৬ সদস্যের কমিটি
এদিকে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি করছে কর্তৃপক্ষ।
বিমানের জনসংযোগ শাখার জিএম শাকিল মেরাজ জানান, তাদের চিফ অব ফ্লাইট সেফটি ক্যাপ্টেন শোয়েব চৌধুরী ৬ সদস্যের এই তদন্ত দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
বুধবার সন্ধ্যায় ইয়াঙ্গুন বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়া ড্যাশ ৮-কিউ ৪০০ উড়োজাহাজটির ক্ষতি নিরূপণে বিমানের গ্রাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারদের একটি দল মিয়ানমারে গেছে বলেও জানিয়েছেন শাকিল মেরাজ।
দুর্ঘটনা এবং যাত্রীদের সর্বশেষ অবস্থা জানাতে বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে আসেন শাকিল মেরাজ।
তিনি বলেন, ইয়াঙ্গুন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ওই বিমানের আরোহীদের মধ্যে মোট ১৮ জনকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করেছিল। তাদের মধ্যে চারজনকে বুধবার রাতেই প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেয়া হয়েছে। বাকিদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
মিয়ানমারে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা সেখানে আছেন। তারা সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নিচ্ছেন, তদারকি করছেন। যে ১৪ জন সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন, তাদের সর্বোচ্চ ভালো চিকিৎসা দেয়ার জন্য যা যা করা দরকার, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে তার সবকিছুই করা হচ্ছে। তবে হাসপাতালে ভর্তি থাকা যাত্রীদের কার কী অবস্থা সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো তথ্য দেননি বিমানের জনসংযোগ শাখার জিএম।
কোন মন্তব্য নেই