খেজুর-হালুয়ায় চেতনানাশক মিশিয়ে ভয়ংকর কৌশলে অজ্ঞানপার্টি - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

খেজুর-হালুয়ায় চেতনানাশক মিশিয়ে ভয়ংকর কৌশলে অজ্ঞানপার্টি



রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে অজ্ঞানপার্টির ৬২ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার জানান, ঈদের আগে এসব চক্রের তৎপরতা বাড়বে এমন তথ্য পেয়েছেন তারা। যথেষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা মামলা করতে আগ্রহী না হওয়ায় এরা বার বার জামিনে বের হয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

স্নায়ুর চাপ কমানো, অনিদ্রাসহ নানা সমস্যায় ব্যবহৃত চেতনাশক ট্যাবলেট সংগ্রহ করা হয় অবৈধ উপায়ে। তারপর সেগুলোকে গুড়ো করে মিশিয়ে দেয়া হয় খেজুরের সঙ্গে। কখনো চেতনানাশক ওষুধের সঙ্গে কাগজ পোড়ানো ছাই মিশিয়ে তৈরি করা বিশেষ এক ধরনের হালুয়া। খুব সাধারণ এই কৌশলই অনেক সময় হয়ে দাঁড়ায় মানুষের মৃত্যুর কারণ।

অজ্ঞানপার্টির একটি দলের সঙ্গে গোপনে কথা হয় সময় সংবাদের। তারা জানায়, সন্দেহ এড়াতে ওষুধের দোকান থেকে একটি দুটি করে ট্যাবলেট সংগ্রহ করেন তারা। তারপর নেমে পড়েন কাজে। এ ক্ষেত্রে একজন থাকে মহাজন, যে সব খরচ ও দায় দায়িত্ব বহন করে। যিনি টার্গেট ঠিক করেন তাকে বলা হয় মাস্টার। আর মানুষকে প্ররোচিত করে খেজুর কিংবা হালুয়া খাওয়ায় যে তাকে বলা হয় কারিগর। ভিড়ের মাঝে আড়াল তৈরির দায়িত্ব পালনকারীকে বলা হয় নলা।



অজ্ঞানপার্টির একজন বলেন, খেজুরের ভেতরে ওষুধের গুড়ো ভরে একজনের কাছে রাখা হয়। তারপর মহাজন বলে দেয় একজনকে টার্গেট করে আমাদের বলে তার পিছু নিতে, সে যে গাড়িতে উঠবে সেই গাড়িতে উঠি আমরা। 

রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে দু’দিন অভিযান চালিয়ে এমন কয়েকটি চক্রের ৬২ জনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় গ্রেফতারকৃতরা আগেও একই অপরাধে আটক হয়েছিল। বিষয়টি স্বীকার করে পুলিশ বলছে, পর্যাপ্ত সাক্ষী না পাওয়া, ক্ষতিগ্রস্তদের মামলা করতে অনীহাসহ নানা কারণেই জামিন পেয়ে যায় এই অপরাধীরা।

গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগের উপ-কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, এ মামলার আইন ৩২৮ ধারা জামিন যোগ্য ধারা। তবে কোন কোন নিরপরাধ মানুষকে ঠকিয়েছে তাদের নিয়ে একাধিক মামলার মাধ্যমে তাদের ধরতে চেষ্টা করি।


গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মাহবুবুর রহমান বলেন, এ মামলাগুলো প্রমাণ করা অনেক কঠিন হয়ে যায়। যারা আক্রমণের শিকার হয়, যারা যাত্রী তারাই এ মামলার মূল সাক্ষী। তারা সাক্ষ্য দিলেই সেই মামলায় তাদের শাস্তি হয়। 



পুলিশ আরো জানায়, এরা অনেক সময় অজ্ঞান করে সব কেড়ে নিয়েই ক্ষান্ত হয় না, ভিকটিমের পরিবারের কাছ থেকে মোবাইল ফোনে মুক্তিপণও আদায় করে থাকে।

কোন মন্তব্য নেই