প্রস্রাবের রং দেখেই বুঝবেন শরীরের অবস্থা
সব সময় প্রস্রাবের রং একই রকম থাকে না। বিভিন্ন কারণে রং পরিবর্তন হতে পারে। সব পরিবর্তনই বিপদের লক্ষণ নয়। স্বাভাবিক কারণেই অনেক সময় প্রস্রাবের রং পরিবর্তন হতে পারে। তবে কিছু রং পরিবর্তন সব সময়ই বিপদের লক্ষণ।
প্রস্রাবের সঙ্গে কিডনির সরাসরি সম্পর্ক। যুক্তরাষ্ট্রের ক্লেভল্যান্ড ক্লিনিক প্রস্রাবের বিভিন্ন রং কীভাবে স্বাস্থ্যের অবস্থার ইঙ্গিত করে এ বিষয়ে কিছু তথ্য প্রকাশ করেছে। তাদের ভাষ্যমতে, প্রস্রাবের রং দেখে শরীরের অবস্থা অনেকটাই ধারনা করা সম্ভব।
জেনে নিন প্রস্রাবের রং কেমন হলে কী বলছে আপনার শরীর-
স্বচ্ছ প্রস্রাব : আপনি প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পানি পান করেছেন। যারা অতিরিক্ত পানি খান তাদের এই ধরনের প্রস্রাব হয়। এটা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক নয়। বরং আরেকটু কম পানি খেলেও সমস্যা নেই।
স্বচ্ছ হলদেটে : আপনি যথেষ্ট সুস্থ। প্রস্রাবের রং এমনটই হওয়া উচিত। এই রংয়েল প্রস্রাব হলে মনে করবেন আপনার শরীর ঠিকঠাক কাজ করছে। পানিও পান করছেন পরিমাণ মতো।
গাঢ় হলুদ : এমন রং দেখতে পেলে ভড়কে যাবেন না। এটিও স্বাভাবিক। এর মানে আপনার শরীর ঠিকঠাক কাজ করলেও সামান্য পানির অভাব দেখা দিয়েছে। পানি পানের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
মধু রং : স্বাভাবিক রং। শরীর এখনও ঠিকঠাক কাজ করছে। কিন্তু শরীরে তরলের অভাব হচ্ছে। পানি পানের পরিমাণ বাড়াতে হবে। ফলের রস, ডাল জাতীয় খাবার খেতে হবে।
কমলা রং : এর বেশ কিছু অর্থ হতে পারে। পানিশূণ্যতার কারণে কমলা প্রস্রাব হতে পারে। সেক্ষেত্রে বিশেষ চিন্তার কিছু নেই। আবার কিছু ওষুধের প্রভাবেও প্রস্রাবের রঙ এমন হতে পারে। তবে যদি কমলা প্রস্রাবের সঙ্গে আপনার হালকা রঙের মল হয় তাহলে কিছুটা চিন্তার বিষয়। পিত্তনালি কিংবা লিভারের সমস্যা হলে এমনটা হয়। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
নীল বা সবুজ : এই রঙের প্রস্রাব হলে তা ভয়েরই। খাবারের রঙের কারণে নীল বা সবুজ প্রস্রাব হতে পারে। আবার হাইপারক্যালসেমিয়া নামক বিরল অসুখে ভুগলেও প্রস্রাবের রং এমন হতে পারে। অনেক সময় ইউরিনারি ট্রাক্টে ইনফেকশন হলেও প্রস্রাবের রং এভাবে বদলে যায়।
ঘোলাটে : কিডনির সমস্যা বা ইউরিনারি ট্রাক্টে ইনফেকশন হলে প্রস্রাবের রং ঘোলাটে হয়ে যায়। তবে যদি মাঝে মাঝে আপনার ঘোলাটে প্রস্রাব হয়, তাহলে চিন্তার বিশেষ কিছু নেই। খাবারে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি হলে এমনটা হতে পারে। কিন্তু প্রত দিন ঘোলাটে প্রস্রাব হলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যান।
বাদামি রঙের : শরীরের পানিশূণ্যতা চরম পর্যায়ে গেলে বা লিভার ঠিকমতো কাজ না করলে বাদামি রঙের প্রস্রাব হয়। আবার কিছু কিছু খাবার বা ওষুধের কারণেও বাদামি প্রস্রাব হতে পারে। যদি আপনার বাদামি প্রস্রাব হয়, তাহলে প্রথমে পানি খাওয়া বাড়ান। যদি তাতেও রং হালকা না হয় তাহলে লিভারের সমস্যা হচ্ছে আপনার।
লাল বা গোলাপি : এই রঙের প্রস্রাব দেখলে অনেকেই ভয় পেয়ে যান। তবে সব সময় গুরুতর সমস্যার কারণে এমনটা হয় না। চারটি কারণে এটা হতে পারে- প্রস্রাবে রক্ত চলে এলে, কোনো বিশেষ খাবার, কোনো বিশেষ ওষুধ বা টক্সিনের কারণে।
বিট, ব্লুবেরি, ব্ল্যাকবেরি খেলে প্রস্রাবের রঙ গোলাপি হতে পারে। টক্সিন, লেড বা পারদের কারণেও গোলাপি রঙের প্রস্রাব হতে পারে। তবে যদি রক্তের কারণে হয়, তাহলে আপনার ইউরিনারি ট্রাক্ট ইনফেকশন, টিউমর বা প্রোস্টেটের সমস্যা, কিডনিতে পাথর হয়ে থাকতে পারে।
প্রস্রাবের সঙ্গে কিডনির সরাসরি সম্পর্ক। যুক্তরাষ্ট্রের ক্লেভল্যান্ড ক্লিনিক প্রস্রাবের বিভিন্ন রং কীভাবে স্বাস্থ্যের অবস্থার ইঙ্গিত করে এ বিষয়ে কিছু তথ্য প্রকাশ করেছে। তাদের ভাষ্যমতে, প্রস্রাবের রং দেখে শরীরের অবস্থা অনেকটাই ধারনা করা সম্ভব।
জেনে নিন প্রস্রাবের রং কেমন হলে কী বলছে আপনার শরীর-
স্বচ্ছ প্রস্রাব : আপনি প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পানি পান করেছেন। যারা অতিরিক্ত পানি খান তাদের এই ধরনের প্রস্রাব হয়। এটা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক নয়। বরং আরেকটু কম পানি খেলেও সমস্যা নেই।
স্বচ্ছ হলদেটে : আপনি যথেষ্ট সুস্থ। প্রস্রাবের রং এমনটই হওয়া উচিত। এই রংয়েল প্রস্রাব হলে মনে করবেন আপনার শরীর ঠিকঠাক কাজ করছে। পানিও পান করছেন পরিমাণ মতো।
গাঢ় হলুদ : এমন রং দেখতে পেলে ভড়কে যাবেন না। এটিও স্বাভাবিক। এর মানে আপনার শরীর ঠিকঠাক কাজ করলেও সামান্য পানির অভাব দেখা দিয়েছে। পানি পানের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
মধু রং : স্বাভাবিক রং। শরীর এখনও ঠিকঠাক কাজ করছে। কিন্তু শরীরে তরলের অভাব হচ্ছে। পানি পানের পরিমাণ বাড়াতে হবে। ফলের রস, ডাল জাতীয় খাবার খেতে হবে।
কমলা রং : এর বেশ কিছু অর্থ হতে পারে। পানিশূণ্যতার কারণে কমলা প্রস্রাব হতে পারে। সেক্ষেত্রে বিশেষ চিন্তার কিছু নেই। আবার কিছু ওষুধের প্রভাবেও প্রস্রাবের রঙ এমন হতে পারে। তবে যদি কমলা প্রস্রাবের সঙ্গে আপনার হালকা রঙের মল হয় তাহলে কিছুটা চিন্তার বিষয়। পিত্তনালি কিংবা লিভারের সমস্যা হলে এমনটা হয়। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
নীল বা সবুজ : এই রঙের প্রস্রাব হলে তা ভয়েরই। খাবারের রঙের কারণে নীল বা সবুজ প্রস্রাব হতে পারে। আবার হাইপারক্যালসেমিয়া নামক বিরল অসুখে ভুগলেও প্রস্রাবের রং এমন হতে পারে। অনেক সময় ইউরিনারি ট্রাক্টে ইনফেকশন হলেও প্রস্রাবের রং এভাবে বদলে যায়।
ঘোলাটে : কিডনির সমস্যা বা ইউরিনারি ট্রাক্টে ইনফেকশন হলে প্রস্রাবের রং ঘোলাটে হয়ে যায়। তবে যদি মাঝে মাঝে আপনার ঘোলাটে প্রস্রাব হয়, তাহলে চিন্তার বিশেষ কিছু নেই। খাবারে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি হলে এমনটা হতে পারে। কিন্তু প্রত দিন ঘোলাটে প্রস্রাব হলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যান।
বাদামি রঙের : শরীরের পানিশূণ্যতা চরম পর্যায়ে গেলে বা লিভার ঠিকমতো কাজ না করলে বাদামি রঙের প্রস্রাব হয়। আবার কিছু কিছু খাবার বা ওষুধের কারণেও বাদামি প্রস্রাব হতে পারে। যদি আপনার বাদামি প্রস্রাব হয়, তাহলে প্রথমে পানি খাওয়া বাড়ান। যদি তাতেও রং হালকা না হয় তাহলে লিভারের সমস্যা হচ্ছে আপনার।
লাল বা গোলাপি : এই রঙের প্রস্রাব দেখলে অনেকেই ভয় পেয়ে যান। তবে সব সময় গুরুতর সমস্যার কারণে এমনটা হয় না। চারটি কারণে এটা হতে পারে- প্রস্রাবে রক্ত চলে এলে, কোনো বিশেষ খাবার, কোনো বিশেষ ওষুধ বা টক্সিনের কারণে।
বিট, ব্লুবেরি, ব্ল্যাকবেরি খেলে প্রস্রাবের রঙ গোলাপি হতে পারে। টক্সিন, লেড বা পারদের কারণেও গোলাপি রঙের প্রস্রাব হতে পারে। তবে যদি রক্তের কারণে হয়, তাহলে আপনার ইউরিনারি ট্রাক্ট ইনফেকশন, টিউমর বা প্রোস্টেটের সমস্যা, কিডনিতে পাথর হয়ে থাকতে পারে।
কোন মন্তব্য নেই