চাকরি দেয়ার কথা বলে আয় দেড় কোটি টাকা
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজারের কার্যালয়ে সহকারী দাবি পরিদর্শক (এসিআই) অলী উল্লাহ সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে চাকরি দেয়ার কথা বলে দৃশ্যমান উৎস ছাড়া প্রায় দেড় কোটি টাকা আয়ের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাকে গ্রেপ্তার করে। তিনি ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার মিশ্রীপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে।
এ বিষয়ে দুদকের চট্টগ্রামের উপপরিচালক মাহবুবুল আলম বলেন, ‘জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জন এবং রেলওয়ের বিভিন্ন পদে চাকরি দেয়ার নামে অর্থ আদায়ের অভিযোগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে অলী উল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ওই মামলায় তাকে আমরা আজ গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছি। আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
সূত্র থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর নগরীর কোতোয়ালী থানায় গ্রেপ্তার হওয়া সুমনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছিলেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো: শরীফ উদ্দিন।
সেই মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৬ সালে অলী উল্লাহর বন্ধু মিজানুর রহমান রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে সাতটি পদে নিয়োগের আবেদন করেন। পদগুলো হচ্ছে- লেম্যান, পরিচ্ছন্নতা কর্মী, আয়া, পোর্টার, ট্রেড অ্যাপ্রেন্টিস, কুরিয়ার ও ট্রেন নাম্বার টেকার। প্রতিটি আবেদনে মিজানুর রহমানের যোগাযোগের ঠিকানা হিসেবে সুমনের অফিসের ঠিকানা ব্যবহার করা হয়। ওই বছরের ২২ আগস্ট নিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে মিজানুর রহমানের কাছ থেকে এস এ পরিবহনের (রিসিপ্ট নম্বর- ৪২৬৬২৭ ও ৪২৬৬৩৫) মাধ্যমে ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন।
দুদক অনুসন্ধানে আরো জানতে পারে, সুমন সোনালী ব্যাংকের সিআরবি শাখায় ২০১২ সালের আগস্ট থেকে ২০১৮ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ১ কোটি ৩১ লাখ ৭ হাজার ৪৮৭ টাকা এবং ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭ লাখ ৩৪ হাজার ৪৮১ টাকা ৫০ পয়সা গ্রহণ করেছেন। যার কোনো নির্দিষ্ট উৎস নেই। আবার উৎস বর্হিভূত সেই টাকা লেনদেনের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জে পাঁচ শতক জমি কেনার তথ্যও অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে।
এ বিষয়ে উপ-পরিচালক মাহবুবুল আলম আরো জানান, দণ্ডবিধির ১৬৩ ও ৪২০ ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২) ধারায় অলী উল্লাহর বিরুদ্ধে এজাহারে অভিযোগ আনা হয়।
সূত্র থেকে আরো জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃত সুমন ২০০৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চিফ পারসোনাল অফিসারের কার্যালয়ে এমএলএসএস পদে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে কর্মরত আছেন। গত বছর দুদকের মামলা দায়েরের পর তিনি সাময়িক বরখাস্ত অবস্থায় ছিলেন। পরে আবার চাকরিতে ফেরেন। তবে গত ১৫ দিন ধরে তিনি বিনা নোটিশে কর্মস্থলে অনুপস্থিত আছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাকে গ্রেপ্তার করে। তিনি ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার মিশ্রীপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে।
এ বিষয়ে দুদকের চট্টগ্রামের উপপরিচালক মাহবুবুল আলম বলেন, ‘জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জন এবং রেলওয়ের বিভিন্ন পদে চাকরি দেয়ার নামে অর্থ আদায়ের অভিযোগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে অলী উল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ওই মামলায় তাকে আমরা আজ গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছি। আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
সূত্র থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর নগরীর কোতোয়ালী থানায় গ্রেপ্তার হওয়া সুমনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছিলেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো: শরীফ উদ্দিন।
সেই মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৬ সালে অলী উল্লাহর বন্ধু মিজানুর রহমান রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে সাতটি পদে নিয়োগের আবেদন করেন। পদগুলো হচ্ছে- লেম্যান, পরিচ্ছন্নতা কর্মী, আয়া, পোর্টার, ট্রেড অ্যাপ্রেন্টিস, কুরিয়ার ও ট্রেন নাম্বার টেকার। প্রতিটি আবেদনে মিজানুর রহমানের যোগাযোগের ঠিকানা হিসেবে সুমনের অফিসের ঠিকানা ব্যবহার করা হয়। ওই বছরের ২২ আগস্ট নিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে মিজানুর রহমানের কাছ থেকে এস এ পরিবহনের (রিসিপ্ট নম্বর- ৪২৬৬২৭ ও ৪২৬৬৩৫) মাধ্যমে ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন।
দুদক অনুসন্ধানে আরো জানতে পারে, সুমন সোনালী ব্যাংকের সিআরবি শাখায় ২০১২ সালের আগস্ট থেকে ২০১৮ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ১ কোটি ৩১ লাখ ৭ হাজার ৪৮৭ টাকা এবং ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭ লাখ ৩৪ হাজার ৪৮১ টাকা ৫০ পয়সা গ্রহণ করেছেন। যার কোনো নির্দিষ্ট উৎস নেই। আবার উৎস বর্হিভূত সেই টাকা লেনদেনের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জে পাঁচ শতক জমি কেনার তথ্যও অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে।
এ বিষয়ে উপ-পরিচালক মাহবুবুল আলম আরো জানান, দণ্ডবিধির ১৬৩ ও ৪২০ ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২) ধারায় অলী উল্লাহর বিরুদ্ধে এজাহারে অভিযোগ আনা হয়।
সূত্র থেকে আরো জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃত সুমন ২০০৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চিফ পারসোনাল অফিসারের কার্যালয়ে এমএলএসএস পদে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে কর্মরত আছেন। গত বছর দুদকের মামলা দায়েরের পর তিনি সাময়িক বরখাস্ত অবস্থায় ছিলেন। পরে আবার চাকরিতে ফেরেন। তবে গত ১৫ দিন ধরে তিনি বিনা নোটিশে কর্মস্থলে অনুপস্থিত আছেন।

কোন মন্তব্য নেই