অপার সৌন্দর্যে ভরা নিঝুম দ্বীপ
![]() |
অপার সৌন্দর্যে ভরা নিঝুম দ্বীপ
|
নিঝুম দ্বীপ (Nijhum Dip)বঙ্গপসাগরের অবস্থিত ছোট্ট
একটি দ্বীপ,নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় অবস্থিত প্রায় ১৪,০০০ একর আয়তনের এই দ্বীপটি
বল্লার চর, কামলার চর, চর ওসমান ও চর মুরিসহকয়েকটি চরের সমন্বয়ে গঠিত। শীতকালে
নিঝুম দ্বীপে সরালি, জিরিয়া, লেনজা, পিয়ং, রাঙ্গামুড়ি, চখাচখি, ভূতিহাঁস, রাজহাঁস, কাদাখোঁচা, বাটান, জিরিয়া, গুলিন্দা, গাংচিল, কাস্তেচরা, পেলিক্যান ইত্যাদি হাজারো অতিথি পাখির আগমন ঘটে। স্থানীয়
পাখির মধ্যে চোখে পড়ে সামুদ্রিক ঈগল, বক শঙ্খচিল। এছাড়া দ্বীপে রয়েছে হরিণ, বন্য শূকর,
শেয়াল, বানর এবং নানা রকম
সাপ।এই দ্বীপে হরিণের সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার।
নিঝুম দ্বীপের মতো দেশের অন্য কোথাও একসাথে এত চিত্রা হরিণ
দেখা যায় না। আর পাখি দেখতে চাইলে পার্শ্ববর্তী দ্বীপ কবিরাজের চর ও দমার চর উত্তম
জায়গা। নিঝুম দ্বীপে দেখা মিলে প্রায় ৩৫ প্রজাতির বিভিন্ন পাখির।
নিঝুম দ্বীপ এর দর্শনীয় স্থানসমূহ
বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে কবিরাজের চরের কাছে চৌধুরীর খাল
দিয়ে কিছুক্ষণ হাঁটলেই হরিণের দেখা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া ট্রলার রিজার্ভ
নিলে মাঝিই আপনাদের হরিণ দেখিয়ে আনবে। ১০-১৫ জনের জন্য ট্রলার ভাড়া করতে ১০০০ থেকে
১২০০ টাকা লাগবে। সন্ধ্যায় কবিরাজের চরে সূর্যাস্থের সাথে হাজার মহিষের পাল আপনার
দৃষ্টি কাড়বে।
আর কমলার দ্বীপে কমলার খালে প্রচুর ইলিশ পাওয়া যায়।
স্থানীয়দের কাছ থেকে তাজা ইলিশ কিনতে পারেন। নিঝুম দ্বীপে স্থানীয় ছোট ছোট ছেলেরা
গাইডের কাজ করে সকাল বেলায় এদের সাথে নিয়ে ম্যানগ্রোভ বনের হরিণ দেখতে পাবেন
সহজেই। নামার বাজার থেকে নামা বাজার সি বীচ হেঁটে যেতে ১০ মিনিট সময় লাগে। নামা
বাজার সি বীচ থেকে সূর্য উদয় ও সূর্যাস্ত দেখা ছাড়াও বারবিকিউ করতে পারবেন।
দমার চরের দক্ষিণ দিকে নতুন সী বিচটি ভার্জিন আইল্যান্ড
হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে। এই আইল্যান্ডে নাম না জানা অনেক পাখির দেখা মিলে। এই
দ্বীপে যেতে ভাড়া ৩০০০ থেকে ৩৫০০ টাকা ট্রলার ভাড়া লাগবে। চোয়াখালিতে নিঝুম
রিসোর্ট এর বারান্দা থেকেও মাঝে মাঝে হরিণের দেখা পাওয়া যায়। এছাড়া যদি হাতে সময়
থাকে তবে ট্রলার রিজার্ভ নিয়ে ভোলার ঢালচর, চর কুকরি – মুকরিতে একটি দিন
কাটিয়ে আসতে পারেন।
কখন নিঝুম দ্বীপ যাবেন
সাধারণত অক্টোবর থেকে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত নিঝুম
দ্বীপ ভ্রমনের জন্য উপযুক্ত সময়। বছরের অন্য সময় মেঘনা নদী ও সাগর বেশ উত্তাল থাকে
তাই অই সময় নিঝুম দ্বীপ ভ্রমণে সতর্ক থাকা উচিত।
নিঝুম দ্বীপ যাওয়ার উপায়
বাসে চড়ে ঢাকা থেকে নোয়াখালী হয়ে নিঝুম দ্বীপ
বাসে চড়ে নিঝুম দ্বীপ যেতে চাইলে নোয়াখালীর সোনাপুর নামতে
হবে। ঢাকা সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে একুশে এক্সপ্রেস, মুনলাইন এন্টারপ্রাইজ, হিমাচল
এক্সপ্রেসের বাসে নোয়াখালীর সোনাপুর যেতে পারবেন। ধানমন্ডি জিগাতলা কাউন্টার থেকে
একুশে পরিবহনের বাস নোয়াখালীর সোনাপুর জন্য রাত ১০ টা ২০ মিনিটে ছাড়ে। এসব বাসের
নন-এসি এবং এসি কোচের ভাড়া ৩৫০ থেকে ৪০০টাকা পর্যন্ত।
নোয়াখালীর সোনাপুর থেকে সিএনজি বা অন্য যানবাহনে করে
চেয়ারম্যান ঘাট যেতে হবে, সিএনজি রিজার্ভ করে চেয়ারম্যান ঘাটে আসতে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা
ভাড়া লাগবে। একটা সিএনজিতে সর্বোচ্চ ৫ জন বসতে পারবেন। চেয়ারম্যান ঘাট থেকে হাতিয়া
যাওয়ার বিভিন্ন সি-ট্রাক, ট্রলার ও স্পীড বোট পাবেন। চেয়ারম্যান ঘাট থেকে হাতিয়া
যাওয়ার সি-ট্রাক, ট্রলার এবং স্পীড বোট ভাড়া জনপ্রতি ৯০, ১২০-১৫০ এবং ৪০০
টাকা। হাতিয়ার নলচিরা ঘাটে নেমে মোটর সাইকেল রিজার্ভ করে মোক্তারিয়া ঘাট পৌঁছাতে
হবে, মোটর সাইকেল ভাড়া দুই জন ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা লাগবে। মোক্তারিয়া ঘাট থেকে
ট্রলারে চড়ে ২২ টাকা ভাড়ায় নিঝুম দ্বীপের বন্দরটিলা ঘাটে এসে মোটর সাইকেলে করে
নামার বাজার আসতে দুই জনের ভাড়া লাগবে ১০০ টাকা।
উল্লেখ্য: নোয়াখালী চেয়ারম্যান ঘাট থেকে প্রতিদিন সকাল ৮
টায় সি-ট্রাক ছাড়ে, আর নলচিরা থেকে নোয়াখালী চেয়ারম্যান ঘাট আসার ফিরতি সী
ট্রাক সকাল ১০ টায় ছাড়া।
ট্রেনে করে ঢাকা থেকে নোয়াখালী হয়ে নিঝুম দ্বীপ
ঢাকা থেকে ট্রেনে করে নিঝুম দ্বীপ যেতে চাইলে নোয়াখালীর
মাইজদি ট্রেন থেকে নামতে হবে। ঢাকার কমলাপুর থেকে বৃহস্পতিবার ছাড়া সপ্তাহের অন্য
৬ দিন বিকাল ৪ টা ২০ মিনিটে উপকুল এক্সপ্রেস নামক আন্তঃনগর ট্রেন নোয়াখালীর
উদ্দেশ্যে যাত্রা করে, মাইজদি পৌঁছাতে প্রায় ৬ ঘন্টা সময় লাগে। ট্রেনের টিকেটের
শ্রেনী ভেদে ভাড়া ২৩০ থেকে ৫৫০ টাকা পর্যন্ত।
মাইজদি থেকে চেয়ারম্যান ঘাট আসার সিএনজি রিজার্ভ ভাড়া লাগবে
৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। আর লোকালে আসতে জনপ্রতি ভাড়া লাগবে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা।
চেয়ারম্যান ঘাট থেকে উপরোক্ত উপায়ে নিঝুম দ্বীপ যেতে পারবেন।
লঞ্চে ঢাকার সদরঘাট থেকে হাতিয়া হয়ে নিঝুম দ্বীপ
ঢাকার সদরঘাট থেকে হাতিয়ায় উদ্দেশ্যে প্রতিদিন বিকাল ৫ টা
৩০ মিনিটে একটি মাত্র লঞ্চ ছেড়ে যায়। লঞ্চটি হাতিয়ার তমুরদ্দী ঘাটে পৌঁছায় পরদিন
সকাল ৮ টা থেকে ৯ টার মধ্যে। তমুরদ্দী ঘাট থেকে ঢাকায় ফেরার লঞ্চ দুপুর ১২ টা ৩০
মিনিটে ছাড়ে। লঞ্চ ভাড়া ডেক – ৩৫০ টাকা, সিঙ্গেল কেবিন – ১২০০ টাকা এবং ডাবল কেবিন – ২২০০ টাকা।
হাতিয়ার তমুরদ্দী ঘাটে নেমে মোটর সাইকেল যোগে মোক্তারিয়া
ঘাটে আসতে হবে। মোক্তারিয়া ঘাটে আসতে দুইজনের ভাড়া লাগবে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা।
মোক্তারিয়া ঘাট থেকে নিঝুমদ্বীপের বন্দরটিলা ঘাটে যেতে ট্রলার ভাড়া লাগবে জনপ্রতি
২২ টাকা। আর বন্দরটিলা ঘাট থেকে মোটর সাইকেলে করে নামার বাজার যেতে দুইজনকে ১০০
টাকা খরচ করতে হবে।
আবার তমুরদ্দী ঘাট থেকেও সরাসরি নিঝুমদ্বীপ নামার বাজার
যেতে পারবেন। প্রতিদিন সকাল ১০ টার সময় তমুরদ্দী ঘাট থেকে কিছু ফিশিং ট্রলার
সরাসরি নিঝুম দ্বীপের নামার বাজার যায়, এগুলিতে জনপ্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ভাড়ায় যেতে
পারবেন। এছাড়া ট্রলার রিজার্ভ নিয়ে নিঝুম দ্বীপের নামার বাজার যেতে ট্রলারের সাইজ
অনুযায়ী ৩৫০০ থেকে ৫০০০ টাকা লাগতে পারে।
নিঝুম দ্বীপ ভ্রমণের বিশেষ নির্দেশনা:
১। যদি কোন কারনে হাতিয়ার তমুরুদ্দি যাবার এম.ভি. ফারহান
৩/৪ লঞ্চ করেন তবে ঐ দিনই বিকাল ৬ টা ৩০ মিনিটে যাত্রা আরম্ভকারী এম.ভি. টিপু-৫
অথবা এম.ভি. পানামা লঞ্চে তজুমুদ্দিন কিংবা মনপুরা ঘাটে নেমে পুনরায় এম.ভি. ফারহান
৩/৪ লঞ্চ ধরতে পারবেন। আবার চাইলে মনপুরা ঘাট থেকে ট্রলারে করে সহজে হাতিয়ার
তমুরুদ্দি ঘাটে যেতে পারবেন।
২। আর যদি এম.ভি. টিপু-৫ এবং এম.ভি. পানামা লঞ্চও মিস করে
বসেন তবে দ্রুত এম.ভি. ফারহান-৬ অথবা এম.ভি. ফারহান-৭ লঞ্চে চড়ুন। এই লঞ্চ গুলোর
যাত্রার সময় ৬ টা ৩০ মিনিট হলেও এরা ছাড়তে একটু দেরী করে। এই লঞ্চে তজুমুদ্দিন
ঘাটে গিয়ে এম.ভি. ফারহান-৩/৪ লঞ্চ ধরতে পারবেন। তজুমুদ্দিন ঘাট থেকেও ট্রলারে চেপে
হাতিয়ার তমুরুদ্দি ঘাটে যাওয়া যায়।
এই ৬ টি লঞ্চই একই মালিকের। প্রয়োজনে নিচের নম্বরগুলোতে
যোগাযোগ করতে পারেন।
এম.ভি. ফারহান ৩ – 01785-630365, 01785-630366,
01785-630367
এম.ভি. ফারহান ৪ – 01785-630368, 01785-630369,
01785-630370
লঞ্চে চট্রগাম সদরঘাট থেকে হাতিয়া হয়ে নিঝুম দ্বীপ
চট্টগ্রামের সদরঘাট থেকে শুক্রবার ও রবিবার বাদে সপ্তাহে
তিন দিন সকাল ৯ টায় এম.ভি.বার আউলিয়া, এমভি আব্দুল মতিন এবং এম.বি মনিরুল হক স্টীমার
হাতিয়া নলচিরা ঘাট পর্যন্ত চলাচল করে। চট্টগ্রামের সদরঘাট থেকে হাতিয়ায় আসতে
ভাড়া লাগবে: চেয়ার ক্লাস – ৩৫০ টাকা, দ্বিতীয় শ্রেনী – ১১১০ টাকা এবং প্রথম শ্রেনী – ২২১৫ টাকা।
হাতিয়ার নলচিরা থেকে মোটর সাইকেল রিজার্ভ নিয়ে মোক্তারিয়া
ঘাট এসে উপরের বর্নিত উপায়ে নিঝুম দ্বীপে যেতে পারবেন।
নিঝুম দ্বীপ গিয়ে কোথায় থাকবেন
নিঝুম দ্বীপে থাকার জন্য নামার বাজার সী বীচের কাছে অবস্থিত
অবকাশ পর্যটনের নিঝুম রির্সোট বেশ ভালো জায়গা। নিঝুম রিসোর্টে ১৫০০ থেকে ৩০০০
টাকায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির রুম পাওয়া যায়। সাধারণত অফ সিজনে (এপ্রিল ১৫ – সেপ্টেম্বর ৩০
পর্যন্ত) এখানে ৫০% ডিসকাউন্টে রুম পাওয়া যায়।
যোগাযোগ করতে পারেন –
নিঝুম দ্বীপ অফিস: সবুজ ভাই: 01724-145864,
01845-558899, 01738-230655
ঢাকা অফিস: অবকাশ পর্যটন লিমিটেড, আলহাজ সামসুদ্দিন ম্যানসন (নবম
তলা), ১৭ নিউ ইস্কাটন রোড । ফোনঃ 9342351, 9359230, 8358485, 01552-372269
নামার বাজারের হোটেল শাহিনের ভাড়া একটু বেশি। তবুও প্রয়োজনে
যোগাযোগ করতে পারেন 01863-150881 ফোন নম্বরে। আর সবচেয়ে সস্তায় থাকতে নামার বাজারের মসজিদ
বোর্ডিং এ যেতে পারেন। স্থানীয় মসজিদ থেকে এই ব্যবস্থা করা হলেও এখানে রুমের সাথে
কোনো এটাচ বাথরুম ও জেনারটরের ব্যবস্থা পাবেন না। এখানে রয়েছে ২ টি কমন বাথরুম এবং
১ টি টিউবওয়েল। এখানে ২০০ থেকে ৪০০ টাকায় সিঙ্গেল এবং ডাবল বেডের রুম পাবেন।
যোগাযোগ করতে পারেন 01866-373937 এবং 01727-958879 নাম্বারে। সৈয়দ চাচার থাকা ও খাবার হোটেল খ্যাত
হোটেল দ্বীপ সম্পদে থাকতে ফোন করতে পারেন 01720-601026 ও 01760-008106 নাম্বারে।
এছাড়াও বন্দরটিলায় অবস্থিত নিঝুম ড্রিমল্যান্ড রিসোর্ট ও
হোটেল শেরাটনে চাইলে রাত্রি যাপন করতে পারবেন। নিঝুম ড্রিমল্যান্ড রিসোর্টের ঢাকা
বুকিং অফিসের ফোন নাম্বার 01847-123573 এবং নিঝুম দ্বীপ বুকিং অফিসের নাম্বার 01847-123572।
নিঝুম দ্বীপ গিয়ে কোথায় খাবেন
নিঝুম দ্বীপে তেমন ভালো খাবার না পেলেও সামুদ্রিক মাছ,
মোটা চালের ভাত,
মাংস, রুটি ইত্যাদি
পাবেন। আলতাফ চাচার হোটেলের (হোটেল আসিফ) খাবারের মান অন্য সব হোটেল থেকে বেশ ভাল।
আর আগে থেকে খাবারের অর্ডার করে গেলে তুলনামূলক ভাল খাবার পাবেন। এছাড়া নামার
বাজারে বেশ কিছু খাবার হোটেল রয়েছে, যেখানে সামুদ্রিক মাছ এবং চিংড়ী ভাজা খেতে বেশ ভালো।
বার বি কিউ এর জন্য নিঝুম রিসোর্ট এর ম্যানেজার সবুজ ভাইকে বললে সব ব্যবস্থা করে
দিবে। নিঝুম দ্বীপে ২০ থেকে ২৫ টাকায় ডাব পাওয়া যায়।
নিঝুম দ্বীপ ভ্রমণের কিছু পরামর্শ:
চেয়ারম্যান ঘাট বা নলচিরা থেকে গমনকারী সি-ট্রাকগুলো জোয়ার
ভাটার উপর নির্ভর করে যাত্রা করে এবং এখান থেকে প্রতি ২ ঘন্টা পরপর ট্রলার ছাড়ে,
আর বিকাল ৫ টার পর
ট্রলার চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ক্যাম্পিং করতে প্রয়োজনীয় সবই নামার বাজারে পাবেন।
বর্তমানে প্রায় সকল অপারেটরের নেটওয়ার্ক পাওয়া গেলেও নিঝুম
দ্বীপে শুধুমাত্র রবি ও এয়ারটেলের ৩ জি সুবিধা পাওয়া যায়।
নিঝুম দ্বীপে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নেই। নিঝুম দ্বীপ সোলার এবং
জেনারেটরের উপর নির্ভরশীল। তাই মোবাইলের এক্সট্রা ব্যাটারী কিংবা পাওয়ার ব্যাংক
সাথে রাখুন। তবে প্রয়োজনে টর্চ, মোবাইল কিংবা ক্যামেরার ব্যাটারি চার্জের জন্য এখানে দুটো
দোকান আছে।
নিঝুম দ্বীপের মানুষের ব্যবহার ভাল এবং এরা খুব সহজ সরল,
এদের সাথে আপনিও
ভাল ব্যবহার করুন।

কোন মন্তব্য নেই