চাপাতি-স্ট্যাম্প পাওয়া গেলো আবরারকে পেটানোর কক্ষে - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

চাপাতি-স্ট্যাম্প পাওয়া গেলো আবরারকে পেটানোর কক্ষে







বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রক্তক্ষরণ ও ব্যথায় তিনি মারা গিয়েছেন বলে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে জানানো হয়।

রোববার দিনগত রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। যে কক্ষে আবরারকে হত্যা করা হয় সে কক্ষ থেকে হত্যার বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়েছে।

সোমবার শের-ই বাংলা হলের ওই কক্ষে যান আবরারের ঢাকার বসবাসরত স্বজনরা। সেখানে গিয়ে তারা স্ট্যাম্প, চাপাতি সদৃশ স্টিলের চাকু এবং মদের বোতল দেখেছেন বলে জানান। ওই রুমে রক্তের ছোপ ছোপ দাগও রয়েছে বলে জানান তারা।

তবে আবরারের ব্যবহৃত মোবাইল ও ল্যাপটপ পাওয়া যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেছেন তারা।

পুলিশ অভিযান চালিয়ে কয়েকটি মদের বোতল উদ্ধার করে ওই কক্ষ থেকে। একই সঙ্গে ৫-৬টি স্টাম্পও উদ্ধার করা হয়।

আবরারের মামাতো ভাই আবু তালহা রাসেল বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি সকাল ৬টায় ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে আসি। ওখান থেকে ৭টায় আবরারের হলে যাই। সেখানে আবরারকে মারা হয়েছে। আমি সেখানে গিয়ে দেখি একটা চাপাতি, বেশ কিছু ভাঙা ও অক্ষত স্ট্যাম্প আর মদের বোতল। আমি ছবি তুলতে চাইলে আমার সঙ্গে থাকা পুলিশ সদস্যরা বাধা দেয়।’

আবরারের মামা মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘আমরা যখন আবরারকে ঢামেক মর্গে দেখি তখন তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন দেখি। শরীরের প্রায় সব জায়গায় মোটা মোটা ও লালচে আঘাতের চিহ্ন আছে। আবরার যে রুমে থাকে সেখানে গিয়ে তার ল্যাপটপ ও ব্যাবহারের মুঠোফোন খুঁজলে সেগুলো পাইনি। কে বা কারা নিয়েছে সেটাও বলতে পারছি না।’



খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আবরারকে যে কক্ষে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে, সেই কক্ষে নিয়মিত মদের আসর বসত। সেই কক্ষে বেশ কয়েকটি মদের বোতলও পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, ওই রুমে চারজন থাকতেন, তারা সবাই ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের নেতা।

ওই হলের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, ওই রুমে সবসময় মদ্যপান চলত। তারা রাতে মদ খেয়ে চিৎকার করতেন। তাদের কেউ কিছু বলতে গেলে গালিও দিতেন। আশপাশের রুমে যারা থাকেন, তারা ভালোভাবে ঘুমাতে পারতেন না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হল শাখা ছাত্রলীগের এক নেতা জানান, এটি ছাত্রলীগের রাজনৈতিক কক্ষ হিসেবে ব্যবহার হতো। এমনকি তারা যে কাউকে তুলে নিয়ে এসে নির্যাতন করতেন।


কোন মন্তব্য নেই