মুসলিম ও খ্রিষ্টানের মাঝে বিয়ে কী জায়েজ? - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

মুসলিম ও খ্রিষ্টানের মাঝে বিয়ে কী জায়েজ?



আরটিভির সরাসরি ইসলাম নিয়ে প্রশ্নোত্তরমূলক বিশেষ অনুষ্ঠান ‘শরিফ মেটাল প্রশ্ন করুন’। এ অনুষ্ঠানে কোরআন ও হাদিসের আলোকে দর্শক-শ্রোতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়। এবারের পর্বে উত্তর দিয়েছেন ইসলামী চিন্তাবিদ হাফেজ মুফতি কাজী মুহাম্মদ ইব্রাহিম।
প্রশ্নঃ মুসলিম ও খ্রিষ্টানের মাঝে কী বিয়ে দেয়া যায়? 
উত্তরঃ ইহুদি এবং খ্রিস্টান জাতির সাথে মুসলমানদের বিয়ে ইসলাম ধর্ম অনুমোদন করে। এই দুই জাতির মেয়েকে মুসলমানরা বিয়ে করতে পারবে। কারণ এই দুই জাতিই আসমানী কিতাবের অনুসারী।
সুরা আল মায়িদা’র পাঁচ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, তোমাদের পূর্বে আহলে কিতাবপ্রাপ্ত যে জাতি রয়েছে তাদের সৎচরিত্রের অধিকারী মেয়েদের তোমরা বিয়ে করতে পারবে। কিন্তু ইহুদি বা খ্রিষ্টান পুরুষরা মুসলিম নারীদের বিয়ে করতে পারবে না। কিন্তু এখানে আমার পরামর্শ হল, তিনি যদি খ্রিষ্টান নারীদের বিয়ে করতে চান তাহলে তাকে আগে মুসলিম বানান, ইসলাম কবুল করান। তাহলে ভবিষ্যতে সন্তানের ধর্ম নিয়ে যে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সে নিয়ে কোন জটিলতা থাকবে না। 

প্রশ্নঃ একজন কুরআনের হাফেজ কী একজন আলেমের চেয়ে বেশি মর্যাদাবান? দুইজনের উপস্থিতিতে কে ইমামতি করবেন?
উত্তরঃ কোরআনের হাফেজের সত্যিকারের অর্থ হল যিনি কোরআনের সম্পূর্ণ অর্থ বোঝেন। তার মানে একজন হাফেজ হলেন অনেক বড় মাপের আলেম। কিন্তু আমাদের সমাজে হাফেজরা সাধারণত মাসলা মাসায়েল বা দীনের এইসব জরুরী বিষয়গুলো জানার সুযোগ পান না। কাজেই এইযুগে হাফেজদের সাধারণত তারারিহ নামাজের জন্য ডাকা হয়। আর আলেমদের দিয়ে ঈমামতি করানো হয়। তিরমিজি শরিফের একটা হাদিস আছে, ইমামতি করবেন তিনি, যিনি কুরআন সুন্নাহর বড় আলেম। কাজেই একজন অর্থ না জানা হাফেজের চেয়ে একজন অর্থ জানা আলেম ইমামতির জন্য বেশি হকদার।

কোন মন্তব্য নেই