শখের পোষ্য সুখের পায়রা - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

শখের পোষ্য সুখের পায়রা







কথায় বলে, শখের তোলা আশি টাকা। তাই শখের বসে বশ হন না এমন মানুষ পাওয়া ভার। নানা কাজের ভিড়ে মানুষ যখন যান্ত্রিক হয়ে পড়ে তখন শখের বসে করা এসব টুকিটাকি কাজ তার মনকে প্রফুল্ল করে, প্রশান্তি জোগায়। শখের এ কাজগুলো অনেক সময় আয়েরও উৎস হতে পারে। নানা মানুষের নানা রকমের শখ থাকে। অনেকেরই আছে কবুতর পোষার শখ। সহজে পোষ মানা এই কবুতর কারও কাছে পায়রা, কারও কাছে কপোত, আবার কারও কাছে পারাবত নামে পরিচিত।

নিজের সৌন্দর্যের কারণে কবুতর সহজেই মানুষের মনে জায়গা করে নেয়। তাই চিলেকোঠা কিংবা বাড়ির অল্প পরিসরের জায়গাজুড়ে গড়ে ওঠে শখের কবুতরের ঘর। তবে এসব ঘর হয়ে থাকে কাঠের আর খোপ কাটা। এক একটি ঘরে যাতে কবুতর অনায়াসে যাতায়াত করতে পারে সে দিকে নজর রাখতে হয়।

অন্যদিকে এসব ঘরে যাতে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস থাকে এবং দক্ষিণমুখী হয় সেই দিকেও খেয়াল রাখা প্রয়োজন। পায়রা পোষার ক্ষেত্রে অনেকেই আবার খাঁচা ব্যবহার করে থাকেন। সে ক্ষেত্রে খাঁচার মাপ নির্ভর করে আপনি কতগুলো কবুতর পালতে চাচ্ছেন তার ওপর। অন্যদিকে কাঠ ছাড়াও কবুতরের ঘর তৈরিতে টিন, বাঁশ কিংবা খড়ের ব্যবহার হয়ে থাকে।

যারা খামার আকারে কবুতর পোষেন তারা খামারের ভেতরে নরম মাটি, খড়কুটা রেখে দিলে কবুতররাই ডিম পাড়ার জন্য নিজেদের জায়গা তৈরি করে নিতে পারে। আর বাচ্চা ফুটাতে খোপের ভেতর মাটির সরা বসিয়ে রাখলে তাতেই কবুতর ডিম পাড়ে আর তা থেকে বাচ্চা ফুটিয়ে বড় করে তোলে। কবুতরে আছে নানা জাত। এর মাঝে প্রায় ত্রিশ ধরনের কবুতর আছে বাংলাদেশে। প্রায় ২০০ জাতের কবুতর পাওয়া যায় পুরো পৃথিবীতে।

উল্লেখযোগ্য পোষা কবুতরের তালিকায় আছে হোমার, গিরিজাত, ফেন্সি, গোলা, কিং, লাহোর, চুইনা, কাগজি, চিলা, গোররা, জাক, কালদম, পটার জ্যাকোবিনসহ আরও নানা জাত। এসব কবুতরের নাম যেমন সুন্দর তেমনি এরা দেখতেও বেশ সুন্দর করে থাকে। কবুতরের খাবারও বেশ সহজলভ্য। এরা গম, চাল, ধান, খুদ, চিনা, সরিষা, ডাবলি, কাউন, বাজরা খেয়ে থাকে। তবে খাবার সহজলভ্য হলেও কবুতর ভেদে খাবারে আছে ভিন্নতা।

সেই ক্ষেত্রে গিরিজাত কবুতর যেমন ধান, গম, সরিষা খেয়ে থাকে অন্যদিকে ফেন্সি কবুতর ডাবলি, বুট, ছোলা ইত্যাদি খেয়ে থাকে। তাই খাবার নির্বাচন করার আগে কোন কবুতর কেমন খাবার খেয়ে থাকে সেটি অবশ্যই জেনে নিন।

অন্য প্রাণীর মতো কবুতরের রোগ হয়ে থাকে। আর এসব রোগ খুব সহজে সংক্রমণশীল তাই কবুতর অসুস্থ দেখলে নিকটস্থ পশু হাসপাতালে যোগাযোগ করুন যত দ্রুত সম্ভব। বর্তমান সময়ে শখের বসে কবুতর পোষা হলেও একটি সময় এ কবুতর ছিল বার্তাবাহকও। ঠোঁটে করে বার্তা পৌঁছে দিত এসব পায়রা দূর থেকে দূরে। আর নীল আকাশে ডানা ঝাপটে জানান দিত তার আগমন বার্তা।


কোন মন্তব্য নেই