হংকংয়ের নির্বাচন গুরুত্ব পায় নি চীনা সংবাদ মাধ্যমে - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

হংকংয়ের নির্বাচন গুরুত্ব পায় নি চীনা সংবাদ মাধ্যমে



হংকংয়ের ঐতিহাসিক নির্বাচনে গণতন্ত্রপন্থিরা ভূমিধস বিজয় পেলেও সে খবর মোটেও গুরুত্ব পায় নি চীনের মিডিয়ায়। এর মধ্য দিয়ে নির্বাচনের ফলকে ছোট করে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। চীন সরকার প্রত্যাশা করছিল তাদের পক্ষ অবলম্বনকারী তথাকথিত ‘সাইলেন্ট মেজরিটি’ দিয়ে বিক্ষোভকারীদের মুখ বন্ধ করে দিতে পারবে। তাদের পক্ষে সমর্থনের জোয়ার দেখাতে পারবে। কিন্তু ঘটেছে তার উল্টো। বেইজিংপন্থি উল্লেখযোগ্য প্রার্থীরা ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিলের আসনগুলোতে পরাজিত হয়েছেন। এসব বিষয়ে দৃষ্টি না দিয়ে চীনা মিডিয়া সেখানে শৃংখলা ফেরানোর ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।


চীনের রাষ্ট্রীয় মিডিয়াগুলো এই নির্বাচনের ফলাফলের তেমন উল্লেখই করে নি। উল্টো নির্বাচনে জালিয়াতির বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভির প্রতিদিনের সংবাদভিত্তিক প্রোগ্রাম সিনওয়েন লিয়ানবো নির্বাচনের ফলের বিষয়ে একেবারে নীরব ছিল। উল্টো নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপকে দায়ী করেছে তারা। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া কিছু অভিযোগ তুলেছে। তারা বলেছে, সপ্তাহান্তেই নির্বাচন হয়ে গেছে। এরপরেই তারা সাম্প্রতিক সময়ের সহিংসতার দিকে ফিরে আসে এবং শৃংখলা ফেরানো প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছে। অন্যদিকে সংবাদ মাধ্যম গ্লোবাল টাইমস নির্বাচনকে বিস্তারিত কভারেজ দেয় নি। ইংরেজি ভাষার এই পত্রিকাটিতে বলা হয়, হংকংপন্থি ডেমোক্রেটদের বড় জয় হয়েছে। এসব প্যান-ডেমোক্রেটদের বিজয়কে বড় করে দেখার কোনো প্রয়োজন নেই।

গ্লোবাল টাইমসের সম্পাদক হু সিজিন মুখখোলা কথাবার্তার জন্য সুপরিচিত। তিনি চীনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ওয়েইবো’তে উল্লেখ করেছেন যে, বেইজিংপন্থি শিবির ব্যর্থ হয়েছে। আরো যোগ করেছেন তিনি এই বলে যে, ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল নির্বাচন খুব বেশি স্থানীয় পর্যায়ের। ওদিকে ইংরেজি ভাষার পত্রিকা চায়না ডেইলি রিপোর্ট করেছে যে, নির্বাচন শেষ হয়েছে। তবে গণতন্ত্রপন্থি শিবিরের এত বড় বিজয়ের কোনো উল্লেখ করে নি। তারা টুইটারে আলাদা একটি ছবি পোস্ট করেছে। তার ক্যাপশনে বলা  হয়েছে, যেভাবে বিরোধীরা সুষ্ঠু নির্বাচনে জালিয়াতি করছে। এতে দেখানো হয়েছে হংকংয়ের সাম্প্রতিক বিক্ষোভকারীরা ভোটারদের আইডি কার্ড নিয়ে নিচ্ছেন। এর মধ্য দিয়ে তাদেরকে ভোটদানে বাধা দিচ্ছেন। গণতন্ত্রপন্থি কাউন্সিলরদের ভোট দিয়ে বয়স্কদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। তবে এ ছবির পক্ষে কোনো তথ্যপ্রমাণ দেয়া হয় নি।

কোন মন্তব্য নেই