পেঁয়াজ ব্যবসায়ীকে জরিমানা করায় ম্যাজিস্ট্রেট অবরুদ্ধ - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

পেঁয়াজ ব্যবসায়ীকে জরিমানা করায় ম্যাজিস্ট্রেট অবরুদ্ধ

অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রির অভিযোগে চুয়াডাঙ্গার কাঁচাবাজারে অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় দুটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
শনিবার দুপুরে শহরের নিচের বাজারের কাঁচামালের খুচরা ও পাইকারি বাজারে এ অভিযান চালানো হয়।
এদিকে জরিমানার অর্থ আদায় করা হলে ব্যবসায়ীরা ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযানে থাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সংবাদকর্মী ও পুলিশকে অবরুদ্ধ করে মারমুখী আচরণে  উদ্যত হয়। লাঞ্ছিত করা হয় স্থানীয় দুই সংবাদকর্মী ও পুলিশ সদস্যদেরকে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় চুয়াডাঙ্গার খুচরা ও পাইকারি বাজারে অন্যান্য জায়গার তুলনায় অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে। এমন সংবাদ পেয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিব্বির আহমেদ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমজাদ হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ২০ হাজার টাকা এবং অপর একটি প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
পরে জরিমানার অর্থ আদায় করা হলে ব্যবসায়ীরা ক্ষিপ্ত হয়ে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। অভিযানের সংবাদ সংগ্রহে থাকা স্থানীয় সাংবাদিক এস এম শাফায়েত ও তৌহিদুর রহমান তপুকে মারধর করে ব্যবসায়ীরা। ভাংচুর করা হয় তাদের ব্যবহৃত একটি ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সিব্বির আহমেদ আরটিভি অনলাইনকে জানান, পেঁয়াজের দাম বেশি রাখায়  দুই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া প্রতিষ্ঠানগুলোতে নির্ধারিত মূল্য তালিকা না টাঙিয়ে ইচ্ছামতো পণ্য বিক্রির প্রমাণও পাওয়া যায়।
জরিমানার অর্থ আদায় করা হলে ব্যবসায়ীরা ক্ষিপ্ত হয়ে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।

লাঞ্ছিত সংবাদকর্মী এস এম শাফায়েত ও তৌহিদুর রহমান তপু জানান, অভিযানের খবর পেয়ে তারা সংবাদ সংগ্রহে যায়। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও পুলিশকে ঘেরাও করে রাখার ছবি তুলতে গেলে তাকে এবং তৌহিদুর রহমান তপুকে মারধর করে ব্যবসায়ীরা। ভাংচুর করা হয় তাদের ব্যবহৃত একটি ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার ইবু বলেন, শুধুমাত্র ভুল বোঝাবুঝি থেকে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বাজার পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান জানান, ঘটনার পরপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
জেবি

কোন মন্তব্য নেই