'করোনার পরবর্তী কেন্দ্রস্থল হতে পারে যুক্তরাষ্ট্র' - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

'করোনার পরবর্তী কেন্দ্রস্থল হতে পারে যুক্তরাষ্ট্র'












যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত ৫৪ হাজারের বেশি, মৃত্যু অন্তত ৮০০।
করোনাভাইরাসের পরবর্তী কেন্দ্রস্থল হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ব্রিটিশ যুবরাজ প্রিন্স চার্লস। বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা চার লাখ ছাড়িয়েছে। মারা গেছে অন্তত ১৯ হাজার মানুষ। একদিনে ইতালিতে মারা গেছে ৭শ' ৪৩ জন। স্পেনে ৬৮০ ও ফ্রান্সে ২৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে ২০শে জানুয়ারি। গত ১৭ই মার্চ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছিল শ'খানেক। কিন্তু এক সপ্তাহেই মারা যায় অন্তত সাতশ। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা অর্ধলক্ষাধিক, যা চীন, ইতালির পর সর্বোচ্চ। তাই চীন ও ইউরোপের পর যুক্তরাষ্ট্রকে করোনার পরবর্তী কেন্দ্রস্থলের সতর্কবার্তা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস বলেন, ব্যাপক হারে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। সারাবিশ্বে নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ৮৫ ভাগই ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের। এরমধ্যে ৪০ শতাংশই যুক্তরাষ্ট্রে।

করোনায় যুক্তরাষ্ট্রের সবকটি অঙ্গরাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা অর্ধলক্ষ ছাড়িয়েছে। তার মধ্যে নিউইয়র্কেই আক্রান্ত ২৫ হাজারেরও বেশি। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহের আবেদন জানিয়েছেন নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়ামো।






নভেল করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা আগের দুই দিনের তুলনায় বেড়েছে। তবে নতুন করে করোনায় আক্রান্তের হার কমেছে।

লকডাউন থাকা সত্ত্বেও স্পেনে করোনায় মৃতের সংখ্যা এবার চীনকে ছাড়িয়ে গেছে। দেশটিতে ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ৪৪৩জন। মোট মৃতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে। স্পেনে মরদেহ রাখার জন্য রাজধানী মাদ্রিদের একটি শপিংমলে আইস রিংককে অস্থায়ী মর্গ হিসেবে পরিণত করা হয়েছে।

এদিকে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭১ বছর বয়সী ব্রিটিশ যুবরাজ প্রিন্স চার্লস। তবে তার স্ত্রী ক্যামেলিয়া করোনা আক্রান্ত হননি। তারা দুজন এখন স্কটল্যান্ডে আইসোলেশনে আছেন।

সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে অস্ট্রেলিয়ায় শেষকৃত্যে ১০ জন ও বিয়েতে পাঁচজনের বেশি উপস্থিত না থাকার নির্দেশনা দিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ২৪ ঘন্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ শতাংশ বাড়ায় জরুরি অবস্থা জারি করেছে নিউজিল্যান্ডে। মালয়েশিয়ার বাড়ানো হয়েছে জরুরি অবস্থার সময়সীমা।

কোন মন্তব্য নেই