গবেষণা: করোনায় প্রাণ হারাতে পারে অন্তত দেড় কোটি মানুষ
অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির একদল গবেষকের দাবি, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটলে বিশ্বজুড়ে অন্তত দেড় কোটি মানুষ প্রাণ হারাতে পারেন।
করোনাভাইরাস এড়াতে যাদের মাস্ক পরা জরুরি, যাদের নয়
তবে পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর হতে পারে, সংক্রমণ যদি বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে পৌঁছায়। গবেষণায় বলা হয়, সংক্রমণ বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে পৌঁছায় তাহলে বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে প্রাণহানির সংখ্যা ৬ কোটি ৮০ লাখে ঠেকতে পারে।
সবচেয়ে বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে পড়বে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যে। শুধুমাত্র এই দুই দেশে লাখ লাখ মানুষ প্রাণ হারাবে।
গবেষকদের দাবি, নিম্নমাত্রার মহামারি হলেও প্রাদুর্ভাব শুরুর প্রথম বছরে বিশ্বজুড়ে দেড় কোটি মানুষ মারা যাবে। সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র চীন এবং ভারতে কয়েক মিলিয়ন করে মানুষ মারা যাবে।
অস্ট্রেলীয় এই গবেষকের দল জানায়, এতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণ হারাতে পারে ২ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ। যুক্তরাজ্যে ৬৪ হাজার, জার্মানিতে ৭৯ হাজার এবং ফ্রান্সে ৬০ হাজার মানুষ মারা যেতে পারেন। অস্ট্রেলীয় এই গবেষকরা সতর্ক করে বলছেন, ব্যাপক প্রাদুর্ভাবের মুখোমুখি দক্ষিণ কোরিয়া এবং ইতালিতেও লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটতে পারে।
গবেষকরা বলছেন, করোনার প্রাদুর্ভাব তীব্র মহামারি আকার ধারণ করলে বিশ্বজুড়ে ৬ কোটি ৮০ লাখ মানুষের প্রাণ যাবে। শুধুমাত্র চীনেই মারা যাবে ১ কোটি ২০ লাখ, যুক্তরাষ্ট্রে ১ কোটি ১০ লাখ, ব্রিটেনে ২ লাখ ৯০ হাজার।
তাছাড়া মাঝারি মাত্রার মহামারি হলে বিশ্বে প্রাণ হারাবে ৩ কোটি ৮০ লাখ মানুষ।
এতে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে পড়বে কিছু কিছু দেশের অর্থনীতি। গবেষণায় বলা হয়, সেসব দেশের অর্থনীতির সংকোচন ঘটাতে পারে ৮ শতাংশের মতো, যা বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিতে প্রবল ধাক্কা তৈরি করবে।
তবে গবেষকরা বলছেন, তাদের এই ফলাফলের সম্ভাব্যতা অত্যন্ত অনিশ্চিত। এসব লক্ষ্য ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট না হলেও রোগের সম্ভাব্য বিভিন্ন অর্থনৈতিক ব্যয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করবে। দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য প্রতিরোধমূলক নীতি গ্রহণের তাগিদ দিয়েছেন।
দুই গবেষক ওয়ারউইক ম্যাককিবন এবং রোশেন ফার্নান্দো গবেষণা প্রকাশ করে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, প্রাদুর্ভাবে স্বল্প সময়ে বিশ্ব অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাব ফেলতে পারে। সূত্র- দ্য সান, ডেইলি মেইল
কোন মন্তব্য নেই