খোলা নেই আশ্রয়কেন্দ্র, দিশেহারা মানুষ - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

খোলা নেই আশ্রয়কেন্দ্র, দিশেহারা মানুষ














নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে বেড়িবাঁধ ভেঙে জোয়ারে শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে হাতিয়ার জনপদ ও ফসলি মাঠ। তবে এ দুর্যোগের সময় প্রশাসনের নির্দেশে এলাকাবাসী স্থানীয় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে গিয়ে তা তালাবদ্ধ থাকায় ফিরে আসতে হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন।

গতকাল বুধবার বিকেল পৌনে ৪টা পর্যন্ত দক্ষিণ সোনাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর বিরবিরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কে এ হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুখচর মজহারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চরচেঙ্গা আল-হাবীব সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে সবগুলোতেই তালা ঝুলছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের একটি স্থানে আধা কিলোমিটার, নলচিরা ইউনিয়নের দুটি স্থানে এক কিলোমিটার, চরকিং ইউনিয়নে আধা কিলোমিটার ও তমরুদ্দি ইউনিয়নের ভাঙা বাঁধ মেরামত না করায় ঘূর্ণিঝড়ে সৃষ্ট জোয়ারের পানিতে বুধবার রাতে শতাধিক এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির আগে থেকেই ওইসব এলাকার আশ্রয়কেন্দ্রগুলো যেমন তালাবদ্ধ ছিল, এখনো তেমনই আছে। দুর্যোগের আগে সংশ্লিষ্ট কেউ সেখানে যাননি, পরিষ্কারও করেননি। এমতাবস্থায় প্রশাসনের নির্দেশে আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে তালাবদ্ধ পেয়ে ফিরে গেছেন অনেকেই। এতে চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছেন এসব এলাকার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ‘বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত এলাকার লোকজনকে দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে। তাছাড়া মাইকিং করে তাদেরকে আশ্রয়কেন্দ্রে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’







আশ্রয়কেন্দ্র বন্ধ কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘স্কুলের আশপাশে দপ্তরি আছে। লোকজন আসলে আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেওয়া হবে।’

সূত্র : আমাদের সময়

কোন মন্তব্য নেই