দেউলিয়া ঘোষণার আবেদন, বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ১১৮ বছরের কোম্পানি জেসি পেনি - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

দেউলিয়া ঘোষণার আবেদন, বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ১১৮ বছরের কোম্পানি জেসি পেনি












করোনা মহামারিতে বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রচণ্ড ধাক্কা লেগেছে। তারই শিকারে পরিণত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আরো একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোর চেইন জেসি পেনি। তাদেরকে দেউলিয়া ঘোষণার জন্য আবেদন করেছে এরই মধ্যে। এর ফলে ১১৮ বছর বয়সী এই কোম্পানি আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে এমন ভাগ্য বরণ করছে যুক্তরাষ্ট্রের চারটি বড় বড় রিটেইলার শপ বা চেইন স্টোর। দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছে জেসি পেনি। তাই চ্যাপ্টার ১১ এর অধীনে তারা স্টোরগুলো বন্ধ করে দিচ্ছে। এর প্রথম ধাপ প্রকাশ করা হবে সামনে কয়েক সপ্তাহে।
ভারতের সরকারি বার্তা সংস্থা পিটিআই এ খবর প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, করোনা মহামারির পরে দেউলিয়া ঘোষণার আবেদন করেছে যেসব প্রতিষ্ঠান তার মধ্যে জেসি পেনি সবচেয়ে বড়। এর আগে এমন অবস্থার শিকারে পরিণত হয়েছে বিলাসবহুল অন্য ডিপার্টমেন্টাল স্টোর চেইন নেইম্যান মারকাস, জে ক্রু এবং স্টেজ স্টোর। যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে আরো বিপুল সংখ্যক রিটেইলার স্টোর বন্ধ করে দিতে চাইছে। কারণ, তাদের বিক্রি একেবারে কমে গেছে। প্রকৃতপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে রিটেইল বিক্রি মার্চ থেকে এপ্রিলে কমে গেছে শতকরা রেকর্ড ১৬.৪ ভাগ। জেসি পেনির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জিল সোলতাউ এক বিবৃতিতে বলেছেন, করোনা ভাইরাস মহামারি আমাদের পরিবার, প্রিয়জন, আমাদের সম্প্রদায় ও দেশের বিরুদ্ধে অপ্রত্যাশিত এক চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে। এর ফল হিসেবে খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নতুন এক বাস্তবতার মুখোমুখি এই শিল্প। তাই জেসি পেনি কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ঋণ কাঁধে নিয়ে এবং বিপুল সংখ্যক স্টোর বন্ধ করে দিয়ে জেসি পেনি টিকে থাকতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তাদের ক্রেতাদের সবচেয়ে বড় অংশ সমাজের মধ্য থেকে নি¤œ আয়ের মানুষ।




কিন্তু এই শ্রেণির মানুষ করোনার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এসব ক্রেতা যদিও কেনাকাটা করতে যান, তারা খোঁজেন ডিসকাউন্ড। খুচরা বিক্রেতা বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিটেইল মেট্রিক্সের প্রেসিডেন্ট কেন পারকিনস বলেন, এটা একটা দীর্ঘ ও বেদনাদায়ক বিষয়। এতে ম্যাসিজ, টিজে ম্যাক্স অথবা ওয়াল মার্ট কিভাবে টিকে থাকবে? জেসি পেনির দাবি তার ঋণের কয়েক শত কোটি ডলার কমিয়ে দেয়া উচিত এবং তাদের ক্ষেত্রে আরো নমনীয়তা প্রদর্শন করা উচিত। তারা আরো বলেছে, তাদের হাতে এখন আছে ৫০ কোটি ডলার নগদ অর্থ। ৯০ কোটি ডলারের আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে। মানুষ যখন অনলাইনে এবং ডিসকাউন্টের কেনার দিকে ঝুঁকছে, তখন জেসি পেনির মতো আরো অনেক স্টোর টিকে থাকার সঙ্গে লড়াই করছে। এরই মধ্যে শিয়ার্স তার কয়েক শত স্টোর কমিয়ে দিয়েছে। ওদিকে রিয়েল এস্টেট গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্রিন স্টিল এডভাইজরস গত মাসে এক রিপোর্টে পূর্বাভাষ দিয়েছে যে, ২০২১ সালের শেষ নাগাদ ছোটখাট ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের শতকরা ৫০ ভাগের বেশি বন্ধ হয়ে যাবে।






কোন মন্তব্য নেই