এত্ত টীকা, কোনটিতে মিলবে সমাধান! - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

এত্ত টীকা, কোনটিতে মিলবে সমাধান!














করোনা ভাইরাস চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত প্রায় ২০০টি সম্ভাব্য ওষুধ নিয়ে কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা। তার মধ্যে ১২৩টি টীকা। এগুলো যাতে করোনা প্রতিরোধ করতে পারে সেজন্য ল্যাবরেটরিতে দিনরাত ব্যস্ত তারা। কিন্তু এরও মধ্যে মাত্র ৭টি টীকা মানব শরীরে পরীক্ষায় প্রয়োগ হচ্ছে। সম্ভাব্য এত্ত এত্ত চিকিৎসা থাকলেও এখন পর্যন্ত কোনো টীকাই স্বীকৃতি পায় নি। এর মধ্যে আবার শুক্রবার মার্কিন কোম্পানি সরেন্তো থেরাপিউটিকস (এসআরএনই) দাবি করেছে তারা এমন একটি এন্টিবডি আবিষ্কার করেছে, যা করোনা প্রতিকার করতে পারে শতভাগ। একই দিনে সিবিএস নিউজ চ্যানেল রিপোর্ট করে, ইউএস ন্যাশনাল ইন্সটিটিউটস অব হেলথ (এনআইএইচ) নিশ্চিত করেছে, তাদের গবেষকরা করোনা ভাইরাসের একটি কার্যকর টীকা নিয়ে পরীক্ষা শুরু করেছেন। আরো একটি বায়োটেক বলেছে, তারাও করোনা ভাইরাস পরীক্ষায় নতুন একটি পদ্ধতির অনুমোদন পেয়েছে।
সরেন্তোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হেনরি জি ফক্স নিউজকে বলেছেন, তাদের উদ্ভাবিত এন্টিবডি মানব শরীরে শতভাগ প্রতিরোধ গড়ে তোলে। করোনা ভাইরাসকে ধ্বংস করে। তার ভাষায়, ‘আমরা জোর দিয়ে বলতে চাই, প্রতিকার এসে গেছে’। তার এ ঘোষণার পর শেয়ারবাজারে সরেন্তোর শেয়ারের দাম এক লাফে ৫১.৫ ভাগ বেড়ে গেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের থিংকট্যাংক মিলকেন ইন্সটিটিউট এমন দাবির বিষয়ে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলেছে, এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় প্রায় ২০০ রকমের ওষুধ উদ্ভাবন নিয়ে কাজ চলছে। এর মধ্যে লক্ষণীয় হলো সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে এমন ১২৩টি টীকা তৈরির কাজ করছেন বিভিন্ন গ্রুপের বিজ্ঞানীরা। তবে এর মধ্যে মাত্র সাতটি সম্ভাব্য টীকা মানবশরীরে প্রয়োগে করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তারা বলছেন, টীকা আবিষ্কারে যে বিপুল পরিমাণ বিজ্ঞানী নেমে পড়েছেন তাতে দেখা যাচ্ছে পুরো বিশ^ সম্প্রদায় এই করোনা ভাইরাসের প্রতিকার খুঁজে পেতে উঠেপড়ে লেগেছে। এরই মধ্যে এই ভাইরাসে বিশে^ মারা গেছেন তিন লাখের বেশি মানুষ। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৪৫ লাখ। এক্ষেত্রে এক কোম্পানি সফলতার দাবি করছে, তো অন্য কোম্পানি তার পাল্টা দাবি করছে। তবে এখন পর্যন্ত তাদের কারো টীকাই স্বীকৃতি লাভ করে নি। বিশ^ অর্থনৈতিক ফোরামের এক রিপোর্টে যুক্তরাষ্ট্রের জায়ান্ট ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি মডার্ন-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টিফেন ব্যানসেল জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন- এত এত টীকা আবিষ্কারকের প্রতিযোগিতায় মিথ্যা আশায় বুক বাঁধবেন না। তবে এসব আবিষ্কারকের মধ্য থেকে যে ৭টি টীকা মানবশরীরে প্রয়োগ করে পরীক্ষা হচ্ছে তা অত্যন্ত ইতিবাচক। এক্ষেত্রে আশাবাদী হওয়া যায়।
মডার্ন উদ্ভাবিত টীকা প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে মানবশরীরে ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় ব্যবহার করা হয় ১৬ই মার্চ। এ ছাড়া আরো সম্ভাব্য ৬টি টীকা প্রয়োগ করা হয়েছে মানব শরীরে। এগুলো হলো বেইজিং ইন্সটিটিউট অব বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টের বায়োএনটেক (বিএনটি১৬২), ক্যানসিনো বাইয়োলজিকসের এডি৫-এনকোভ, ইনোভিও ফার্মাসিউটিক্যালসের আইএনও-৪৮০০, সিনোভ্যাক বায়োটেক এবং ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডের সিএইচএডিওএক্স১ এনকোভ-১৯।






এ সপ্তাহে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল রিপোর্ট করেছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের ডজনখানে বিজ্ঞানী, অর্থ যোগানদাতা ও বড় বড় শিল্পের মালিকরা মিলে একটি গ্রুপ গঠন করেছেন। এর নাম দেয়া হয়েছে ‘সায়েন্টিস্টস টু স্টপ কোভিড-১৯’। তাদের উদ্দেশ্য এই রোগের একটি প্রতিকার বা প্রতিষেধক বের করা।

কোন মন্তব্য নেই