আম্ফানের প্রভাবে সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতি জানতে ২ তদন্ত কমিটি
নিজের বুক পেতে সুপার সাইক্লোন আম্ফানের তীব্রতা কমিয়ে দিয়ে লোকালয়ের মানুষকে আবারও রক্ষা করেছে ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইট সুন্দরবন। পূর্ব বিভাগের শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জের জীববৈচিত্র্যের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করতে আলাদা দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বন বিভাগ।
প্রধান বন সংরক্ষক (সিসিএফ) মো. আমির হোসাইন চৌধুরীর নির্দেশে বৃহস্পতিবার বিকালে শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জে কর্মকর্তাদের প্রধান করে আলাদা দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ। এই কমিটিকে আগামী ৩ দিনের মধ্যে সরেজমিনে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে সুপার সাইক্লোন আম্ফান প্রথমে পূর্ব সুন্দরবনের দুবলা ও কটকায় আঘাত হেনে রাতভর এই ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ বনে তাণ্ডব চালায়। আম্ফান সুন্দরবনে আঘাত হানার আগে ৩ থেকে ৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছাসে বন তলিয়ে যেতে শুরু করলে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে দলে-দলে কয়েক শত হরিণ সুন্দরবনের কটকা, দুবলা, চরাপুটিয়া ও কোকিলমুনি বন অফিসের কম্পাউন্ডে দল বেঁধে আশ্রয় নেয়। আশ্রয় নেয়া এসব হরিণ সকালে আবার বনে ফিরে গেছে।
প্রাথমিক ভাবে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের ৮টি বন অফিসের টিনের চালা উড়ে গেছে ও সম্পূর্ণ ভেঙ্গে গেছে ৫টি জেটি। প্রধান বন সংরক্ষকের নির্দেশে বাগেরহাট পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা এসিএফ মো. জয়নুল আবেদিন ও চাঁদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা এসিএফ এনামুল হককে প্রধান করে সাত সদস্যের আলাদা দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিকে আগামী ৩ দিনের মধ্যে সরেজমিনে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলেই সুন্দরবনের পূর্ব বিভাগের জীববৈচিত্র্যের কি পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জানা যাবে।
কোন মন্তব্য নেই