'টাইরিসের বিরুদ্ধে ফাহিমকে হত্যার ব্যাপক প্রমাণ মিলেছে' - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

'টাইরিসের বিরুদ্ধে ফাহিমকে হত্যার ব্যাপক প্রমাণ মিলেছে'












ফাহিমের বোন যখন অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকছিলেন, তখন লাশ টুকরা করছিলেন টাইরিস।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে পাঠাওয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ'র সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী টাইরিজ হাসপিলের বিরুদ্ধে তাকে হত্যার ব্যাপক প্রমাণ পাওয়া গেছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এসব প্রমাণ শনাক্ত করা হয়েছে। শনিবার ম্যানহাটানের ক্রিমিনাল কোর্টে একথা জানিয়েছেন প্রসিকিউটররা।

ছোটবেলা থেকেই প্রযুক্তি নিয়ে ভীষণ আগ্রহ ছিল ফাহিমের। সারাক্ষণই প্রযুক্তি বিষয়ক নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে আসতেন। পাঠাও ছাড়াও বাংলাদেশের সাইকেল রাইডিং সার্ভিস জোবাইকেও বিনিয়োগ করেন তিনি। মাত্র ১৮ বছর বয়সেই হয়েছিলেন মিলিয়নিয়ার। তবে প্রতিহিংসার জেরে ভীষণ সফল এই মানুষটিকে বরণ করতে হল করুন পরিণতি।

প্রসিকিউটররা বলছেন, সারভেইলেন্স ফুটেজ়ে তার সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী টাইরিসই যে তাকে হত্যা করে মরদেহ টুকরো টুকরো করেছে এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে।

ফুটেজে দেখা যায়, সোমবার ফাহিমের অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকেই প্রথমে টেজার গান দিয়ে তাকে অজ্ঞান করে এবং পরে তাকে ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে টাইরিজ। ফাহিমকে হত্যার পর একটি গাড়িতে করে ম্যানহাটানের একটি দোকান থেকে বৈদ্যুতিক কড়াত এবং ঘর পরিষ্কার করার সামগ্রী কেনেন তিনি। এ সময় ফাহিমের ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করেন টাইরিজ।

এর পরদিন মঙ্গলবার হত্যার আলামত মুছে ফেলতে আবারও তার অ্যাপার্টমেন্টে যায়। এদিনই নৃশংসভাবে ফাহিমের মরদেহ টুকরো টুকরো করে টাইরিজ। ফাহিমের মরদেহের টুকরোগুলো ব্যাগে ভরার সময় ফাহিমের খালাতো বোন কলিংবেল চাপতে থাকলে ভয়ে সিঁড়ি দিয়ে পালিয়ে যায় টাইরিজ।






এছাড়া টাইরিজের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া পোশাকের সঙ্গে হত্যার সময় পরা পোশাকের মিল পাওয়া গেছে। তাকে ফোনের জিপিএসের মাধ্যমেও ট্র্যাক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। ভিডিও ক্লিপের অন্তত দুজন ব্যক্তি তাকে শনাক্ত করেছেন বলেও জানিয়েছেন প্রসিকিউটররা।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফাহিমের কাছ থেকে ৯০ হাজার ডলার চুরির জেরে টাইরিজকে বরখাস্ত করেন ফাহিম। তবে তার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ না করে কিস্তিতে টাকাটা ফেরত দেয়ার সুযোগ দিয়েছিলেন ফাহিম।

কোন মন্তব্য নেই