টিকা আসার আগেই করোনায় মৃত্যু হতে পারে ২০ লাখ মানুষের: ডব্লিউএইচও
ডব্লিউএইচওর জরুরি বিভাগের প্রধান মাইক রায়ান বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বৈশ্বিক প্রচেষ্টা যদি জোরদার না হয় তবে মৃত্যুর এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। গতকাল শুক্রবার প্রতিষ্ঠানটির জেনেভার সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
গত বছরের ডিসেম্বর মাসে চীনের উহানে করোনার প্রাদুর্ভাব হয়। এরপর এ যাবৎ করোনায় প্রায় ১০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
বিশ্বে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ করোনায় সংক্রমিত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত তিন কোটি ২০ লাখ মানুষ করোনায় সংক্রমিত হয়েছে।
সম্প্রতি বিশেষ করে ইউরোপে সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েছে। একে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বলে মনে করা হচ্ছে। আর এর ফলে অনেকে দেশেই নতুন করে লকডাউন আরোপের ভাবনাচিন্তা চলছে।
ইউরোপের সংক্রমণ পরিস্থিতির বিষয়ে ড. রায়ান বলেন, ‘এই বিশাল এলাকায় করোনোর ভীতিকর বৃদ্ধি আমরা দেখছি।
লকডাউন সংক্রমণ প্রতিরোধের একেবারে শেষ প্রায় উপায় বলা যায়। এ মাসে আমরা এই শেষ উপায় নিয়ে ভাবছি। এটা একটা উন্নত ভাবনাই বলা যায়।’
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি এবং মৃত্যুর মধ্যেই বিশ্বজুড়ে একটি কার্যকর টিকার জন্য মরিয়া প্রচেষ্টা চলছে। টিকার জন্য সারা বিশ্বে এখন ১৮০টির বেশি উদ্যোগ চালু আছে। এর মধ্যে নয়টি টিকা তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালে আছে।
এ পরিস্থিতিতে রায়ানকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, টিকার এসব প্রচেষ্টার মধ্যে ২০ লাখ মৃত্যু কীভাবে সম্ভব? রায়ান উত্তরে বলেন, ‘এটা অসম্ভব নয়।’ তবে তিনি এও বলেন, মৃত্যুর সংখ্যা কিছু কমছে কারণ করোনার চিকিৎসার মান উন্নত হচ্ছে।
তবে রায়ান বলেন, উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং একটি কার্যকর টিকা ২০ লাখ মুত্যু ঠেকাতে সক্ষম নাও হতে পারে। তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানদের উদ্দেশে বলেন, ‘মৃত্যুর এ সংখ্যা কমানোর জন্য যা করার দরকার তা করতে কী আমরা প্রস্তুত?’ তিনি কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতি আহ্বান জানান। রায়ান বলেন, ‘আমরা যদি আমাদের প্রচেষ্টা না বাড়াই তবে আপনারা যেটা অসম্ভব বলছেন , দুঃখজনকভাবে সেটা ঘটবে।’
কোন মন্তব্য নেই