আমিরাত-ইসরাইল সম্পর্ক স্বাভাবিক করার অন্যতম স্থপতি সৌদি যুবরাজ: ইসরাইলি দৈনিক
ইহুদিবাদী ইসরাইলের হিব্রুভাষী দৈনিক ইয়োদইয়ুত অহরোনোত বলেছে, সৌদি যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমান ইসরাইল ও আরব-আমিরাতের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান শরিকের ভূমিকা রেখেছেন।
স্মদার পেইরি এ দৈনিকে লিখেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইসরাইলের মধ্যে শান্তি চুক্তি সত্যিই এক ঐতিহাসিক প্রক্রিয়া। তিনি আরও বলেন, এর ভিত্তি হল অর্থনৈতিক সমঝোতা এবং সাংস্কৃতিক ও পর্যটন বিষয়ে সহযোগিতা। অবশ্য এর গোপন অংশটি হল ইরানের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তথ্য-বিনিময় ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা।
পেইরি আরও লিখেছেন, সৌদি যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমান সম্পর্ক স্বাভাবিক করার এই কাজ সমন্বয়ে প্রথম থেকেই ছিলেন নেপথ্যের পরিপূর্ণ শরিক। তিনি আরও লিখেছেন, সৌদি যুবরাজের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাই ও উপদেষ্টা জেরার্ড কুশনার ও আমিরাতের শাসক মুহাম্মাদ বিন জাইদের ঘনিষ্ঠতা সাম্প্রতিক দিনগুলোতে দ্বিগুণ চাপ সৃষ্টি করেছে ওই ক্ষেত্রে।
ওই বিশ্লেষক আরও লিখেছেন, বিন সালমান জোর দিয়েছেন যে, আরব আমিরাতই সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে প্রথম। কিন্তু তিনি সৌদি আরবের আকাশ অতিক্রমে ইসরাইলি বিমানকে পরিপূর্ণ অনুমতি দেয়ার বিষয়ে কিছু বলেনিন। কুশনার প্রতিজ্ঞা করে বলেছেন, আরও আরব দেশ ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পর্যায়ে রয়েছে!
সৌদি যুবরাজ কখন এই প্রক্রিয়ায় প্রকাশ্যে যোগ দেবে তার প্রতিশ্রুতি না দিলেও এ ব্যাপারে সহায়তার অঙ্গীকার করেছেন বলে ওই সাংবাদিক লিখেছেন। ট্রাম্প, নেতানিয়াহু, বিন জায়েদ ও বিন সালমান এই চারের চক্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই সব কিছু দ্রুত সম্পন্ন করার ওপর জোর দিচ্ছে। লেখক আরও লিখেছেন, আমিরাতের সঙ্গে ইসরাইলের সম্পর্কের বিষয়টি নতুন কিছু নয় বা হঠাৎ করে ঘটে যাওয়া বিষয় নয়, অন্তত ১৫ বছর আগ থেকেই তারা এই প্রক্রিয়ার আওতায় যোগাযোগ বা সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। পার্সটুডে
কোন মন্তব্য নেই