মুক্তি পেয়েই মেহবুবা মুফতি জানালেন আন্দোলন চলবে
ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের পর গত বছরের ৫ আগস্টে জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক তিন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ, ওমর আবদুল্লাহ এবং মেহবুবা মুফতিসহ কাশ্মীরের বহু রাজনীতিককে আটক করে কেন্দ্রীয় সরকার।
কয়েক মাস আগে ওমর আবদুল্লাহ ও ফারুক আবদুল্লাহসহ কয়েকজনকে মুক্তি দেয়া হলেও মেহবুবাকে গৃহবন্দি করেই রাখা হয়। বারবার নানা অজুহাতে তার গৃহবন্দির মেয়াদ বাড়ানো হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। গত জুলাইয়ে তিন মাসের জন্য মেহবুবার গৃহবন্দির সময়কাল বাড়িয়েছিল প্রশাসন।
৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের পর মেহবুবাকে প্রথমে দুটি সরকারি বাসস্থানে আট মাস গৃহবন্দি করে রাখা হয়। তার পর এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে তাকে ফের আটক দেখানো হয় জননিরাপত্তা আইনে। এরপর তার বাসভবন ফেয়ার ভিউতে স্থানান্তর করা হয় মেহবুবাকে। সেই বাসভবনকে অস্থায়ী জেলে পরিণত করা হয় এবং সেখানেই গৃহবন্দি করে রাখা হয় পিডিপি নেত্রীকে।
মেহবুবাকে কোন যুক্তিতে আটকে রাখা হয়েছে তা নিয়ে সরব হয়েছিলেন তার মেয়ে ইলতিজা মুফতি। সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিমকোর্টে মামলা করেন ইলতিজা। গত সেপ্টেম্বরে সেই মামলার শুনানি ছিল। তখন আদালত সরকারের কাছে জানতে চেয়েছিলেন কতদিন মেহবুবাকে তাদের হেফাজতে রাখবে। এ বিষয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে সরকারের জবাবদিহি চেয়েছিলেন আদালত। তার পরই এ দিন মুক্তি দেয়া হয় মেহবুবাকে।
মেহবুবার মুক্তির কিছুক্ষণের মধ্যেই ইলতিজা টুইট করে বলেন, মেহবুবাকে অবৈধভাবে আটক করা হয়েছিল। আজ অবশেষে মুক্তি পেলেন। এই সঙ্কটময় মুহূর্তে যারা আমাদের পাশে থেকেছেন, লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের সাহস জুগিয়েছেন, তাদের সবার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। মেহবুবার মুক্তিতে টুইট করেছেন ওমর আবদুল্লাহ। তিনি লেখেন- এক বছরেরও বেশি সময় আটক থাকার পর মেহবুবাকে যে মুক্তি দেয়া হয়েছে, তাতে আমি খুশি। অন্যায়ভাবে তাকে আটক করে রাখা হয়েছিল, যা গণতন্ত্রবিরোধী।
কোন মন্তব্য নেই