সাময়িক বরখাস্ত ডিআইজি প্রিজনস বজলুরের বিচার শুরু
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এই আদেশ দেন। এই তথ্য নিশ্চিত করেন দুদকের কৌঁসুলি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।
অভিযোগ গঠনের আগে বজলুর রশীদকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। অভিযোগ গঠনের সময় নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন তিনি।
মামলায় আসামি বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত ২৬ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. নাসির উদ্দীন ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, বজলুর রশীদ রূপায়ণ হাউজিং স্টেট থেকে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী রোডের ৫৫/১ (পুরোনো) ৫৬/৫৭ (নতুন) নির্মাণাধীন স্বপ্ন নিলয় প্রকল্পের ২ হাজার ৯৮১ বর্গফুট আয়তনের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয় করেন। ইতিমধ্যে তিনি অ্যাপার্টমেন্টের মূল্য বাবদ ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন। এই অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয় বাবদ বজলুর রশীদ যে টাকা পরিশোধ করেছেন, তার সপক্ষে কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি। তিনি অ্যাপার্টমেন্টের ক্রয়সংক্রান্ত কোনো তথ্য তাঁর আয়কর নথিতে ঘোষণা দেননি। পরিশোধিত ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা জ্ঞাত আয় উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ।
সব মিলিয়ে বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে প্রায় সোয়া ৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক আইন ২৭ (১) ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর বজলুর রশীদ ও তাঁর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল দুদক। জিজ্ঞাসাবাদের পর বজলুর রশীদকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দিনই দুদকের উপপরিচালক মো. সালাউদ্দিন বাদী হয়ে বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কোন মন্তব্য নেই