জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা পরীক্ষা বন্ধ - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা পরীক্ষা বন্ধ




টিকা নেওয়ার পর একজন স্বেচ্ছাসেবকের অসুস্থতা দেখা দেওয়ায় জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা পরীক্ষা বন্ধ করা হয়েছে। গতকাল সোমবার মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের চূড়ান্ত ধাপের করোনার টিকা পরীক্ষা বন্ধ করা হয়েছে। কারণ, তাদের পরীক্ষামূলক টিকাটি নেওয়ার পর একজনের অসুস্থতা লক্ষ করা গেছে। বার্তা সংস্থা সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।


জনসন অ্যান্ড জনসনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের নীতিমালা অনুসরণ করে স্বেচ্ছাসেবকের অসুস্থতার বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এটি মূল্যায়ন করছে স্বতন্ত্র ডেটা সেফটি মনিটরিং বোর্ড (ডিএসএমবি)। এ ছাড়া আমাদের নিজস্ব চিকিৎসকেরাও এ তথ্য মূল্যায়ন করবেন।’


যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট স্ট্যাটনিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বড় ধরনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ক্ষেত্রে অসুস্থতা ও দুর্ঘটনার মতো গুরুতর অসুস্থতা হতেই পারে।


জনসন অ্যান্ড জনসনের তৈরি টিকাটির নাম ‘জ্যানসেন’। এ টিকা নেওয়ার পর কী ধরনের অসুস্থতা দেখা গেছে, তা বিস্তারিত জানায়নি প্রতিষ্ঠানটি। এ গবেষণার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে টিকার কোনো মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকলে তা খুঁজে দেখা।

পরীক্ষার সময় যদি চিকিৎসকেরা দেখেন অসুস্থতা টিকা–সম্পর্কিত, তবে পরীক্ষা বন্ধ করে দেন।


জনসন অ্যান্ড জনসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘আমরা নিরাপত্তার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের সব পরীক্ষা নীতিমালা মেনে করা হয়। এতে কোনো মারাত্মক প্রতিক্রিয়া দেখা গেলে পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়া হয়।’


মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, ‘আমাদের টিকা পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা অবশ্যই রক্ষা করতে হবে। আমরা তাঁর অসুস্থতা নিয়ে আরও জানার চেষ্টা করছি। বাড়তি তথ্য দেওয়ার আগে আমাদের সব বিষয় বিবেচনায় নিতে হবে। পরীক্ষায় মারাত্মক অসুস্থতা অপ্রত্যাশিত নয়।’


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চূড়ান্ত টিকা পরীক্ষায় বা তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকাটি চতুর্থ। টিকা পরীক্ষার ক্ষেত্রে জনসন অ্যান্ড জনসনের পরীক্ষাটি সবচেয়ে বড়। এতে ৬০ হাজারের বেশি মানুষের ওপর পরীক্ষা চলছে।


ব্রাউন ইউনিভার্সিটি স্কুল অব পাবলিক হেলথের ডিন আশিস ঝা বলেন, বড় পরীক্ষায় এমন সাময়িক বন্ধ হওয়ার ঘটনা একাধিকবার ঘটতে পারে।


করোনার টিকা পরীক্ষা বন্ধ হওয়ার এটি দ্বিতীয় ঘটনা। গত মাসে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাটির পরীক্ষাও বন্ধ হয়ে যায়। একজন স্বেচ্ছাসেবকের স্নায়বিক জটিলতা দেখা দেওয়ার পর টিকাটির পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়া হয়। টিকাটি ইতিমধ্যে যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য দেশে আবার পরীক্ষা শুরু হলেও যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ হয়ে আছে।


গত মাসে জনসন অ্যান্ড জনসনের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্রে মোট ছয়টি করোনার টিকা নিয়ে পরীক্ষা চলছে। অন্য টিকাগুলোর দুই ডোজ প্রয়োজন হলেও জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার মাত্র এক ডোজ প্রয়োজন হয়। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এ টিকার দ্রুত পরীক্ষা শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছিল।



কোন মন্তব্য নেই