সেবা খাতের বিদেশি কোম্পানিও ঋণ আনতে পারবে
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ আজ এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ঋণ গ্রহণের ব্যবস্থা সহজ করেছে। এর ফলে দেশে কার্যক্রম চালানো বিদেশি মালিকানাধীন ও বিদেশি নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ঋণ গ্রহণ সহজ হলো। বিদেশ থেকে ঋণ আনলে সুদহার কম হয়। এতে ব্যবসায় বেশি সুবিধা মেলে।
সুবিধাটি ট্রেডিং খাতের ব্যবসার জন্য প্রযোজ্য হবে না। উৎপাদন ও সেবা কার্যক্রম শুরু থেকে ৬ বছর পর্যন্ত এ সুবিধা গ্রহণ করা যাবে। আগে ৩ বছর পর্যন্ত এ সুবিধা গ্রহণ করা যেত।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এখন থেকে উৎপাদনকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান ছাড়াও সেবা খাতের শিল্পপ্রতিষ্ঠানও তাদের বিদেশি সহযোগী প্রতিষ্ঠান ও শেয়ারহোল্ডারদের থেকে স্বল্পমেয়াদি বিদেশি ঋণ গ্রহণ করতে পারবে। তবে এ সুবিধা ট্রেডিং খাতের ব্যবসার জন্য প্রযোজ্য হবে না। উৎপাদন ও সেবা কার্যক্রম শুরু থেকে ৬ বছর পর্যন্ত এ সুবিধা গ্রহণ করা যাবে।
আগে ৩ বছর পর্যন্ত এ সুবিধা গ্রহণ করা যেত। একই সঙ্গে বিনিময়যোগ্য বৈদেশিক মুদ্রায় এই ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ হারে সুদ প্রদান করা যাবে। তবে ঋণবাবদ প্রাপ্ত অর্থের নগদায়নকৃত টাকা মূল্যের ওপর ব্যাংকের ৩ মাস মেয়াদি আমানতের ওপর প্রযোজ্য সুদহার এই ঋণের ক্ষেত্রে আরোপ করা যায়। এ বিষয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ২০১৯ সালেই প্রজ্ঞাপন দিয়েছে। এ ছাড়া নগদায়নকৃত টাকা ও সুদ বৈদেশিক মুদ্রায় রূপান্তরের মাধ্যমে তা মেয়াদ শেষে পরিশোধ করতে হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, করোনায় দেশি-বিদেশি সব প্রতিষ্ঠানই ক্ষতির মুখে পড়েছে। দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য কম সুদে ঋণ, ঋণ পরিশোধে ছাড়সহ নানা সুবিধা দিয়েছে। বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো বিদেশি ঋণে এসব সুযোগ পায়নি। এ কারণে বিদেশি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এই সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত হবে। সহজেই চলতি মূলধন ঋণ নিতে পারবে।
কোন মন্তব্য নেই