ধর্ষণের অপরাধে ৪০ বছর কারাদণ্ড
জয়পুরহাটে এক কিশোরীকে ধর্ষণ এবং এর জেরে ওই শিশুর আত্মহত্যার ঘটনায় করা মামলায় এক ব্যক্তিকে ৪০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জয়পুরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রুস্তম আলী আজ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন। জয়পুরহাট জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ড পাওয়া ব্যক্তির নাম মাসুদ রানা (৪৪)। তাঁর বাড়ি জয়পুরহাট সদর উপজেলার হরিপুর উত্তরপাড়া গ্রামে। আদালত তাঁকে ৪০ বছর কারাদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি ২ লাখ টাকা জরিমানা এবং তা অনাদায়ে আরও ২ বছরের করাদণ্ড দিয়েছেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ৩০ জুন বেলা ২টায় এক কিশোরী (১৩) প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাড়ির কাছের একটি পাটখেতে যায়। এ সময় আসামি মাসুদ রানা পাটখেতে ঢুকে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। তখন সে চিৎকার দিলে মাসুদ তাকে সেখানে ফেলে রেখে দ্রুত পালিয়ে যান। ধর্ষণের ঘটনায় কিশোরীটি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। ওই বছরের ২ জুলাই বিকেলে সে বাড়িতে বসে কিটনাশক পান করে। ২ জুলাই রাতে জয়পুরহাট আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
এ ঘটনায় ২০১২ সালের ৩ জুলাই ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে মাসুদ রানার বিরুদ্ধে জয়পুরহাট সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। ওই ঘটনার পর থেকেই মাসুদ রানা পলাতক। একই বছরের ২৮ নভেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক দেওয়ান আসাদুল হক আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
জয়পুরহাট জজ আদালতের পিপি নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, ধর্ষণ করায় লোকলজ্জায় ওই কিশোরী আত্মহত্যা করেছিল। এ মামলার দুটি ধারায় মাসুদ রানাকে আদালত কারাদণ্ড ও জরিমানা করেছেন। ঘটনার পর থেকেই তিনি পলাতক। আসামি গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে এই রায় কার্যকর হবে।
কোন মন্তব্য নেই