পরমাণু সমঝোতার ব্যাপারে ইতিবাচক ইঙ্গিত আমেরিকার
২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতায় যেসব দেশগুলি স্বাক্ষর করেছিল তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে এবার আমেরিকা রাজি হয়ছে । এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার পূর্বসুরি ডোনাল্ড ট্রাম্প যেখানে এই সমঝোতা থেকে একতরফাভাবে বেরিয়ে এসেছিলেন তার বছর তিনেক পর বাইডেন উল্টো পথে হাঁটার বার্তা দিলেন।
শুক্রবার বার্ষিক মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে যোগ দেয় আমেরিকা। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, ইরান সংক্রান্ত বিষয়ে আবার আলোচনায় বসতে মার্কিন প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। এক সময় জার্মানি এবং রাষ্ট্রসঙ্ঘের পাঁচ স্থায়ী সদস্য দেশ আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, চিন ও রাশিয়া ইরানের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতা সই করেছিল বলে এসব দেশকে পাঁচ যুক্ত এক গোষ্ঠী বলে অভিহিত করা হয়। তবে পরমাণু সমঝোতাকে পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে এই সংক্রান্ত আলোচনায় যোগ দেওয়ার প্রস্তুতির কথা ঘোষণা করলেও এই ব্যাপারে বিস্তারিত কোনও দিক-নির্দেশনা বা রোড-ম্যাপ তুলে ধরেননি।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের মে মাসে ট্রাম্প এই সমঝোতা থেকে আমেরিকাকে বের করে নিয়ে আসেন। তখন থেকে এই আন্তর্জাতিক চুক্তির ভবিষ্যত নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।কারণ, ইউরোপিয় দেশগুলি আমেরিকাকে ছাড়াই এটি বাস্তবায়ন করবে বলে বারবার তেহরানকে প্রতিশ্রুতি দিলেও সেটা বাস্তবায়িত করা যাচ্ছিল না। ইরানও এক বছর পর্যন্ত ধৈর্য ধরে ২০১৯ সাল থেকে পরমাণু সমঝোতায় দেওয়া নিজের প্রতিশ্রুতি থেকে ধীরে ধীরে সরে আসতে শুরু করে।
তাছাড়া বাইডেন তার নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি থেকে সরে গিয়ে ইরানকে আগে পরমাণু সমঝোতায় পুরোপুরি ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে তেহরানও সাফ জানিয়েছে , আমেরিকা তেহরানের উপর থেকে কার্যকরভাবে নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি তুলে না নেওয়া পর্যন্ত তার পক্ষে এই সমঝোতা বাস্তবায়নের কাজে পুরোপুরি ফিরে আসা সম্ভব নয়। এর পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট রুহানি অবশ্য একথাও জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তার দেশ পরমাণু সমঝোতায় পুরোপুরি ফিরে আসবে।
কোন মন্তব্য নেই