মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গ বিজ্ঞানীর নামে নাসার সদর দফতরের নামকরণ - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গ বিজ্ঞানীর নামে নাসার সদর দফতরের নামকরণ

 

 

ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে আমেরিকায় কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মার ও তার জেরে তাঁর মৃত্যুর ঘটনা গোটা বিশ্বকে নাড়া দিয়েছিল। সেই ক্ষতেই এবার প্রলেপ দেওয়ার চেষ্টা জো বাইডেন প্রশাসনের। এবার ওয়াশিংয়নে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সদর দফতরের নাম বদল হচ্ছে। নাসার সদর দফতরের নয়া নাম হচ্ছে প্রথম আফ্রো-আমেরিকান মহিলা গবেষকের নামে।

 

ওয়াশিংয়টনে নাসার সদর দফতরের নয়া নাম মেরি জ্যাকসন। মেরি জ্যাকসন নামে আফ্রো-আমেরিকান মহিলা আমেরিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা গবেষক। দারুণ প্রতিকূলতাকে সঙ্গী করেই মহাকাশ গবেষমা নয়া দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন মেরি। ছয়ের দশকে তাঁর কীর্তি গোটা বিশ্বে নজির গড়েছিল। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসাকে উচ্চ ঈআসনে নিয়ে গিয়েছিলেন এই কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা। এবার তাঁকেই সম্মান জানাতে চাইছে মার্কিন প্রশাসন। নাসার সদর দফতরের নামই বদল করে ফেলা হল। কৃষ্ণাঙ্গ এই মহিলাকে সম্মান জানিয়ে তাঁর নামেই ওয়াশিংটনে নাসার সদর দফতরের নামকরণ হয়েছে।


পঞ্চাশের দশকে মেরি জ্যাকসন ভার্জিনিয়ার হ্যাম্পটনে নাসার রিসার্চ সেন্টারে কাজ শুরু করেছিলেন। মার্কিন প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে মেরি জ্যাকসনের পাশাপাশি নাসায় যে আফ্রো-আমেরিকার মহিলা বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন সময়ে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করে গিয়েচেন তাঁদের প্রত্যেককেই সম্মান জানানো হবে।

 

রাজনৈতিক মহল বলছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলের শেষ দিকে আমেরিকায় কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লায়েডের উপর নির্মম পুলিশি অত্যাচার ও তারই জেরে তাঁর মৃত্যু গোটা বিশ্বকে নাড়া দিয়েছিল। মার্কিন প্রশাসনকে তুলোধনা করে সরব হয়েছিল বিশ্বের একাধিক দেশ। ফ্লায়েডের আর্তনাদের সেই ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় বাইরাল হয়েছিল। আমেরিকাকে কৃষ্ণাঙ্গ-বিরোধী দেশের তকমাও দিয়েছিলেন একাধিক দেশের রাষ্ট্রনেতা।


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় এসেই দেশের কৃষ্ণাঙ্গ-বিরোধী তকমা ঘোঁচাতে তৎপরতা নিয়েছেন জো বাইডেন, কমলা হ্যারিসরা। নাসার সদর দফতরের নাম এক কৃষ্ণাঙ্গ বিজ্ঞানীর নামে করে কৃষ্ণাঙ্গ সমাজকে একটি বার্তা দিতে চেয়েছে মার্কিন প্রশাসন। মায়ের নামে নাসার সদর দফতরের নামকরণ হবে শুনে আবেগে ভাসছেন মেরি জ্যাকসনের মেয়ে মেয়ে ক্যারোলিন লিউইস। তিনি বলেন, ‘‘আমার মা বিজ্ঞানীর দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সংসারের সব কাজ সামলে গিয়েছেন। উনি একজন বড় মনের মানুষ ছিলেন। গোটা আমেরিকার জন্যই তাঁর ভাবনা ছিল। আমার মাকে এমন সম্মান জানানোয় আমরা খুব খুশি হয়েছি।”

কোন মন্তব্য নেই