রবির ৪ টাওয়ার জব্দ করেছে ডিএসসিসি
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত টেলিকম অপারেটর রবি আজিয়াটাসহ বাংলালিংক ও টেলিটকের অনুমোদনবিহীন ৬ টাওয়ার জব্দ করে বাজেয়াপ্ত করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার বিকেলে ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানজিলা কবির ত্রপা এই অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে নগরীর নিউ মার্কেট সুপার মার্কেটের ছাদে অনুমোদনহীনহীনভাবে স্থাপিত মোবাইল ফোন অপারেটর রবি’র ৪টি, বাংলালিংকের ১টি এবং টেলিটকের ১টি টাওয়ার জব্দ করে বাজেয়াপ্ত করা হয়।
অভিযানকালে ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক উপস্থিত ছিলেন।
অভিযান প্রসঙ্গে ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন বলেন, সিটি করপোরেশন আদর্শ কর তফসিল, ২০১৬ অনুযায়ী করপোরেশন এলাকায় মোবাইল টাওয়ার স্থাপনের ক্ষেত্রে বাড়ি/স্থাপনা মালিকের সাথে সম্পাদিত চুক্তিপত্রে উল্লেখকৃত ভাড়ার ছয় ভাগের এক ভাগ হারে ডিএসসিসিকে কর প্রদানের বিধান রয়েছে। কিন্তু টেলিকম অপারেটর রবিকে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার টেলিফোনে এবং ছয় বার পত্র প্রেরণ করে
বাড়ি/স্থাপনা মালিকের সাথে তাদের সম্পাদিত ভাড়ার চুক্তিপত্র’ প্রেরণের জন্য বলা হয়। কিন্তু অদ্যবধি রবি’র তরফ থেকে এ বিষয়ে কোনো প্রত্যুত্তর দেয়া হয়নি।”
রাসেল সাবরিন আরো বলেন, রবি’র পক্ষ হতে ডিএসসিসি এলাকায় শুধু ৮১টি টাওয়ার রয়েছে বলে আমাদেরকে প্রাথমিকভাবে জানানো হলেও মাঠের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। এয়ারটেল রবি’র সাথে একীভূত হওয়ার পর তাদের সেই টাওয়ারের সংখ্যা আরও কয়েকগুণ বেশি বলে প্রতীয়মান। তাই, রবি’র টাওয়ার জব্দে আমরা গতকাল অভিযান পরিচালনা করি।
আমাদের কাছে প্রদেয় টাওয়ারের হিসেবে নিউ সুপার মার্কেট দক্ষিণে রবি’রএকটি টাওয়ার থাকার কথা থাকলেও সেখানে গিয়ে আমরা চারটি টাওয়ার দেখতে পায়। এছাড়াও অভিযানকালে বাংলালিংকের ১টি এবং টেলিটকের ১টি অনুমোদনবিহীন টাওয়ার সেখানে আমরা দেখতে পাই। তাই, রবি’র ৪টি, বাংলালিংকের ১টি এবং টেলিটকের ১টি অনুমোদনবিহীন টাওয়ার আমরা জব্দ করে বাজেয়াপ্ত করেছি।
এরআগে গত বছরের ১৯শে অক্টোবর ডিএসসিসি এলাকায় মোবাইল টাওয়ার ব্যবহার বাবদ গ্রামীণ ফোন ডিএসসিসিকে ৯ কোটি ৬৩ লাখ ৭ হাজার ৩শ ৮৫ টাকা সমুদয় বকেয়া পরিশোধ করে। এছাড়াও টেলিকম অপারেটর রবি গত বছরের ১৩ই ডিসেম্বর ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের বকেয়া হিসেবে ১ কোটি ৫০ লক্ষ ৫৪ হাজার ৫৬৮ টাকা এবং এ বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭-১৮ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ৪ কোটি ৪০ লক্ষ ৮১ হাজার ১৮০ টাকা বকেয়া পরিশোধ করে।

কোন মন্তব্য নেই