এনআরবিসি ব্যাংকের নতুন দৃষ্টান্ত! - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

এনআরবিসি ব্যাংকের নতুন দৃষ্টান্ত!


পুঁজিবাজারে নতুন কোম্পানি লেনদেন শুরু হলেই শুরু হয় হুলস্থুল। প্রথম দুদিন সর্বোচ্চ সীমায় বাড়ার পর তৃতীয় দিন থেকে পর্যায়ক্রমে ১০ শতাংশ করে দর বেড়ে শেষে হয় অতিমূল্যায়িত। কিন্তু সে ধারা ভেঙে নতুন নেতিবাচক দৃষ্টান্ত দেখাল সদ্য তালিকাভুক্ত এনআরবিসি ব্যাংক লিমিটেড।


ব্যাংকটির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) প্রায় ১২ গুণের বেশি আবেদন জমা পড়ে। আইপিওতে আগ্রহ থাকলেও লেনদেন শুরু হওয়ার পর সে আগ্রহ আর দেখা যাচ্ছে না।


ফলে লেনদেন শুরুর দিন সোমবার ব্যাংকটির শেয়ার দর সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়া বা কমার সুযোগ থাকলেও বাড়ে মাত্র ৩২ শতাংশ। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারের দর দাঁড়ায় ১৩ টাকা ৬০ পয়সায়।


দ্বিতীয় দিনের লেনদেনে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ দর বাড়ার সুযোগ ছিল ব্যাংকটির। কিন্তু সেটিও হয়নি। বরং দিনশেষে ৬.৬০ শতাংশ দর কমেছে।


ক যুগ পর সোমবার প্রথম ব্যাংক হিসেবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংক এনআরবিসি। কিন্তু প্রথমদিন শেয়ারটি কিছুটা ঝৌলুষ দেখালেও দ্বিতীয় দিনেই তা ফিকে হয়ে যায়। দ্বিতীয় দিনেই শেয়ারটির দর হারানোয় বিনিয়োগকারীরা রীতিমত হতাশ।


প্রথমদিন সোমবার ১০ টাকায় তালিকাভুক্ত এনআরবিসি কমার্শিয়াল ব্যাংকের লেনদেন শুরু হওয়ার পর দিনের সর্বোচ্চ দর উঠে ১৫ টাকায়। তবে পরক্ষণেই দাম কমে যায়। এক পর্যায়ে দাম কমে ১১ টাকা ৯০ পয়সায় নেমে যায়। তবে শেষ পর্যন্ত ১৩ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন শেষ হয়।


দ্বিতীয় দিনে ৫০ শতাংশ দর বাড়া বা কমার সুযোগ ছিল ব্যাংকটির। সে হিসাবে মঙ্গলবার ব্যাংকটির সর্বোচ্চ দর হতে পারতো ১৯ টাকা ৮০ পয়সা। আর কমলে হতো ৬ টাকা ৬০ পয়সা।


কিন্তু দর কমে আসলেও দিনশেষে ব্যাংকটির শেয়ার দর কমেছে ১২ টাকা ৪০ পয়সা বা ৬.০৬ শতাংশ।


তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত এক বছরে মিউচ্যুয়াল ফান্ড ছাড়া তালিকাভুক্ত সব কোম্পানির শেয়ার প্রথম দিন ৫০ শতাংশ বেড়েছে। তবে এই দামে বেশির ভাগ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা শেয়ার ছাড়তে রাজি হয়নি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দ্বিতীয় দিনও ৫০ শতাংশ দাম বেড়েছে। এমনও দেখা গেছে টাকা ৯ দিন এমনকি ১৫ দিন সর্বোচ্চ পরিমাণ দাম বেড়ে দর হয়েছে আকাশচুম্বি।


সম্প্রতি তালিকাভুক্ত ই জেনারেশনের শেয়ার প্রথম কার্যদিবসে হাতবদল হয় মাত্র ২০১টি। লুব রেফের শেয়ার হাতবদল হয় ৪২১টি। মীর আকতার শেয়ার প্রথম দিন লেনদেন হয় ৭৩০টি। অর্থাৎ সর্বোচ্চ দামেও বলতে গেলে কোনো বিক্রেতাই ছিল না এসব কোম্পানির।


যেখানে এনআরবিসি কমার্শিয়াল ব্যাংকের প্রথম দিনেই লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ২২ লাখ ৯৩ হাজার ৭০৫টি শেয়ার। আর দ্বিতীয় দিনে লেনদেন হয়েছে ৮৮ লাখ ৮৬ হাজার শেয়ার।


ব্যাংকটি মোট ১২ কোটি শেয়ার ছেড়ে ১২০ কোটি টাকা উত্তলন করেছে পুঁজিবাজার থেকে। এর মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকের সংখ্যা দাঁড়াল ৩১টি।





কোন মন্তব্য নেই