স্বজনদের কান্নায় ভারী শীতলক্ষ্যার পাড়
তাদের মধ্যে একজনকে বিলাপ করতে করতে বলতে শোনা যায়, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে ভিক্ষা চাই। আমার মা-বাবার লাশটা হলেও পেতে চাই। আমি একজন টিচার (শিক্ষক), আমার বাবার লাশটি ভিক্ষা চাই।
এ সময় শীতলক্ষ্যার পাড়ে ছোট একটি শিশুকে দেখা যায় মুখ গুঁজে কান্না করতে। কথা বলতে চাইলে মনে হলো কথা বলার মতো শক্তিটাও হারিয়ে ফেলেছে সে। অনেকটা ভীত সন্তস্ত। মা-বাবাসহ ঢাকায় গিয়েছিলেন ডাক্তার দেখাতে। পথেই পতিত হয় দুর্ঘটনায়। নিজে কোনোভাবে পাড়ে উঠতে পারলেও হারিয়েছেন মা-বাবাকে। শোকে যেন পাথর সে।
পাশেই এক ব্যক্তিকে দেখা যায় মোবাইলে কারো সাথে কথা বলতে। শোনা যায় তিনিও খুঁজছেন মা-বাবাকে। মুহূর্তের মধ্যেই জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি।
সব মিলিয়ে যেন শোকের ছায়ায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে নারায়ণগঞ্জের আকাশ। স্বজন হারাদের কান্নায় ভারী পুরো এলাকা।
উল্লেখ্য, রোববার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সীগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল দোতলা ছোট আকারের যাত্রীবাহী লঞ্চ ‘রাবিত আল হাসান’। মদনগঞ্জ এলাকায় নির্মাণাধীন তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু এলাকায় পৌঁছালে এসকে-৩ নামের একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যায় লঞ্চটি। দুর্ঘটনার পর লঞ্চের অনেক যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও এখনো খোঁজ মেলেনি অনেকের।
কোন মন্তব্য নেই