পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা এবার ভুল করেনি
কিন্তু না! আজ সে রকম কিছু হয়নি। বিনিয়োগকারীরা আজ অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারীর পরিচয় দিয়েছে। দিনভর বাজারে তেমন পেনিক সেল দেখা যায়নি। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত সবকিছু স্বাভাবিকই ছিল। যে কারণে বড় আতঙ্কের পরও পুঁজিবাজারে আজ বড় উত্থান হয়েছে।
তবে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আজ নিয়ন্ত্রক সংস্থার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বেশ তৎপর ছিলেন। বড় বড় হাউজগুলোর উপর তাঁদের নজর ছিল বেশ কড়া। নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান ব্যক্তি পর্যন্ত আজ চোখ-কান খোলা রেখেছিলেন, যাতে বাজারে বড় অঘটন না ঘটে। তাঁদের সেই তৎপরতা সার্থকতায় পর্যবসিত হয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস আজ (মঙ্গলবার) অবশেষে বড় উত্থান হয়েছে পুঁজিবাজারের লেনদেনে। এদিন পুঁজিবাজারের সব সূচক বেড়েছে। একই সাথে বেড়েছে টাকার পরিমাণে লেনদেন এবং বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর।
আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭০.২২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২৫৮.৫০ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৫.৬০ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩৬.৮২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১৯৮.৫৭ পয়েন্টে এবং ১৯৯৭.৬৩ পয়েন্টে।
আজ ডিএসইতে ৫১০ কোটি ৭৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন থেকে ১৬ কোটি ৪৪ লাখ টাকা বেশি। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৯৪ কোটি ৩১ লাখ টাকার।
ডিএসইতে আজ ৩৪৭টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ২২৮টির বা ৬৫.৭১ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। শেয়ার দর কমেছে ৬৩টির বা ১৮.১৫ শতাংশের এবং বাকি ৫৬টির বা ১৬.১৪ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৮৫.৬১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ১৯৪.৪৫ পয়েন্টে। সিএসইতে আজ ২১৪টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১২৪টির দর বেড়েছে, কমেছে ৬২টির আর ২৮টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ২৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই